রুমা-থানচি সড়কে ধস,যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

- Update Time : ০৬:০৪:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অগাস্ট ২০২৩
- / ১০৯ Time View
বান্দরবানে টানা বর্ষণে পাহাড় ধসে রুমা ও থানচি উপজেলা সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিধ্বস্ত সড়কটির কোথাও কোথাও রাস্তার চিহ্নও খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে উপজেলাগুলোর সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
স্থানীয়রা জানায়, অবিরাম বর্ষণে পাহাড়ি ঢলে পাহাড় ধসে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে রুমা ও থানচি উপজেলা। সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গেছে রাস্তা। থানচি সড়কের বলিপাড়ার আগে বারো কিলোমিটার এলাকায়, বিদ্যামনি পাড়া, ভিনতে পাড়া, শীলাঝিড়ি, প্রাতুই পাড়া, পোড়া বাংলোসহ সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রুমা সড়কের ওয়াইজংশনের কয়েক কিলোমিটার দূরে, মুরুং পাড়ার মুখেসহ সড়কটির কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধসে পড়েছে। সকড়ের বিভিন্ন পয়েন্টে ভেঙে গেছে রাস্তাও। সড়ক বিধস্ত হওয়ায় গত সোমবার থেকে রুমা ও থানচি উপজেলার সাথে চারদিন ধরে বন্ধ রয়েছে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। সড়কের কোথাও বিশফিট, আবার কোথাও চল্লিশ ফিট পর্যন্ত সড়ক ধসে পড়েছে কয়েকশো ফুট পাহাড়ের নীচে।
স্থানীয় বাসিন্দার মংসিন হ্লা বলেন, থানচি সড়কের বেশকটি স্থানে বৃষ্টিতে সড়ক ধসে পড়েছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে চারদিন ধরে। প্রয়োজনীয় কাজ থাকার পরও বান্দরবান যেতে পারছে না লোকজন। চরম দুর্ভোগে পড়েছে উপজেলাবাসীরা। দ্রুত সড়কটি সংস্কারের মাধ্যমে চালু করার দাবি জানাচ্ছি।স্থানীয় বাসিন্দার থোয়াই হ্লা মং বলেন, রুমা সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভেঙে পড়েছে পাহাড়। পায়ে হেঁটে যাওয়ারও ব্যবস্থাও নেই কোথাও কোথাও। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় থানচিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সংকট দেখা দিয়েছে।
থানচি উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা (পিআইও) সুজন মিয়া বলেন, থানচি সড়কের বিভিন্ন স্থানে সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারমধ্য বিদ্যামনি পাড়া, ভিনতে পাড়া, শীলাঝিড়ি, প্রাতুই পাড়া কয়েকটি স্থানে সড়কে বেশি ক্ষতি হয়েছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। কবে নাগাদ রাস্তাটি স্বাভাবিক হবে বলা মুশকিল।
বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন চৌধুরী জানান, পাহাড় ধস ও বন্যায় সড়কগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তার মধ্যে রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি, লামা এবং বান্দরবান–চট্টগ্রাম ও বান্দরবান–রাঙামাটি সড়কগুলোর ক্ষতির পরিমান বেশি। যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রাখতে কাজ শুরু করেছে সড়ক বিভাগ। মোটামুটি সবগুলো রুটে যানবাহন চলাচল করতে পারছে।