ঢাকা ১০:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুন্দরগঞ্জের কাপাসিয়ায় ত্রাণের চাল মজুদ রাখার নেপথ্যে রহস্য কি?

মাইদুল ইসলাম,গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি
  • Update Time : ০১:১৫:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৩৫ Time View

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ৩০ কেজি ওজনের ১০০ বস্তা ত্রাণের চাল জব্দ করা হয়েছে।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত সোয়া আটটার দিকে উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের কছিম বাজারের একটি গোডাউন থেকে চালগুলো জব্দ করেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল।

চাল মজুদ রাখায় স্থানীয়দের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তারা জানান, দেশের পরিস্থিতির কথা বলে চেয়ারম্যান বেঁচে যেতে পারেন না। চালগুলো মানুষের মাঝে বিতরণ না করে তিনি কালক্ষেপণ করেন কারণ সেগুলো তিনি আত্মসাৎ করার পরিকল্পনা করেছেন। কিন্তু প্রশাসন সজাগ থাকায় চেয়ারম্যানের পরিকল্পনা বিফলে যায়। আমরা এর উচ্চতর তদন্ত চাই। এর নেপথ্যের রহস্য উদঘাটন করে জনসমক্ষে তুলে ধরা হোক। যাতে ভবিষ্যতে এর মত জঘন্যরকম কাজ কোন চেয়ারম্যান করার সাহস না পায়।

জানা গেছে, বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য গত মাসের প্রথম সপ্তাহে ১০০ বস্তা চাল উত্তোলন করেন কাপাসিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জু মিয়া। ইউনিয়ন পরিষদে চালগুলো না রেখে সেগুলো কছিম বাজারের জাহাঙ্গীর আলম নামের এক ব্যক্তির গোডাউনে রাখেন চেয়ারম্যান। বন্যা পার হলেও চালগুলো বিতরণ করেননি তিনি। এলাকাবাসীর ধারণা চালগুলো গোপনে বিক্রি করার জন্য চেয়ারম্যান ওই গোডাউনে রেখেছেন।

কাপাসিয়া ইউনিয়নের বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিন বলেন, সংবাদ পেয়েছি গোডাউনে বানভাসিদের বরাদ্দের চাল রাখা আছে। সেগুলো গোপনে বিক্রি করার পায়তারা চলছে। সে কারণে দলের লোকজন ও স্থানীয় লোকজনসহ গোডাউনে সামনে অবস্থান নেই এবং গণমাধ্যম কর্মীদের সংবাদ দেই।

অভিযুক্ত কাপাসিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মঞ্জু মিয়া বলেন, দেশের অবস্থা স্বাভাবিক না থাকায় চালগুলো বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। আগামী ২-১ দিনের মধ্যে বিতরণ করা হবে।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ওয়ালিফ মন্ডল বলেন, ‘ইউএনও’র মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারি। পরে তার নির্দেশে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। এরপর গোডাউনে রাখা চালগুলো জব্দ করেছি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। ত্রাণের চাল বিতরণ না করে গোডাউনে রাখাটা ঠিক করেননি চেয়ারম্যান। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছি চালগুলো সরকারি হেফাজতে রাখতে। পরে সুবিধাভোগীদের হাতে চালগুলো তুলে দেয়া হবে। সেই সাথে তদন্ত সাপেক্ষে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

সুন্দরগঞ্জের কাপাসিয়ায় ত্রাণের চাল মজুদ রাখার নেপথ্যে রহস্য কি?

মাইদুল ইসলাম,গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি
Update Time : ০১:১৫:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ৩০ কেজি ওজনের ১০০ বস্তা ত্রাণের চাল জব্দ করা হয়েছে।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত সোয়া আটটার দিকে উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের কছিম বাজারের একটি গোডাউন থেকে চালগুলো জব্দ করেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল।

চাল মজুদ রাখায় স্থানীয়দের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তারা জানান, দেশের পরিস্থিতির কথা বলে চেয়ারম্যান বেঁচে যেতে পারেন না। চালগুলো মানুষের মাঝে বিতরণ না করে তিনি কালক্ষেপণ করেন কারণ সেগুলো তিনি আত্মসাৎ করার পরিকল্পনা করেছেন। কিন্তু প্রশাসন সজাগ থাকায় চেয়ারম্যানের পরিকল্পনা বিফলে যায়। আমরা এর উচ্চতর তদন্ত চাই। এর নেপথ্যের রহস্য উদঘাটন করে জনসমক্ষে তুলে ধরা হোক। যাতে ভবিষ্যতে এর মত জঘন্যরকম কাজ কোন চেয়ারম্যান করার সাহস না পায়।

জানা গেছে, বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য গত মাসের প্রথম সপ্তাহে ১০০ বস্তা চাল উত্তোলন করেন কাপাসিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জু মিয়া। ইউনিয়ন পরিষদে চালগুলো না রেখে সেগুলো কছিম বাজারের জাহাঙ্গীর আলম নামের এক ব্যক্তির গোডাউনে রাখেন চেয়ারম্যান। বন্যা পার হলেও চালগুলো বিতরণ করেননি তিনি। এলাকাবাসীর ধারণা চালগুলো গোপনে বিক্রি করার জন্য চেয়ারম্যান ওই গোডাউনে রেখেছেন।

কাপাসিয়া ইউনিয়নের বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিন বলেন, সংবাদ পেয়েছি গোডাউনে বানভাসিদের বরাদ্দের চাল রাখা আছে। সেগুলো গোপনে বিক্রি করার পায়তারা চলছে। সে কারণে দলের লোকজন ও স্থানীয় লোকজনসহ গোডাউনে সামনে অবস্থান নেই এবং গণমাধ্যম কর্মীদের সংবাদ দেই।

অভিযুক্ত কাপাসিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মঞ্জু মিয়া বলেন, দেশের অবস্থা স্বাভাবিক না থাকায় চালগুলো বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। আগামী ২-১ দিনের মধ্যে বিতরণ করা হবে।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ওয়ালিফ মন্ডল বলেন, ‘ইউএনও’র মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারি। পরে তার নির্দেশে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। এরপর গোডাউনে রাখা চালগুলো জব্দ করেছি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। ত্রাণের চাল বিতরণ না করে গোডাউনে রাখাটা ঠিক করেননি চেয়ারম্যান। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছি চালগুলো সরকারি হেফাজতে রাখতে। পরে সুবিধাভোগীদের হাতে চালগুলো তুলে দেয়া হবে। সেই সাথে তদন্ত সাপেক্ষে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।