ঢাকা ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাশিয়ার ভয়াবহ হামলায় ইউক্রেনে বিদ্যুৎ বিপর্যয়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৯:৪৪:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৪ Time View

ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থায় ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে দেশটির বেশিরভাগ বিদ্যুৎকেন্দ্র ধ্বংস হয়ে গেছে এবং ব্যাপক বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে।

দ্য গার্ডিয়ান জানায়, রবিবার রাশিয়ার ধারাবাহিক হামলার পর ইউক্রেনের বহু অঞ্চল অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। যেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে, সেখানেও দিনে ৮ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং চলছে।

দেশটির বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা ইউক্রেনএরগো জানিয়েছে, হামলার ফলে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ‘শূন্যে’ নেমে এসেছে। তবে বিকল্প উৎস থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের চেষ্টা এবং ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো মেরামতের কাজ চলছে।

ইউক্রেনের জ্বালানিমন্ত্রী ভিতলানা গ্রিনচুক জানিয়েছেন, কিয়েভ, নিপ্রোপেত্রাভস্ক, দোনেৎস্ক, খারকিভ, পলতাভা, চেরনিহিভ ও সুমি অঞ্চলে সরবরাহ কিছুটা স্থিতিশীল হলেও সেখানে নিয়মিত বিদ্যুৎবিভ্রাট থাকবে।

গত কয়েক মাসে ইউক্রেনজুড়ে হামলা তীব্র করেছে রাশিয়া। বিশেষ করে গত শুক্রবার থেকে শনিবার পর্যন্ত দেশটির জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে কয়েকশ ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের বরাতে জানা গেছে, এসব হামলায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন।

এদিকে, যুদ্ধের সক্ষমতা বাড়াতে আফ্রিকার ৩৬টি দেশ থেকে প্রায় ১ হাজার ৪০০ জনকে সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করেছে রাশিয়া বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেই সাইবিহা। তিনি আফ্রিকান দেশগুলোর নাগরিকদের এই যুদ্ধে অংশ না নেওয়ার আহ্বান জানান।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছেন যে, রাশিয়ার হয়ে বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে। সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়া তথ্যপ্রমাণসহ জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার সেনারাও এই যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

রাশিয়ার ভয়াবহ হামলায় ইউক্রেনে বিদ্যুৎ বিপর্যয়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ০৯:৪৪:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থায় ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে দেশটির বেশিরভাগ বিদ্যুৎকেন্দ্র ধ্বংস হয়ে গেছে এবং ব্যাপক বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে।

দ্য গার্ডিয়ান জানায়, রবিবার রাশিয়ার ধারাবাহিক হামলার পর ইউক্রেনের বহু অঞ্চল অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। যেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে, সেখানেও দিনে ৮ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং চলছে।

দেশটির বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা ইউক্রেনএরগো জানিয়েছে, হামলার ফলে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ‘শূন্যে’ নেমে এসেছে। তবে বিকল্প উৎস থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের চেষ্টা এবং ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো মেরামতের কাজ চলছে।

ইউক্রেনের জ্বালানিমন্ত্রী ভিতলানা গ্রিনচুক জানিয়েছেন, কিয়েভ, নিপ্রোপেত্রাভস্ক, দোনেৎস্ক, খারকিভ, পলতাভা, চেরনিহিভ ও সুমি অঞ্চলে সরবরাহ কিছুটা স্থিতিশীল হলেও সেখানে নিয়মিত বিদ্যুৎবিভ্রাট থাকবে।

গত কয়েক মাসে ইউক্রেনজুড়ে হামলা তীব্র করেছে রাশিয়া। বিশেষ করে গত শুক্রবার থেকে শনিবার পর্যন্ত দেশটির জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে কয়েকশ ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের বরাতে জানা গেছে, এসব হামলায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন।

এদিকে, যুদ্ধের সক্ষমতা বাড়াতে আফ্রিকার ৩৬টি দেশ থেকে প্রায় ১ হাজার ৪০০ জনকে সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করেছে রাশিয়া বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেই সাইবিহা। তিনি আফ্রিকান দেশগুলোর নাগরিকদের এই যুদ্ধে অংশ না নেওয়ার আহ্বান জানান।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছেন যে, রাশিয়ার হয়ে বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে। সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়া তথ্যপ্রমাণসহ জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার সেনারাও এই যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে।