সিকদার ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচী
অবিলম্বে বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ না করলে কঠোর কর্মসূচীর হুমকি সাংবাদিকদের
- Update Time : ১০:২১:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
- / ২৮৭ Time View
সিকদার গ্রুপের মালিকানাধীন ইংরেজি দৈনিক বাংলাদেশ পোস্টের সাবেক সাংবাদিক ও কর্মচারীরা বকেয়া বেতন, বোনাস ও অন্যান্য পাওনাদি অবিলম্বে পরিশোধের আহ্বান জানিয়েছেন পত্রিকা কর্তৃপক্ষের প্রতি। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচী পালনের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত সিকদার হাউজের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচী চলাকালে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচীতে পত্রিকাটির সাবেক একদল সাংবাদিক ও কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন। সিকদার হাউজ থেকে দুপুর ১ টার দিকে তারা পত্রিকাটির গুলশান কার্যালয়ের সামনে এসে আরো প্রায় ২ ঘন্টা অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন। এখন থেকে পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়।
অবস্থান কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পোস্টের সাবেক সিটি এডিটর ও বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক সমিতির সভাপতি নাসিমা সোমা। তিনি বলেন, ” ঈদের আগে ও পরে এই অফিস থেকে বিনা বেতনে অনেক সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, যা নজিরবিহীন এবং অমানবিক। এ পর্যন্ত প্রায় ১১ মাসের বেতন, আটটি ঈদ বোনাস বকেয়া আছে। এই অবস্থায় সাংবাদিকরা মানবেতর জীবনযাপন করছে। অতি দ্রুত সমস্ত পাওনাদি বুঝিয়ে না দেওয়া হলে আমরা কঠোর কর্মসূচী পালনে বাধ্য হবো।”
তিনি আরো বলেন, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শিকদার সদরুল হাসান যোগদানের পর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, বেতন আর বকেয়া পড়বে না। কিন্তু উনি যোগদান করার পর আরো পাঁচমাসের বেতন বকেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ পোস্টের সাবেক সাংবাদিক এহসানুল হক জসীম বলেন, ”আমরা আমাদের ন্যায্য দাবী আদায়ের লক্ষ্যে আজ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করেছি। এরপরও যদি মালিকপক্ষের টনক না নড়ে, তাহলে আমরা কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষণা করতে বাধ্য হবো।
বাংলাদেশ পোস্টের সাবেক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক শায়খূল ইসলাম রতন বলেন, মাসের পর মাস বেতন না পেয়ে পথে বসার শঙ্কায় সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। মালিকপক্ষের সামান্য মানবিকতা থাকলে, এতগুলো পরিবারকে পথে বসিয়ে তারা কিভাবে নীরব থাকে? এভাবে চলতে পারেনা। আমাদের পাওনা দ্রুত বুঝিয়ে দেওয়া হোক।
সাবেক সহকারী সার্কূলেশন ম্যানেজার গিয়াসউদ্দিন বলেন, মালিকপক্ষকে যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছে। এই অক্টোবরের মধ্যেই আমাদের সমূদয় পাওয়া বুঝিয়ে দেওয়া হোক, অন্যথায় রাজপথ ছাড়বো না।
সহকারী আইটি কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল ফয়সাল শিশির বলেন, আমাকে কোরবানি ঈদের পরপরই বিনা নোটিশে কোনো বকেয়া বুঝিয়ে না দিয়ে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। আমি গত সাত বছর যাবৎ এখানে কাজ করছি। আমার সার্ভিস বেনিফিটসহ সব পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া হোক।
সিনিয়র ফটো সাংবাদিক জাহিদউদ্দীন সায়মন জানায় আকস্মিকভাবে চাকরি চলে যাওয়ায় পরিবার নিয়েমানবেতর জীবনযাপন করছি। আমার এতোগুলা টাকা সিকদার গ্রুপের হাতে রেখে আমাকে কস্ট করতে হচ্ছে। আর সহ্য হচ্ছেনা।
অবস্থান কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করা বিক্ষুব্ধ সাংবাদিক-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করেন নাসিমা সোমা। কর্মসূচী অনুযায়ী, আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে পাওনাদি পরিশোধ করা না হলে শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করা হবে।






































































































































































































