রূপগঞ্জে মাদ্রাসা শিক্ষক কর্তৃক তিন শিক্ষার্থী বলাৎকারের অভিযোগে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ

- Update Time : ০৭:১০:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
- / ১৬১ Time View
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের আধুরিয়া ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার তিন শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন (২২)-এর শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছেন স্থানীয়রা।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আধুরিয়া এলাকায় শত শত মাদ্রাসা শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী সড়কের উপর গাছের গুড়ি ও বাঁশ ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করেন। এতে সড়কের উভয় পাশে প্রায় ৮ কিলোমিটারজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে দূরপাল্লার যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হন।
খবর পেয়ে দুপুর ১টার দিকে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ তারিকুল আলম এবং রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষুব্ধদের শান্ত করেন। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে স্থানীয়রা অবরোধ তুলে নেন।
পুলিশ জানায়, গত ১৮ অক্টোবর (শনিবার) রাতে আধুরিয়া ইসলামিয়া তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসার নূরানী বিভাগের এক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেনকে স্থানীয়রা আটক করে গণপিটুনি দেয়। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। অভিযুক্ত শিক্ষক কুমিল্লা জেলার হোমনা থানার বাসিন্দা।
বলাৎকারের শিকার ছাত্রকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সরেজমিনে জানা যায়, ওই শিক্ষক শনিবার সন্ধ্যায় কৌশলে ছাত্রটিকে বলাৎকার করেন। বিষয়টি রাতে জানাজানি হলে ছাত্রটির পরিবার ও এলাকাবাসী মাদ্রাসায় গিয়ে ঘটনার সত্যতা যাচাই করেন এবং উত্তেজিত জনতা শিক্ষককে আটক করে গণপিটুনি দেন।
বলাৎকারের শিকার ছাত্রের পিতা ইয়ার আহম্মেদ রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তবে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম সিরাজীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নিরঞ্জন দাস জানান, অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বলাৎকারের শিকার শিক্ষার্থীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান জানান, পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মাদ্রাসার অন্য কোনো শিক্ষার্থী একইভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হবে।