সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে: গণতন্ত্র মঞ্চ

- Update Time : ১১:৩১:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অগাস্ট ২০২৩
- / ১০৭ Time View
সরকার বিদেশিদের দেখানোর জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংস্কার করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করেছে। এ আইন পুরোপুরি বাতিল করতে হবে। আইন বাতিল না করলে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরাই ভুক্তভোগী হবেন বলে মন্তব্য করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।
মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণতন্ত্র মঞ্চের এক বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসন-গণজাগরণ-অভ্যুত্থানের পথে বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন নেতারা।
এতে নাগরিক ঐক্যের চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, সরকার বিভিন্ন নিবর্তনমূলক আইন করে জনগণের কণ্ঠরোধের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিরোধীমত দমনে একের পর এক কালো আইন প্রণয়ন করছে। এসব কালো আইন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মান্না বলেন, গত সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নাম পরিবর্তন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ নামকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে কিছু ক্ষেত্রে শাস্তির মাত্রায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এ আইন নিয়ে বিদেশিসহ নানা মহলের সমালোচনা ছিল এবং আইনটি বাতিলের দাবি করে আসছে বিভিন্ন পেশাজীবী ও মানবাধিকার সংগঠন।
আইনটি পরিবর্তন নয়, পরিপূর্ণভাবে প্রত্যাহার করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, এ দেশের সাধারণ মানুষ বিভিন্ন দলের নেতা ও মানবাধিকার কর্মীরা আইনটি বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। ওই আইনের আশ্রয় নিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ঘটনা ঘটেছিল। পরবর্তীতে জাতিসংঘসহ আমেরিকা ইউরোপীয় ইউনিয়ন আইনটি বাতিলের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে সরকার নাম পরিবর্তন করে নির্বাচনের বিদেশীদের দেখানোর জন্য সংশোধন করছে। ওই আইনে পুলিশকে ব্যাপক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। ওই কালো আইন বাতিলের দাবি জানান তিনি।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, শুধু পোশাক পরিবর্তন করে বিবর্তনমূলক আইনকে গ্রহণযোগ্য করা যাবে না। আইনে একটি ধরা আছে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না। মুক্তিযুদ্ধের এখন যে বয়ান, সেটি আওয়ামী লীগের বয়ান। পশ্চিমা বিশ্বকে দেখানোর জন্য এই আইনের নাম পরিবর্তন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন রাখা হয়েছে। ওই আইন বাতিল করার দাবি জানান তিনি।