ঢাকা ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
রূপগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাজার থেকে ৬০০ কেজি সরকারি চাল উদ্ধার সিলেটে দুই বছরের শিশুকে ধর্ষণঃ অভিযুক্ত বালক কারাগারে নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে তাই আন্দোলনে নেমেছি : গোলাম পরওয়ার আমি যে কাজ করেছি তা বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনদিন হয়নিঃ আসিফ নজরুল রূপগঞ্জে চাঁদাবাজি ও প্রবাসীদের মারধরের অভিযোগে ১২ হিজড়া গ্রেফতার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে যুবকের ৪০ কেজি দুধ দিয়ে গোসল সচিবালয়কে সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক মুক্ত করতে সরকারের সিদ্ধান্ত কুবি শিক্ষার্থী সুমাইয়াকে ‘ধর্ষণের পর’ হত্যা করা হয়েছে: আসামির স্বীকারোক্তি ব্রাজিল সফরে প্রধান বিচারপতি

‘সাইয়ারা’ দিয়ে দেউলিয়া হয়ে যাওয়া এই অভিনেতার সফল প্রত্যাবর্তন

বিনোদন ডেস্ক
  • Update Time : ০৯:৩৫:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১৪০২ Time View

মোহিত সুরি পরিচালিত রোমান্টিক ছবি ‘সাইয়ারা’-তে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয়ের সুবাদে আবারও আলোচনায় জনপ্রিয় ধারাবাহিক সারা ভাই ভার্সেস সারা ভাই, এক্সকিউজ মি ম্যাডাম, কোটা ফ্যাক্টরি-তে অভিনয় করে পরিচিতি পাওয়া অভিনেতা রাজেশ কুমার।

যদিও রাজেশ এখন সিনেমাটির সাফল্য উপভোগ করছেন, যা ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাপী ৪০০ কোটি আয় করেছে। তবে অভিনেতা জানিয়েছেন যে, কিছুদিন আগেও তিনি বেশ কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেছেন, যার মধ্যে ছিল আর্থিক ক্ষতি, মানসিক চাপ। রাজেশের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ছিল মাত্র আড়াই হাজার রুপি কিন্তু তিনি ডুবে ছিলেন প্রায় ২ কোটি রুপির ঋণে।

অভিনয় ছেড়ে নেমে পড়েছিলেন চাষাবাদে

‘মেরি সেহেলি’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজেশ জানান, অর্থ সংকটে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিলেন। বললেন, আমি দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিলাম। আমার কোনো আয় ছিল না, রিজার্ভ যা ছিল তা শেষ হয়ে গিয়েছিল। আমি ২ কোটি রুপির ঋণের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলাম।

এরপর ২০১৯ সালে তিনি অভিনয় ছেড়ে দিয়ে চাষাবাদ শুরু করেন। কিন্তু সেটাও পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়নি। ‘আজকাল কেউ বড় হয়ে কৃষক হওয়ার স্বপ্ন দেখে না’, এই মিথ ভাঙতে চেয়েছিলেন তিনি। কৃষিকাজ সম্পর্কে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করার আশা করেছিলেন।

লকডাউনে আর্থিক ধস

কৃষিকাজ শুরু করা পর তার পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে শুরু করে। প্রথমে, আবহাওয়া তার ফসলের উপর প্রভাব ফেলেছিল, এবং তারপরে মহামারী আরও খারাপ করে তোলে। তিনি বলেন, ‘আর্থিকভাবে আমি খুব একটা পিছিয়ে ছিলাম না। লকডাউনের ফলে আমার সঞ্চয় শেষ হয়ে গিয়েছিল এবং আমি আক্ষরিক অর্থেই দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিলাম। আমার পকেটে কিছুই ছিল না। আমার প্রচুর ঋণ ছিল, এবং এটি চাপ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছিল।’ সেই সময় আয়ের অভাবের ফলে রাজেশ তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছিলেন না।

সন্তানের জন্য কিনতে পারেননি চকলেটও

একটি হৃদয়বিদারক ঘটনার কথা স্মরণ করে রাজেশ বলেন, ‘‘‘বিনি অ্যান্ড ফ্যামিলি’ ছবির শুটিংয়ে আমি যুক্তরাজ্যে গিয়েছিলাম। ২৪ দিনের শুটে দুইবার যাওয়া-আসা করেছি। কিন্তু তখন আমার অ্যাকাউন্টে মাত্র ২,৫০০ রুপি ছিল। টাকার অভাবে আমার ছেলে-মেয়ের জন্য দুইটা চকলেটও কিনে আনতে পারিনি।”

এই কঠিন সময়ে রাজেশ জানান, তার পরিবার সবসময় পাশে থেকেছে। আর সেই সহানুভূতি ও মানসিক শক্তিই তাকে আবারও ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেছে।

‘সাইয়ারা’ দিয়ে প্রত্যাবর্তন

মুক্তির পর থেকে রীতিমতো বক্স অফিস দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ‘সাইয়ারা’। এতে অনীত পাড্ডার বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাজেশ এবং ফের দর্শকদের মন জয় করছেন। ছবিটির সাফল্যে রাজেশ অবশেষে অনুভব করছেন যে তিনি তার সঠিক জায়গায় ফিরে এসেছেন। ছবিটি তাকে কেবল বড় পর্দায় ফিরে আসতে সাহায্য করেনি, বরং ভক্তদের তার প্রতিভার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে।

টাইমস অব ইন্ডিয়া।

Please Share This Post in Your Social Media

‘সাইয়ারা’ দিয়ে দেউলিয়া হয়ে যাওয়া এই অভিনেতার সফল প্রত্যাবর্তন

বিনোদন ডেস্ক
Update Time : ০৯:৩৫:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫

মোহিত সুরি পরিচালিত রোমান্টিক ছবি ‘সাইয়ারা’-তে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয়ের সুবাদে আবারও আলোচনায় জনপ্রিয় ধারাবাহিক সারা ভাই ভার্সেস সারা ভাই, এক্সকিউজ মি ম্যাডাম, কোটা ফ্যাক্টরি-তে অভিনয় করে পরিচিতি পাওয়া অভিনেতা রাজেশ কুমার।

যদিও রাজেশ এখন সিনেমাটির সাফল্য উপভোগ করছেন, যা ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাপী ৪০০ কোটি আয় করেছে। তবে অভিনেতা জানিয়েছেন যে, কিছুদিন আগেও তিনি বেশ কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেছেন, যার মধ্যে ছিল আর্থিক ক্ষতি, মানসিক চাপ। রাজেশের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ছিল মাত্র আড়াই হাজার রুপি কিন্তু তিনি ডুবে ছিলেন প্রায় ২ কোটি রুপির ঋণে।

অভিনয় ছেড়ে নেমে পড়েছিলেন চাষাবাদে

‘মেরি সেহেলি’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজেশ জানান, অর্থ সংকটে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিলেন। বললেন, আমি দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিলাম। আমার কোনো আয় ছিল না, রিজার্ভ যা ছিল তা শেষ হয়ে গিয়েছিল। আমি ২ কোটি রুপির ঋণের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলাম।

এরপর ২০১৯ সালে তিনি অভিনয় ছেড়ে দিয়ে চাষাবাদ শুরু করেন। কিন্তু সেটাও পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়নি। ‘আজকাল কেউ বড় হয়ে কৃষক হওয়ার স্বপ্ন দেখে না’, এই মিথ ভাঙতে চেয়েছিলেন তিনি। কৃষিকাজ সম্পর্কে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করার আশা করেছিলেন।

লকডাউনে আর্থিক ধস

কৃষিকাজ শুরু করা পর তার পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে শুরু করে। প্রথমে, আবহাওয়া তার ফসলের উপর প্রভাব ফেলেছিল, এবং তারপরে মহামারী আরও খারাপ করে তোলে। তিনি বলেন, ‘আর্থিকভাবে আমি খুব একটা পিছিয়ে ছিলাম না। লকডাউনের ফলে আমার সঞ্চয় শেষ হয়ে গিয়েছিল এবং আমি আক্ষরিক অর্থেই দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিলাম। আমার পকেটে কিছুই ছিল না। আমার প্রচুর ঋণ ছিল, এবং এটি চাপ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছিল।’ সেই সময় আয়ের অভাবের ফলে রাজেশ তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছিলেন না।

সন্তানের জন্য কিনতে পারেননি চকলেটও

একটি হৃদয়বিদারক ঘটনার কথা স্মরণ করে রাজেশ বলেন, ‘‘‘বিনি অ্যান্ড ফ্যামিলি’ ছবির শুটিংয়ে আমি যুক্তরাজ্যে গিয়েছিলাম। ২৪ দিনের শুটে দুইবার যাওয়া-আসা করেছি। কিন্তু তখন আমার অ্যাকাউন্টে মাত্র ২,৫০০ রুপি ছিল। টাকার অভাবে আমার ছেলে-মেয়ের জন্য দুইটা চকলেটও কিনে আনতে পারিনি।”

এই কঠিন সময়ে রাজেশ জানান, তার পরিবার সবসময় পাশে থেকেছে। আর সেই সহানুভূতি ও মানসিক শক্তিই তাকে আবারও ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেছে।

‘সাইয়ারা’ দিয়ে প্রত্যাবর্তন

মুক্তির পর থেকে রীতিমতো বক্স অফিস দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ‘সাইয়ারা’। এতে অনীত পাড্ডার বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাজেশ এবং ফের দর্শকদের মন জয় করছেন। ছবিটির সাফল্যে রাজেশ অবশেষে অনুভব করছেন যে তিনি তার সঠিক জায়গায় ফিরে এসেছেন। ছবিটি তাকে কেবল বড় পর্দায় ফিরে আসতে সাহায্য করেনি, বরং ভক্তদের তার প্রতিভার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে।

টাইমস অব ইন্ডিয়া।