ঢাকা ১১:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নে যিনি ছিলেন সর্বদা সরব

সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের যত অপকর্ম

মাহমুদ জাহাঙ্গীর আলম
  • Update Time : ১১:১১:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪
  • / ২২ Time View

সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক।

বিতর্কিত সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক শেখ হাসিনার কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগকৃত এই প্রধান বিচারপতির কর্মকান্ড বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কময় অধ্যায়।

তিনি বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছেন। হাসিনা সরকারের দীর্ঘ ১৭ বছর যাবৎ ক্ষমতায় অটুট রাখার ক্ষেত্রে তার ন্যাক্কারজনক ভূমিকা সবার কাছে নিন্দনীয়। তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিলসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলায় বিতর্কিত রায় দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছেন।

বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক একজন দুর্নীতিপরায়ন ব্যক্তি। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে ১০ লাখ ৩৭ হাজার টাকা আর্থিক সুবিধা নিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিল থেকে ২০০৯ সনের ২৭ জুলাই তিনি উক্ত টাকা নিয়েছিলেন। বিচারপতিগণের দেশে ও বিদেশে চিকিৎসা খরচ সরকার বহন করে থাকেন। অতিরিক্ত টাকা নেয়ার প্রয়োজন পড়ে না। এক্ষেত্রে উক্ত টাকা যে অবৈধ ভাবে নিয়েছিলেন তা নিশ্চয়ই বলার অপেক্ষা রাখে না।

সোনালী ব্যাংকের সুপ্রিম কোর্ট শাখায় ২০০৯ সনের ২৭ জুলাই বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের ব্যক্তিগত একাউন্টে উক্ত টাকা জমা হয়। জমা হওয়ার তারিখেই তিনি ১ লাখ টাকা উঠিয়ে নেন। ২০০৯ সনের ২৮ জুলাই ২০ হাজার টাকা নগদ উত্তোলন করা হয় এবং অ্যাকাউন্ট পে চেকের মাধ্যমে ৩৮,৬০০/- টাকা স্থানান্তর করা হয়।

সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী যিনি সংসদ সদস্য ছিলেন চেকটি বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন।

দৈনিক দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত ২০১১ সনের ৩০ মে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে আরো জানা যায় যে, বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক তার টাকা প্রাপ্তির বিষয়টি অস্বীকার করেন নাই।

বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক কেবল তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলুপ্ত করে দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যান নাই, তিনি আরো বেশ কয়েকটি বিতর্কিত রায় প্রদান করে সম্পূর্ণ বিচার ব্যবস্থাকেই প্রশ্ন বিদ্ধ করেছেন।

স্বাধীনতার ঘোষক কে তা ঐতিহাসিক বিষয়। মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যে ২৬ মার্চ কালুর ঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছিলেন তা বিভিন্ন তথ্য প্রমাণে সু-প্রতিষ্ঠিত। অথচ ঐতিহাসিক রাজনৈতিক বিষয়কে তিনি আদালতে টেনে এনে শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসাবে রায় প্রদান করেন।

তিনি পুরান ঢাকার মুন সিনেমা হলের মালিকানাকে কেন্দ্র করে দায়েরকৃত মামলায় সম্পূর্ণ অন্যায়, অবৈধ, বে- আইনী ভাবে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করে রায় দেন।

পঞ্চম সংশোধনীতে উল্লেখ্যযোগ্য ছিল- সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” সংযোজন। তাতে ১৯৭৫ সনের ১৫ই আগষ্ট থেকে ১৯৭৯ সনের ৫ এপ্রিল পর্যন্ত সামরিক সরকারের যাবতীয় কর্মকান্ডকে বৈধতা দেয়া হয়। রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগে উল্লেখ করা হয়- ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসই হইবে যাবতীয় কার্যাবলীর ভিত্তি”। ১৯৭৯ সনের ৬ এপ্রিল তা জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয় এবং ৯ এপ্রিল পাশ হয়।

বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক কর্তৃক ২০০৫ সনের ২৯ আগষ্ট প্রদত্ত ৫ম সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে তৎকালীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ও সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী আপিল দায়ের করলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তা খারিজক্রমে হাইকোর্ট বিভাগের রায় বহাল করে ২০১০ সনের ২ ফেব্রুয়ারি সংক্ষিপ্ত রায় এবং তার ১৭৪ দিন পরে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন। আপিল বিভাগে যারা রায় প্রদান করেন তারা হলেন- তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, বিচারপতি মোহাম্মাদ ফজলুল করিম, বিচারপতি মোঃ আবদুল মতিন, বিচারপতি বি কে দাস, বিচারপতি মোঃ মোজাম্মেল হোসেন ও বিচারপতি এস, কে সিনহা।

বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক আপিল বিভাগের বিচারপতি হয়েও অনেক বিতর্কিত রায় দিয়েছেন। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি নিয়ে আনীত লিড টু আপিল মামলা কোন শুনানী গ্রহণ না করেই উত্থাপিত হয় নাই মর্মে খারিজ করে দেন।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির অফিসে নিরপেক্ষতার জন্য কোন সময় কোন রাজনৈতিক নেতার ছবি টাঙ্গানো হয় নাই। কিন্তু এবিএম খায়রুল হক প্রধান বিচারপতি হয়েই সর্বপ্রথম তার অফিসে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি স্থাপন করেন।

অবসর গ্রহণের পরেও বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক পুরষ্কৃত হয়েছেন। তাকে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান করা হয় এবং দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর তাকে বিদায় নিতে হয়েছে।

বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক সম্পূর্ণভাবে তার বিচার কাজে আওয়ামী লীগের দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে প্রধান বিচারপতির পদকে কলঙ্কিত করেন। বিচার বিভাগের মর্যাদা, ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা হয়েছে। বিচার বিভাগ পুনর্গঠন ও সংস্কারের মাধ্যমে বিচারকগণ যাতে দলীয় রাজনীতির পক্ষে কাজ না করে সম্পূর্ণ স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে পারে তার জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে দেশবাসী প্রত্যাশা করে। তার অপকর্মের জন্য অবশ্যই তাকে শাস্তির আওতায় আনা প্রয়োজন।

Please Share This Post in Your Social Media

দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নে যিনি ছিলেন সর্বদা সরব

সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের যত অপকর্ম

মাহমুদ জাহাঙ্গীর আলম
Update Time : ১১:১১:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

বিতর্কিত সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক শেখ হাসিনার কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগকৃত এই প্রধান বিচারপতির কর্মকান্ড বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কময় অধ্যায়।

তিনি বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছেন। হাসিনা সরকারের দীর্ঘ ১৭ বছর যাবৎ ক্ষমতায় অটুট রাখার ক্ষেত্রে তার ন্যাক্কারজনক ভূমিকা সবার কাছে নিন্দনীয়। তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিলসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলায় বিতর্কিত রায় দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছেন।

বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক একজন দুর্নীতিপরায়ন ব্যক্তি। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে ১০ লাখ ৩৭ হাজার টাকা আর্থিক সুবিধা নিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিল থেকে ২০০৯ সনের ২৭ জুলাই তিনি উক্ত টাকা নিয়েছিলেন। বিচারপতিগণের দেশে ও বিদেশে চিকিৎসা খরচ সরকার বহন করে থাকেন। অতিরিক্ত টাকা নেয়ার প্রয়োজন পড়ে না। এক্ষেত্রে উক্ত টাকা যে অবৈধ ভাবে নিয়েছিলেন তা নিশ্চয়ই বলার অপেক্ষা রাখে না।

সোনালী ব্যাংকের সুপ্রিম কোর্ট শাখায় ২০০৯ সনের ২৭ জুলাই বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের ব্যক্তিগত একাউন্টে উক্ত টাকা জমা হয়। জমা হওয়ার তারিখেই তিনি ১ লাখ টাকা উঠিয়ে নেন। ২০০৯ সনের ২৮ জুলাই ২০ হাজার টাকা নগদ উত্তোলন করা হয় এবং অ্যাকাউন্ট পে চেকের মাধ্যমে ৩৮,৬০০/- টাকা স্থানান্তর করা হয়।

সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী যিনি সংসদ সদস্য ছিলেন চেকটি বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন।

দৈনিক দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত ২০১১ সনের ৩০ মে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে আরো জানা যায় যে, বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক তার টাকা প্রাপ্তির বিষয়টি অস্বীকার করেন নাই।

বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক কেবল তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলুপ্ত করে দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যান নাই, তিনি আরো বেশ কয়েকটি বিতর্কিত রায় প্রদান করে সম্পূর্ণ বিচার ব্যবস্থাকেই প্রশ্ন বিদ্ধ করেছেন।

স্বাধীনতার ঘোষক কে তা ঐতিহাসিক বিষয়। মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যে ২৬ মার্চ কালুর ঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছিলেন তা বিভিন্ন তথ্য প্রমাণে সু-প্রতিষ্ঠিত। অথচ ঐতিহাসিক রাজনৈতিক বিষয়কে তিনি আদালতে টেনে এনে শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসাবে রায় প্রদান করেন।

তিনি পুরান ঢাকার মুন সিনেমা হলের মালিকানাকে কেন্দ্র করে দায়েরকৃত মামলায় সম্পূর্ণ অন্যায়, অবৈধ, বে- আইনী ভাবে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করে রায় দেন।

পঞ্চম সংশোধনীতে উল্লেখ্যযোগ্য ছিল- সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” সংযোজন। তাতে ১৯৭৫ সনের ১৫ই আগষ্ট থেকে ১৯৭৯ সনের ৫ এপ্রিল পর্যন্ত সামরিক সরকারের যাবতীয় কর্মকান্ডকে বৈধতা দেয়া হয়। রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগে উল্লেখ করা হয়- ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসই হইবে যাবতীয় কার্যাবলীর ভিত্তি”। ১৯৭৯ সনের ৬ এপ্রিল তা জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয় এবং ৯ এপ্রিল পাশ হয়।

বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক কর্তৃক ২০০৫ সনের ২৯ আগষ্ট প্রদত্ত ৫ম সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে তৎকালীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ও সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী আপিল দায়ের করলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তা খারিজক্রমে হাইকোর্ট বিভাগের রায় বহাল করে ২০১০ সনের ২ ফেব্রুয়ারি সংক্ষিপ্ত রায় এবং তার ১৭৪ দিন পরে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন। আপিল বিভাগে যারা রায় প্রদান করেন তারা হলেন- তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, বিচারপতি মোহাম্মাদ ফজলুল করিম, বিচারপতি মোঃ আবদুল মতিন, বিচারপতি বি কে দাস, বিচারপতি মোঃ মোজাম্মেল হোসেন ও বিচারপতি এস, কে সিনহা।

বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক আপিল বিভাগের বিচারপতি হয়েও অনেক বিতর্কিত রায় দিয়েছেন। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি নিয়ে আনীত লিড টু আপিল মামলা কোন শুনানী গ্রহণ না করেই উত্থাপিত হয় নাই মর্মে খারিজ করে দেন।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির অফিসে নিরপেক্ষতার জন্য কোন সময় কোন রাজনৈতিক নেতার ছবি টাঙ্গানো হয় নাই। কিন্তু এবিএম খায়রুল হক প্রধান বিচারপতি হয়েই সর্বপ্রথম তার অফিসে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি স্থাপন করেন।

অবসর গ্রহণের পরেও বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক পুরষ্কৃত হয়েছেন। তাকে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান করা হয় এবং দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর তাকে বিদায় নিতে হয়েছে।

বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক সম্পূর্ণভাবে তার বিচার কাজে আওয়ামী লীগের দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে প্রধান বিচারপতির পদকে কলঙ্কিত করেন। বিচার বিভাগের মর্যাদা, ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা হয়েছে। বিচার বিভাগ পুনর্গঠন ও সংস্কারের মাধ্যমে বিচারকগণ যাতে দলীয় রাজনীতির পক্ষে কাজ না করে সম্পূর্ণ স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে পারে তার জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে দেশবাসী প্রত্যাশা করে। তার অপকর্মের জন্য অবশ্যই তাকে শাস্তির আওতায় আনা প্রয়োজন।