ঢাকা ০৬:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
জুলাই আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ শুরু হয়েছিল রংপুর থেকেই: নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যূত্থানে শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত স্বৈরাচার পতনে ক্রীড়ানকের ভুমিকা পালন করে আবু সাঈদের মৃত্যু পূর্বাচলে ঘোড়ার মাংসসহ আটক ১ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে গবেষণা খাতে কুবির এক শিক্ষক ও এক কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অপসারণ সেনা কর্মকর্তা সেজে প্রতারণা, ভুয়া ‘মেজর’ আটক মগবাজারে আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪টি প্রতিষ্ঠানকে লাখ টাকা জরিমানা, ভুয়া চিকিৎসকের কারাদণ্ড

সচিবালয়ে চাকরির আড়ালে দালালি ও অর্থ আত্মসাৎ: অফিস সহকারী শামীমের অপকর্ম

নওরোজ রিপোর্ট
  • Update Time : ০৪:০৮:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
  • / ৩১৮ Time View

সচিবালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসেও শামীম নামে এক অফিস সহকারী দীর্ঘদিন ধরে দালালি ও অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত।

চাকরি দেওয়ার নাম করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তিনি। আরও জানা যায়, সচিবালয়ের অধীনস্থ বিভিন্ন কার্যক্রম সাধন করে দেওয়ার নামেও অর্থ আত্মসাৎ করে চলছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার প্রমাণও পাওয়া গেছে। তিনি অফিস টাইমে অফিসের বাহিরে বিভিন্ন অফিসিয়াল ফাইল এবং কাজ বুঝে নিয়ে থাকেন এবং অফিসের বাহিরেই কাজ করে দেওয়ার বিনিময়ে কি পরিমান অর্থ দিতে হবে তা নিয়ে আলোচনা করে অর্থ গ্রহন করে থাকেন। যার ভিডিওসহ প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, শামীম বিভিন্ন সময় চাকরির কথা বলে তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। কিন্তু চাকরি তো দুরের কথা, উল্টো টাকা ফেরত চাইলে নানা ধরনের তাল বাহানা ও হুমকি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

একই দৃশ্য দেখা যায় বিভিন্ন কাজ করে দেওয়ার ক্ষেত্রেও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, শামীম তার থেকে মাঠ পর্যায়ের একটি মেলার অনুমোদন নিয়ে দেওয়ার জন্য ৫ লক্ষ টাকার একটি চেক এবং নগদ ৩০ হাজার টাকা নিয়েছেন।

ভুক্তভোগীর অভিযোগ, সেই কাজে শামীমের সাথে বাবু এবং আল-আমীন নামের ২ জন সহযোগী জড়িত ছিলো। পরবর্তীতে সে কার্যসম্পাদন করতে ব্যর্থ হলে ভুক্তভোগীকে ৫ লক্ষ টাকার চেক ফেরত দিলেও, নগদ অর্থ ফেরত দিতে প্রায় ছয় মাস তালবাহানা করেন। অতঃপর অনেক চেষ্টার পর তিনি কিছু টাকা ফেরত দিলেও বাকি টাকা ফেরত চাইলে তিনি বিভিন্ন তালবাহানা করেন।

এরকম আরো অনেক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে কয়েকজন ভুক্তভোগী এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানা যায়।

এ বিষয়ে “দৈনিক নওরোজ” থেকে শামীমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সে বিভিন্ন মাধ্যমে ফোন দিয়ে প্রথমে সুপারিশ অতঃপর হুমকি ধামকি প্রদান করেন। অনেক চেষ্টার পর নওরোজ প্রতিনিধি তার সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হন। অতঃপর তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রথমে তিনি অস্বীকার করেন। পরবর্তীতে কিছু মৌখিক প্রমাণাদি তার কাছে পেশ করা হলে তিনি বলেন, “এ কাজ শুধু আমি একাই করি না, আরো অনেকেই এর সাথে জড়িত।” বক্তব্যের শেষে তিনি আমাদের সাথে আবারো যোগাযোগ করেন এবং আর্থিক প্রলোভন দেখান, নওরোজ প্রতিনিধি সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে তিনি(শামিম) বলেন “আপনারা নিউজ করে যা পারেন করে নিন, আমার তাতে কিছুই যায় আসে না।”

সচিবালয়ের মতো স্থানে একজন অফিস সহকারীর এমন অপকর্মে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ ও হতাশ। তারা এ বিষয়ে দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

সচিবালয়ে চাকরির আড়ালে দালালি ও অর্থ আত্মসাৎ: অফিস সহকারী শামীমের অপকর্ম

নওরোজ রিপোর্ট
Update Time : ০৪:০৮:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

সচিবালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসেও শামীম নামে এক অফিস সহকারী দীর্ঘদিন ধরে দালালি ও অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত।

চাকরি দেওয়ার নাম করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তিনি। আরও জানা যায়, সচিবালয়ের অধীনস্থ বিভিন্ন কার্যক্রম সাধন করে দেওয়ার নামেও অর্থ আত্মসাৎ করে চলছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার প্রমাণও পাওয়া গেছে। তিনি অফিস টাইমে অফিসের বাহিরে বিভিন্ন অফিসিয়াল ফাইল এবং কাজ বুঝে নিয়ে থাকেন এবং অফিসের বাহিরেই কাজ করে দেওয়ার বিনিময়ে কি পরিমান অর্থ দিতে হবে তা নিয়ে আলোচনা করে অর্থ গ্রহন করে থাকেন। যার ভিডিওসহ প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, শামীম বিভিন্ন সময় চাকরির কথা বলে তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। কিন্তু চাকরি তো দুরের কথা, উল্টো টাকা ফেরত চাইলে নানা ধরনের তাল বাহানা ও হুমকি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

একই দৃশ্য দেখা যায় বিভিন্ন কাজ করে দেওয়ার ক্ষেত্রেও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, শামীম তার থেকে মাঠ পর্যায়ের একটি মেলার অনুমোদন নিয়ে দেওয়ার জন্য ৫ লক্ষ টাকার একটি চেক এবং নগদ ৩০ হাজার টাকা নিয়েছেন।

ভুক্তভোগীর অভিযোগ, সেই কাজে শামীমের সাথে বাবু এবং আল-আমীন নামের ২ জন সহযোগী জড়িত ছিলো। পরবর্তীতে সে কার্যসম্পাদন করতে ব্যর্থ হলে ভুক্তভোগীকে ৫ লক্ষ টাকার চেক ফেরত দিলেও, নগদ অর্থ ফেরত দিতে প্রায় ছয় মাস তালবাহানা করেন। অতঃপর অনেক চেষ্টার পর তিনি কিছু টাকা ফেরত দিলেও বাকি টাকা ফেরত চাইলে তিনি বিভিন্ন তালবাহানা করেন।

এরকম আরো অনেক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে কয়েকজন ভুক্তভোগী এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানা যায়।

এ বিষয়ে “দৈনিক নওরোজ” থেকে শামীমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সে বিভিন্ন মাধ্যমে ফোন দিয়ে প্রথমে সুপারিশ অতঃপর হুমকি ধামকি প্রদান করেন। অনেক চেষ্টার পর নওরোজ প্রতিনিধি তার সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হন। অতঃপর তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রথমে তিনি অস্বীকার করেন। পরবর্তীতে কিছু মৌখিক প্রমাণাদি তার কাছে পেশ করা হলে তিনি বলেন, “এ কাজ শুধু আমি একাই করি না, আরো অনেকেই এর সাথে জড়িত।” বক্তব্যের শেষে তিনি আমাদের সাথে আবারো যোগাযোগ করেন এবং আর্থিক প্রলোভন দেখান, নওরোজ প্রতিনিধি সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে তিনি(শামিম) বলেন “আপনারা নিউজ করে যা পারেন করে নিন, আমার তাতে কিছুই যায় আসে না।”

সচিবালয়ের মতো স্থানে একজন অফিস সহকারীর এমন অপকর্মে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ ও হতাশ। তারা এ বিষয়ে দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।