ঢাকা ০৪:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিপুল ভোটে জয়ী সভাপতি মোঃ শরীফুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম

সাবেকেই আস্থা তৃণমূল বিএনপি’র

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
  • Update Time : ১২:২৭:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ২৪০ Time View

গণঅভ্যুত্থানে গত সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করলে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটার মধ্যদিয়ে দেশে রাজনৈতিক অরাজকতা ও অস্থিরতা বৃদ্ধি পায়। বিএনপির একশ্রেণীর নেতাকর্মীরা বেপরোয়া হয়ে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। দলের ভাবমূর্তি এতে দারুণভাবে ক্ষুন্ন হয়। সারা বাংলাদেশের ন্যায় কিশোরগঞ্জেও আমরা একই চিত্র দেখি।

এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের কঠোর হুঁশিয়ারী উচ্চারণে দলের নীতিনির্ধারকেরা নড়েচড়ে বসেন এবং অপরাধীদের সনাক্ত করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসেন। এতে অপকর্ম কিছুটা বন্ধ হলেও দলের প্রতি সাধারণ মানুষের নেতিবাচক ধারণা পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি দলটি।

সব দলেই এমন সুবিধাবাদী একটা শ্রেণী থাকে যারা সময় ও সুযোগের অপেক্ষায় থেকে সময়মতো তা কাজে লাগিয়ে নিজের স্বার্থ বাগিয়ে দলের দুর্নাম করে। সময়মতো এদের লাগাম টেনে ধরতে না পারলে দলের অনেক ক্ষতি হয়। পতিত সরকার আওয়ামী লীগও এই সুবিধাবাদী অপকর্মকারীদের অপকর্ম বন্ধ করতে পারেনি বলে এরা দলের দলের পতন তরান্বিত করে।

সরকার পতনের পর বিএনপির রাজনীতি ভালো-মন্দের মধ্যদিয়ে অতিবাহিত হলেও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির ত্রি- বার্ষিক সম্মেলনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কাউন্সিলরদের ভোটে সভাপতি ও সেক্রেটারি নির্বাচনের যে গণতান্ত্রিক ধারা ও ইতিবাচক রাজনীতি দলটি দেখিয়েছে তা কিশোরগঞ্জের গণতান্ত্রিক রাজনীতির ইতিহাসে ভবিষ্যতে মাইলফলক হয়ে কাজ করবে ।

বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা, উৎসব মুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এমন সুন্দর সম্মেলন এবং কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে নির্বাচন বিএনপির গণতান্ত্রিক রাজনীতির ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

বিজয়ী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মনে করেন,এই নির্বাচনের অনেক ইতিবাচক দিকের অন্যতম দিক যে বিষয়টি তা হলো তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কাছাকাছি জেলা নেতৃবৃন্দের নিয়ে যাওয়া এবং জবাবদিহিতার মধ্যদিয়ে তৃণমূলের নেতাদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠা।

নির্বাচিতদের গ্রহণযোগ্যতাও নির্বাচনে প্রমাণ হলো এবং তারা আগের চেয়ে দ্বিগুণ উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে কাজ করার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে পারবে। নির্বাচন ছাড়া নেতা নির্বাচন করা হলে দলের মধ্যেও ক্ষোভ, অসন্তোষ থেকে যায় যা পরবর্তীতে দলের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

আমারা জানি সামনে জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনেও বিএনপির একাধিক প্রার্থী রয়েছেন। মনোনয়ন দিতে দলের নীতিনির্ধারকেরা রীতিমতো হিমশিম খাবেন।
এইভাবে কাউন্সিলরদের ভোটে যদি নির্বাচিতকে মনোনয়ন দেয়া হয়, তাহলে সেটা দলের জন্য ভালোই হবে। যা দলের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনবে।
বিএনপির নেতা নির্বাচনের এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ এবং আগামীদিন গণতান্ত্রিক এই ইতিবাচক রাজনীতির মধ্যদিয়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণ তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন দলটির প্রতি এই প্রত্যাশা।

Please Share This Post in Your Social Media

বিপুল ভোটে জয়ী সভাপতি মোঃ শরীফুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম

সাবেকেই আস্থা তৃণমূল বিএনপি’র

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
Update Time : ১২:২৭:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গণঅভ্যুত্থানে গত সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করলে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটার মধ্যদিয়ে দেশে রাজনৈতিক অরাজকতা ও অস্থিরতা বৃদ্ধি পায়। বিএনপির একশ্রেণীর নেতাকর্মীরা বেপরোয়া হয়ে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। দলের ভাবমূর্তি এতে দারুণভাবে ক্ষুন্ন হয়। সারা বাংলাদেশের ন্যায় কিশোরগঞ্জেও আমরা একই চিত্র দেখি।

এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের কঠোর হুঁশিয়ারী উচ্চারণে দলের নীতিনির্ধারকেরা নড়েচড়ে বসেন এবং অপরাধীদের সনাক্ত করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসেন। এতে অপকর্ম কিছুটা বন্ধ হলেও দলের প্রতি সাধারণ মানুষের নেতিবাচক ধারণা পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি দলটি।

সব দলেই এমন সুবিধাবাদী একটা শ্রেণী থাকে যারা সময় ও সুযোগের অপেক্ষায় থেকে সময়মতো তা কাজে লাগিয়ে নিজের স্বার্থ বাগিয়ে দলের দুর্নাম করে। সময়মতো এদের লাগাম টেনে ধরতে না পারলে দলের অনেক ক্ষতি হয়। পতিত সরকার আওয়ামী লীগও এই সুবিধাবাদী অপকর্মকারীদের অপকর্ম বন্ধ করতে পারেনি বলে এরা দলের দলের পতন তরান্বিত করে।

সরকার পতনের পর বিএনপির রাজনীতি ভালো-মন্দের মধ্যদিয়ে অতিবাহিত হলেও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির ত্রি- বার্ষিক সম্মেলনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কাউন্সিলরদের ভোটে সভাপতি ও সেক্রেটারি নির্বাচনের যে গণতান্ত্রিক ধারা ও ইতিবাচক রাজনীতি দলটি দেখিয়েছে তা কিশোরগঞ্জের গণতান্ত্রিক রাজনীতির ইতিহাসে ভবিষ্যতে মাইলফলক হয়ে কাজ করবে ।

বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা, উৎসব মুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এমন সুন্দর সম্মেলন এবং কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে নির্বাচন বিএনপির গণতান্ত্রিক রাজনীতির ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

বিজয়ী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মনে করেন,এই নির্বাচনের অনেক ইতিবাচক দিকের অন্যতম দিক যে বিষয়টি তা হলো তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কাছাকাছি জেলা নেতৃবৃন্দের নিয়ে যাওয়া এবং জবাবদিহিতার মধ্যদিয়ে তৃণমূলের নেতাদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠা।

নির্বাচিতদের গ্রহণযোগ্যতাও নির্বাচনে প্রমাণ হলো এবং তারা আগের চেয়ে দ্বিগুণ উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে কাজ করার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে পারবে। নির্বাচন ছাড়া নেতা নির্বাচন করা হলে দলের মধ্যেও ক্ষোভ, অসন্তোষ থেকে যায় যা পরবর্তীতে দলের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

আমারা জানি সামনে জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনেও বিএনপির একাধিক প্রার্থী রয়েছেন। মনোনয়ন দিতে দলের নীতিনির্ধারকেরা রীতিমতো হিমশিম খাবেন।
এইভাবে কাউন্সিলরদের ভোটে যদি নির্বাচিতকে মনোনয়ন দেয়া হয়, তাহলে সেটা দলের জন্য ভালোই হবে। যা দলের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনবে।
বিএনপির নেতা নির্বাচনের এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ এবং আগামীদিন গণতান্ত্রিক এই ইতিবাচক রাজনীতির মধ্যদিয়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণ তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন দলটির প্রতি এই প্রত্যাশা।