ঢাকা ০৯:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
টঙ্গীতে দুই শিশুকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার মা আমরা ধর্ম চর্চা করবো, কারো প্রতি বিদ্ধেষ করবোনা: ধর্ম উপদেষ্টা টঙ্গীতে ফ্ল্যাটে ঢুকে দুই শিশুকে কুপিয়ে হত্যা আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রত্যাশা: ড. খলিলুর রহমান ৫ মাসেও সন্ধান মিলেনি উখিয়ায় অপহ্নত ৪ জেলের : পরিবারে চলছে শোকের মাতম আগামীকালের ভর্তি পরীক্ষা নিতে প্রস্তুত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়  চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় যুবলীগ নেতা ইউছুফ আটক গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে মাকে হত্যা; ছেলে গ্রেফতার প্রেমিকের প্রলোভনে স্বামীকে তালাক, বিয়ের দাবিতে প্রেমিকার অনশন পুলিশের মদদে ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা ও হয়রানির অভিযোগ

শেখ হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে আরও ২ মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৮:০০:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ১০৪ Time View

বিধি না মেনে পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দ নেওয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে জয়ের বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ নিয়ে গত তিন দিনে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৬টি মামলা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।

দুদক সূত্রে জানা যায়, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় গৃহায়ন ও রাজউকের ৮ কর্মকর্তা, আর জয়কে নিয়ে দায়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ মোট ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এ নিয়ে বিগত তিন দিনে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ৬টি মামলা করেছে সংস্থাটি। প্রথমবারের মতো দুদকের মামলার আসামি হলেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

এর আগে, সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন জানিয়েছিলেন, রাজউক থেকে পূর্বাচলে প্লট গ্রহণের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ শেখ রেহানা, রেদোয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও আজমিনা সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে পৃথক ৩টি মামলা করেছে দুদক।

মামলার সুপারিশে শেখ হাসিনাসহ মোট ১৬ জনকে আসামি করে দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ১৬১/১৬৩/১৬৪/৪০৯/১০৯ ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় এ মামলা করা হয়েছে।

বাকি আসামিরা হলেন, শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউক-এর সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, রাজউক-এর সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, রাজউক-এর সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, রাজউক-এর সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, রাজউক-এর সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, রাজউক-এর সাবেক সদস্য (উন্নয়ন) মেজর ইঞ্জি. (অব.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, রাজউক-এর উপপরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-৩) মো. হাফিজুর রহমান, রাজউক-এর উপপরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-৩) হাবিবুর রহমান, রাজউক-এর পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম এবং রাজউক-এর সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মো. নুরুল ইসলাম।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে বলা হয়, ওই ব্যক্তিদের প্রভাবিত করে ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে আইনসম্মত পারিশ্রমিক না হওয়া সত্ত্বেও আইনমতে বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও পরস্পর যোগসাজশে নিজেরা লাভবান হয়ে ও অন্যকে লাভবান করার উদ্দেশ্যে বর্ণিত পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭নং সেক্টরের ২০৩ নং রাস্তার প্লট নং ০১৭ অভিযোগ সংশ্লিষ্ট জনাব সায়মা ওয়াজেদের নামে বরাদ্দ নিয়ে এবং অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সায়মা ওয়াজেদ প্লটের বাস্তব দখলসহ রেজিস্ট্রিমূলে প্লট গ্রহণ করে, প্রতারণামূলক অবৈধ পারিতোষিক গ্রহণ ও প্রদান ও অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ এবং বেআইনি অনুগ্রহ প্রদর্শনের দ্বারা বর্ণিত আসামিগণ পরস্পর যোগসাজশে দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ১৬১/১৬৩/১৬৪/৪০৯/১০৯ ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় দণ্ডযোগ্য অপরাধ করেছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

শেখ হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে আরও ২ মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
Update Time : ০৮:০০:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

বিধি না মেনে পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দ নেওয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে জয়ের বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ নিয়ে গত তিন দিনে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৬টি মামলা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।

দুদক সূত্রে জানা যায়, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় গৃহায়ন ও রাজউকের ৮ কর্মকর্তা, আর জয়কে নিয়ে দায়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ মোট ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এ নিয়ে বিগত তিন দিনে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ৬টি মামলা করেছে সংস্থাটি। প্রথমবারের মতো দুদকের মামলার আসামি হলেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

এর আগে, সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন জানিয়েছিলেন, রাজউক থেকে পূর্বাচলে প্লট গ্রহণের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ শেখ রেহানা, রেদোয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও আজমিনা সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে পৃথক ৩টি মামলা করেছে দুদক।

মামলার সুপারিশে শেখ হাসিনাসহ মোট ১৬ জনকে আসামি করে দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ১৬১/১৬৩/১৬৪/৪০৯/১০৯ ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় এ মামলা করা হয়েছে।

বাকি আসামিরা হলেন, শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউক-এর সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, রাজউক-এর সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, রাজউক-এর সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, রাজউক-এর সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, রাজউক-এর সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, রাজউক-এর সাবেক সদস্য (উন্নয়ন) মেজর ইঞ্জি. (অব.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, রাজউক-এর উপপরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-৩) মো. হাফিজুর রহমান, রাজউক-এর উপপরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-৩) হাবিবুর রহমান, রাজউক-এর পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম এবং রাজউক-এর সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মো. নুরুল ইসলাম।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে বলা হয়, ওই ব্যক্তিদের প্রভাবিত করে ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে আইনসম্মত পারিশ্রমিক না হওয়া সত্ত্বেও আইনমতে বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও পরস্পর যোগসাজশে নিজেরা লাভবান হয়ে ও অন্যকে লাভবান করার উদ্দেশ্যে বর্ণিত পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭নং সেক্টরের ২০৩ নং রাস্তার প্লট নং ০১৭ অভিযোগ সংশ্লিষ্ট জনাব সায়মা ওয়াজেদের নামে বরাদ্দ নিয়ে এবং অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সায়মা ওয়াজেদ প্লটের বাস্তব দখলসহ রেজিস্ট্রিমূলে প্লট গ্রহণ করে, প্রতারণামূলক অবৈধ পারিতোষিক গ্রহণ ও প্রদান ও অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ এবং বেআইনি অনুগ্রহ প্রদর্শনের দ্বারা বর্ণিত আসামিগণ পরস্পর যোগসাজশে দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ১৬১/১৬৩/১৬৪/৪০৯/১০৯ ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় দণ্ডযোগ্য অপরাধ করেছেন।