সয়াবিনে সহনীয় মাত্রার ২০ গুণ মার্কারি! নষ্ট হচ্ছে যেসব অঙ্গ

- Update Time : ১২:০৯:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
- / ১৩৫ Time View

সয়াবিন ও পাম তেলে থাকা অতিরিক্ত মার্কারি নার্ভাস সিস্টেম, কিডনি, হৃদযন্ত্র ও রক্তনালীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে
দেশে সয়াবিন ও পাম তেলে সহনীয় মাত্রার চেয়ে ২০ গুণ বেশি মার্কারি (হেভিমেটাল) পাওয়া গেছে, যা মূলত নার্ভাস সিস্টেম, কিডনি, হৃদযন্ত্র ও রক্তনালীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ কথা উল্লেখ করেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুব কবীর মিলন।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘সকালেই একটা শুভ সংবাদ দিচ্ছি। আমাদের সকল সয়াবিন আর পাম খাদ্য তেলে সহনীয় মাত্রার চেয়ে ২০ গুণ বেশি মার্কারি (হেভিমেটাল) পাওয়া গেছে। মার্কারি আমাদের নার্ভাস সিস্টেম, কিডনি এবং হৃদযন্ত্র ও রক্তনালীকে ধ্বংস করে দেয়। সারা বাংলাদেশ থেকে ১৫২১টি সয়াবিন ও পাম তেলের নমুনা স্যাম্পল নিয়ে এই পরীক্ষা করা হয় কয়েক বছর আগে। জার্নাল পাবলিশ হয় গত বছর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাজমা শাহীন ছিলেন এই রিসার্চে।’
ওই পোস্টে তিনি অভিযোগ করে লিখেছেন, ‘রিসার্চ ও জার্নাল পাবলিশ হলো, এরপর কারও মুখে, কারও কাছে, কোনো পত্রিকা কিংবা নিউজে এই নিয়ে কোনো আলাপ আলোচনা, ফিসফাস, হৈ-চৈ শুনেছেন! কোনো নড়াচড়া! বিএসটিআই কিংবা ফুড সেইফটি অথরিটি কিংবা সরকার কি কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে? আরও ব্যাপকভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছে? করেনি। কারণ ব্যবসায়ী সংগঠন। মানুষ মরুক। ব্যবসা হোক। সরকারি কর্মকর্তাদের পকেট ভারী হোক। পত্র পত্রিকার কামাই হোক। রিসার্স হবে, পিএইচডি হবে, পাবলিশ হবে। কিন্তু খবরদার আবাল জনগণ যেন জানতে না পারে। আবালরা তো শুধু ভোট দেবে।’
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আমাদের ২০-৩০ বছরের মানুষের যে মারাত্মক হার্ট অ্যাটাক বেড়ে গেছে, সেটার প্রধান কারণ যে, এই মার্কারি হবে না- সেটা কি নিশ্চিত বলতে পারেন। নার্ভাস সিস্টেম ধ্বংস হতে থাকলে কী হয় জানেন? কিডনির কথা বাদ দিলাম। দেশে প্রায় চার কোটি কিডনি রোগী। এই জার্নালের কথা আজ জানলাম মাত্র। আমি কয়েক মাস আগে বিএসটিআইকে পত্র দিয়েছিলাম, সয়াবিন তেলের স্ট্যান্ডার্ড চেঞ্জ করে নতুন করে সেট করতে। সেখানে বলেছিলাম কেমিক্যাল বা সিনথেটিক ক্লে ব্যবহার না করে আর্থ গ্রেড ক্লে ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে। এটা সয়াবিন পরিশোধন করতে ব্যবহার হয়। সিনথেটিক ক্লে-তেই হেভিমেটাল থাকে।’
তিনি বলেন, ‘সয়াবিন তেলের হেভিমেটাল পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করতে বলেছিলাম। তারা তা করবে বলে জেনেছি। আগে কখনোই করা হয়নি।’
নিজেকে তিনি ‘বিজ্ঞানী বা সাইন্টিস্ট নয়’ উল্লেখ করে লেখেন, ‘ফেল করা কলা আর বাণিজ্যের ফেল্টু ছাত্র ছিলাম। এক আবাল জনতা।’