ঢাকা ০৮:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা: গ্রেপ্তার ৮

সিলেট প্রতিনিধি
  • Update Time : ০২:৩০:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৫২ Time View

সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

হামলার শিকার ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র তাদনভীর আহমদ ফাহিম।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাত ১২টার দিকে শাহপরান থানায় মামলাটি দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. শাহরিয়ার আলম।

এর আগে বুধবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় নগরীর বালুচর নয়াবাজার এলাকার ‘কিং ফুটসাল স্পোর্টস সেন্টার’-এ হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের একদল শিক্ষার্থী এক ঘণ্টার জন্য স্পোর্টস সেন্টারটি ভাড়া নিয়ে খেলা শুরু করেন। নির্ধারিত সময় শেষ হলেও তারা অতিরিক্ত সময়ে খেলা চালিয়ে যান। এতে আপত্তি জানান পরবর্তী সময়ের জন্য বুকিং করা খেলোয়াড়রা। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, যা পরে হাতাহাতিতে রূপ নেয়।

উত্তেজনার মধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ কর্মী জায়গীরদার আল মামুন ওরফে ‘বুলেট মামুন’র নেতৃত্বে একদল যুবক ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ‘কিং ফুটসাল’-এর অফিস কক্ষও ভাঙচুর করা হয়। উভয় পক্ষের অন্তত ১৮ জন আহত হন, যাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিদর্শন করেন এসএমপির শাহপরান থানার পুলিশ সদস্যরা। পরবর্তীতে সিকৃবি ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শাহরিয়ার আলম।

এদিকে, ছাত্রদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, হামলাকারীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে হামলা চালায়। আহত সিকৃবি শিক্ষার্থী রাকিব, রুবেল ও মাহি জানান, একসময় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বুলেট মামুন হামলার নেতৃত্ব দেন।

পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।এছাড়া একজন হামলাকারীকে শিক্ষার্থীরা আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। অভিযুক্ত বুলেট মামুনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন এসএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মো. সাইফুল ইসলাম।

এসএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. শাহরিয়ার আলম জানান, ‘বর্তমানে মামুনের কোনো সাংগঠনিক পদ না থাকলেও অতীতে তিনি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে চলাফেরা করতেন। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Please Share This Post in Your Social Media

সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা: গ্রেপ্তার ৮

সিলেট প্রতিনিধি
Update Time : ০২:৩০:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অগাস্ট ২০২৫

সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

হামলার শিকার ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র তাদনভীর আহমদ ফাহিম।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাত ১২টার দিকে শাহপরান থানায় মামলাটি দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. শাহরিয়ার আলম।

এর আগে বুধবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় নগরীর বালুচর নয়াবাজার এলাকার ‘কিং ফুটসাল স্পোর্টস সেন্টার’-এ হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের একদল শিক্ষার্থী এক ঘণ্টার জন্য স্পোর্টস সেন্টারটি ভাড়া নিয়ে খেলা শুরু করেন। নির্ধারিত সময় শেষ হলেও তারা অতিরিক্ত সময়ে খেলা চালিয়ে যান। এতে আপত্তি জানান পরবর্তী সময়ের জন্য বুকিং করা খেলোয়াড়রা। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, যা পরে হাতাহাতিতে রূপ নেয়।

উত্তেজনার মধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ কর্মী জায়গীরদার আল মামুন ওরফে ‘বুলেট মামুন’র নেতৃত্বে একদল যুবক ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ‘কিং ফুটসাল’-এর অফিস কক্ষও ভাঙচুর করা হয়। উভয় পক্ষের অন্তত ১৮ জন আহত হন, যাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিদর্শন করেন এসএমপির শাহপরান থানার পুলিশ সদস্যরা। পরবর্তীতে সিকৃবি ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শাহরিয়ার আলম।

এদিকে, ছাত্রদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, হামলাকারীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে হামলা চালায়। আহত সিকৃবি শিক্ষার্থী রাকিব, রুবেল ও মাহি জানান, একসময় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বুলেট মামুন হামলার নেতৃত্ব দেন।

পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।এছাড়া একজন হামলাকারীকে শিক্ষার্থীরা আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। অভিযুক্ত বুলেট মামুনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন এসএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মো. সাইফুল ইসলাম।

এসএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. শাহরিয়ার আলম জানান, ‘বর্তমানে মামুনের কোনো সাংগঠনিক পদ না থাকলেও অতীতে তিনি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে চলাফেরা করতেন। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’