দাবি তার আইনজীবীর
শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি

- Update Time : ১২:৫৮:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ১৮৬ Time View
আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি দাবি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন।
তিনি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে সরকারি খরচে রাষ্ট্রনিযুক্ত (স্টেট ডিফেন্স) আইনজীবী ।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে জেরার সময় এমন দাবি করেন তিনি।
জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ৪৭তম সাক্ষী হিসেবে রোববার দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্য দেন নাহিদ ইসলাম।
জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চলা বিচারে ৪৭তম সাক্ষী হিসেবে দুই দিন সাক্ষ্য দেন নাহিদ।
জবানবন্দিতে দেওয়া নাহিদ ইসলামের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেন আমির হোসেন। তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ৩ আগস্ট সরকার পতনে ডাকা এক দফা কর্মসূচি দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার প্রতিশ্রুতি ছিল। এ আন্দোলনের পেছনে দেশি-বিদেশি শক্তির হাত ছিল। দেশি-বিদেশি শক্তির ইন্ধন ছিল বিধায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
স্টেট ডিফেন্সের এমন কথায় আপত্তি জানায় প্রসিকিউশন। তাদের মতে, এ মামলায় এমন আলোচনা করার সুযোগ নেই। মামলা সম্পর্কিত কথা বলাই উত্তম।
এ সময় শেখ হাসিনার আইনজীবী বলেন, ড. ইউনূসকে জড়িয়ে কোনো কথা বলা সমীচীন মনে করি না। কিন্তু সাক্ষীর বক্তব্যের খাতিরে বলতে হচ্ছে।
শেখ হাসিনা ও কামালকে নির্দোষ দাবি করে তিনি বলেন, আন্দোলন দমনে হেলিকপ্টার ও মারণাস্ত্র ব্যবহারের কোনো নির্দেশ দেননি শেখ হাসিনা। মূলত জনগণের জানমাল ও শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। এ ছাড়া ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে কোনো মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়নি। তাই এই আসামিরা অপরাধের জন্য দায়ী নন।
আমির হোসেনের এমন প্রশ্নের জবাবে এসব সত্য নয় বলে জানান সাক্ষী নাহিদ ইসলাম। একইসঙ্গে ৫ আগস্ট সারা দেশে চালানো হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতন সম্পর্কে সমন্বয়ক হাসনাত-সারজিসের কাছে জানতে পেরেছেন বলেও জানান তিনি।
আজ বেলা ১১টার পর দ্বিতীয় দিনের মতো ট্রাইব্যুনালে নাহিদের জেরা শুরু হয়। দুপুর সাড়ে ১২টায় জেরা শেষে তিনি প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
এর আগে, ১৮ সেপ্টেম্বর বেলা সোয়া ১১টা থেকে ট্রাইব্যুনালে ৪৭ নম্বর সাক্ষী হিসেবে দ্বিতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য দেন এনসিপি আহ্বায়ক। দুপুরে তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিরতি দেওয়া হয়। বিরতি শেষে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তাকে জেরা করেন স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী। সেদিন শেষ না হওয়ায় আজ অবশিষ্ট জেরা হয়।
প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর আবদুস সাত্তার পালোয়ান ও অন্যান্যরা।