ঢাকা ০৮:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হচ্ছে ট্রাম্প পরিবারের বিটকয়েন প্রকল্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৩:১৮:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
  • / ১২ Time View

নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে একটি একীভূতকরণ (মার্জার) চুক্তির মাধ্যমে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দুই বড় ছেলের পৃষ্ঠপোষকতায় গঠিত একটি বিটকয়েন মাইনিং স্টার্টআপ। গত সোমবার এ ঘোষণা দেওয়া হয় বলে নিউইয়র্ক থেকে এফএফপি এ খবর জানিয়েছে।

‘আমেরিকান বিটকয়েন’ নামের কোম্পানিটি ইতোমধ্যে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ‘গ্রাইফন ডিজিটাল মাইনিং ইনক.’ এর সঙ্গে স্টক-ফর-স্টক একীভূতকরণ চুক্তি করেছে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সংযুক্ত কোম্পানিটি ‘আমেরিকান বিটকয়েন’ নামেই পরিচালিত হবে এবং ‘এবিটিসি’ নামে শেয়ারবাজারে লেনদেন হবে। এটি আমেরিকান বিটকয়েনের বর্তমান ব্যবস্থাপনা টিমের নেতৃত্বে চলবে।

আমেরিকান বিটকয়েনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কৌশল কর্মকর্তা এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছেলে এরিক ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো এমন একটি বিটকয়েন প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা, যা বাজারের সবচেয়ে বিনিয়োগযোগ্য সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হবে।’ ফ্লোরিডাভিত্তিক ‘হাট ৮ কর্পোরেশন’ এই বছরের শুরুতে এরিক ট্রাম্পের সঙ্গে অংশীদারিত্বে আমেরিকান বিটকয়েন প্রতিষ্ঠা করে।

এই ব্যবসার ঘোষিত লক্ষ্য হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘বিশুদ্ধ বিটকয়েন মাইনিং অপারেশন’ গড়ে তোলা এবং কৌশলগতভাবে একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি রিজার্ভ গঠন করা। বিটকয়েন মাইনিং হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে জটিল গাণিতিক সমস্যা সমাধানে কম্পিউটার প্রসেসিং পাওয়ার ব্যবহার করা হয়।

হাট ৮ কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী আশার জেনুট বলেছেন, ‘আমেরিকান বিটকয়েন’ পাবলিক হওয়া ব্যবসার বিস্তার ও কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় উন্নয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আগামী অক্টোবরের মধ্যে এই একীভূতকরণ চুক্তি সম্পন্ন হতে পারে।

ট্রাম্প পরিবারের ক্রিপ্টোকারেন্সি সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রেসিডেন্টের স্বার্থের সংঘাত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিপ্টো বিনিয়োগকারীরা ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারণায় উল্লেখযোগ্য সমর্থন দিয়েছিল এবং কোটি কোটি ডলার অনুদান দিয়েছে, বিশেষ করে যখন তার পূর্বসূরি ডেমোক্র্যাট জো বাইডেনের প্রশাসন ডিজিটাল মুদ্রার ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করেছিল।

বর্তমানে ডোনাল্ড ট্রাম্প এই খাতে উল্লেখযোগ্য আর্থিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। তিনি ‘ওয়ার্ল্ড লিবার্টি ফিনান্সিয়াল’ নামক এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে অংশীদার হয়েছেন এবং জানুয়ারিতে ‘ট্রাম্প’ নামে একটি মিম কয়েন চালু করেন।

গত এপ্রিলের শেষ দিকে ওই মিম কয়েনের নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সবচেয়ে বড় কয়েনধারীদের জন্য একটি নৈশভোজের আয়োজন করবেন বলে ঘোষণার পর কয়েনটির দাম হঠাৎ বেড়ে যায়।

ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প নিজেও একটি মিম কয়েন চালু করেছেন, যার নাম $মেলানিয়া।

Please Share This Post in Your Social Media

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হচ্ছে ট্রাম্প পরিবারের বিটকয়েন প্রকল্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ০৩:১৮:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে একটি একীভূতকরণ (মার্জার) চুক্তির মাধ্যমে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দুই বড় ছেলের পৃষ্ঠপোষকতায় গঠিত একটি বিটকয়েন মাইনিং স্টার্টআপ। গত সোমবার এ ঘোষণা দেওয়া হয় বলে নিউইয়র্ক থেকে এফএফপি এ খবর জানিয়েছে।

‘আমেরিকান বিটকয়েন’ নামের কোম্পানিটি ইতোমধ্যে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ‘গ্রাইফন ডিজিটাল মাইনিং ইনক.’ এর সঙ্গে স্টক-ফর-স্টক একীভূতকরণ চুক্তি করেছে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সংযুক্ত কোম্পানিটি ‘আমেরিকান বিটকয়েন’ নামেই পরিচালিত হবে এবং ‘এবিটিসি’ নামে শেয়ারবাজারে লেনদেন হবে। এটি আমেরিকান বিটকয়েনের বর্তমান ব্যবস্থাপনা টিমের নেতৃত্বে চলবে।

আমেরিকান বিটকয়েনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কৌশল কর্মকর্তা এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছেলে এরিক ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো এমন একটি বিটকয়েন প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা, যা বাজারের সবচেয়ে বিনিয়োগযোগ্য সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হবে।’ ফ্লোরিডাভিত্তিক ‘হাট ৮ কর্পোরেশন’ এই বছরের শুরুতে এরিক ট্রাম্পের সঙ্গে অংশীদারিত্বে আমেরিকান বিটকয়েন প্রতিষ্ঠা করে।

এই ব্যবসার ঘোষিত লক্ষ্য হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘বিশুদ্ধ বিটকয়েন মাইনিং অপারেশন’ গড়ে তোলা এবং কৌশলগতভাবে একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি রিজার্ভ গঠন করা। বিটকয়েন মাইনিং হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে জটিল গাণিতিক সমস্যা সমাধানে কম্পিউটার প্রসেসিং পাওয়ার ব্যবহার করা হয়।

হাট ৮ কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী আশার জেনুট বলেছেন, ‘আমেরিকান বিটকয়েন’ পাবলিক হওয়া ব্যবসার বিস্তার ও কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় উন্নয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আগামী অক্টোবরের মধ্যে এই একীভূতকরণ চুক্তি সম্পন্ন হতে পারে।

ট্রাম্প পরিবারের ক্রিপ্টোকারেন্সি সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রেসিডেন্টের স্বার্থের সংঘাত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিপ্টো বিনিয়োগকারীরা ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারণায় উল্লেখযোগ্য সমর্থন দিয়েছিল এবং কোটি কোটি ডলার অনুদান দিয়েছে, বিশেষ করে যখন তার পূর্বসূরি ডেমোক্র্যাট জো বাইডেনের প্রশাসন ডিজিটাল মুদ্রার ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করেছিল।

বর্তমানে ডোনাল্ড ট্রাম্প এই খাতে উল্লেখযোগ্য আর্থিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। তিনি ‘ওয়ার্ল্ড লিবার্টি ফিনান্সিয়াল’ নামক এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে অংশীদার হয়েছেন এবং জানুয়ারিতে ‘ট্রাম্প’ নামে একটি মিম কয়েন চালু করেন।

গত এপ্রিলের শেষ দিকে ওই মিম কয়েনের নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সবচেয়ে বড় কয়েনধারীদের জন্য একটি নৈশভোজের আয়োজন করবেন বলে ঘোষণার পর কয়েনটির দাম হঠাৎ বেড়ে যায়।

ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প নিজেও একটি মিম কয়েন চালু করেছেন, যার নাম $মেলানিয়া।