স্কুলের জায়গায় শিক্ষকের স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা, থানায় অভিযোগ

- Update Time : ০৫:৫৭:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৯৯ Time View
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে আর এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকের বিরুদ্ধেস্থাপনা নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওই সহকারি শিক্ষক ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে স্কুলের জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করছে বলে থানাসহ বিভিন্ন স্থানে লিখিত অভিযোগকরেছে। ঘটনাটি নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার দুরাকুটি মোসলেম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়- ছিটরাজিব পশ্চিম পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক এমিলি আক্তার ও তার স্বামী ছাদেকুল ইসলাম বাবু শুক্র এবং শনিবার বিদ্যালয় বন্ধ থাকার সুযোগে দুরাকুটি মোসলেম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু করে।
রোববার ১৯ জানুয়ারি সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখতে পায় বিদ্যালয়ের জায়গায় অবৈধভাবে পাঁকা স্থাপনার কাজ করা হচ্ছে। তিনি ওই সহকারি শিক্ষক ও তার স্বামীকে কাজ বন্ধ করার কথা বললে তাকে ওই শিক্ষিকা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং মারপিট করার জন্য উদ্যত হয়।
পরবর্তীতে ২১ জানুয়ারি সহকারি শিক্ষা অফিসার ফারুক হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ওই শিক্ষিককে কাজ বন্ধ করতে বলেন। ওই শিক্ষিকা এমিলি আক্তার মৌখিক নিষেধ অমান্য করে আবারও ২৫ জানুয়ারি শনিবার স্কুল বন্ধ থাকার সুবাদে স্থাপনার কাজটি শেষ করার চেষ্টা করে।
খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাজুল হুদা কিশোরগঞ্জ থানায় ওই শিক্ষক এমিলি আক্তার ও তার স্বামী সাদিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের জায়গায় অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণের কারণে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান।
অভিযুক্ত শিক্ষিক এমিলি আক্তার গণমাধ্যমকর্মীদের জানান- আমাদের বাড়ি আগেই করা ছিল। আমরা বারান্দা করছি। স্কুলের জায়গা আমরা দিয়েছি, তাই কাজ করছি। ওই স্থাপনার জায়গা স্কুলের হলে আমরা জায়গা দিব। স্কুল বন্ধের দিন শুক্র ও শনিবার কাজ করছেন কেন প্রশ্ন করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
দুরাকুটি মোসলেম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাজুল হুদা জানান- তারা জমিদাতা দাবী করে স্কুলের চিহ্নিত সীমানার জায়গা অবৈধভাবে দখল করে স্কুল বন্ধের দিন কাজ করে। আমি স্কুল খোলার দিন স্কুলে গিয়ে স্থাপনা নির্মাণে নিষেধ করলে আমাকে গালিগালাজ করে। তারা আবারও স্কুল বন্ধের দিন গতকাল কাজ শুরু করেন। আমি আবারও কাজ বন্ধের কথা বললে ওই শিক্ষক এমিলি আক্তার বলেন- কত স্কুলের জায়গা মানুষ দখল করছে। আমিতো সামান্য কাজ করছি। আপনারা কেন বাঁধা দিচ্ছেন। জমি দাতাতো আমরাই। পরে তাদের সাথে ঝগড়া না বাড়িয়ে থানায় অভিযোগ করেছি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নুর মোহাম্মদ জানান- লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমরা স্থাপনা নির্মাণে নিষেধ করেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফুল ইসলাম অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন- তাৎক্ষনিক পুলিশ পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করা হয়েছে।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়