ঢাকা ০৪:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ঢাকায় যুক্ত হচ্ছে ৪০০ ইলেকট্রিক বাস! ছিনতাইকারীর কবল থেকে ইরানী দম্পতিকে উদ্ধার করলো সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা ক্যাম্প থাকলে স্থানীয়দের চাকরি থাকবে এটাই শেষ কথা! বৈছাআ ও বিএনপি নেতাদের সেনাবাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদ, রংপুরে ছুটে এলেন সারজিস দেশের ১৮ কোটি মানুষেরই পরিবেশ সচেতন হওয়া জরুরি – উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান টাকার বিনিময়ে ইরানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করছে ইসরায়েলিরা মেঘনায় ট্রলার ডুবিতে সাব পোস্টমাস্টারসহ ২জনের মৃত্যু, নিখোঁজ-২ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জনগণের সাথে আরও নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে – পানি সম্পদ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে জড়িয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ প্রকাশে নিন্দা ও প্রতিবাদ এনসিপি’র যুক্তরাজ্যে ই-সিগারেট বিক্রি নিষিদ্ধ
শুল্ক আরোপের খবর

রাতারাতি বাড়ল পেঁয়াজের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৪:৫০:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১৮৭ Time View

ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পরপরই বাংলাদেশে পণ্যটির বাজারে হঠাৎ অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। শুল্কযুক্ত দামের পেঁয়াজ এখনো আমদানি না হলেও দেশের বাজারে একদিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি অন্তত ২০ টাকা বেড়ে গেছে। বাজারে সিন্ডিকেটের প্রভাবে হঠাৎ এমন অস্থিরতা তৈরি হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। যদিও ব্যবসায়ীরা বলছেন সরবরাহ কম থাকায় পণ্যটির দাম বাড়ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এতদিন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে কোনো শুল্ক দিতে হতো না বাংলাদেশকে। গতকাল হঠাৎ পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয় দেশটি। দেশটির বাজারে পেঁয়াজের দামের নাগাল টানতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানানো হয়। আজ (রোববার) থেকে এটি কার্যকর হয়ে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সবশেষ ভারত থেকে ৩৮ থেকে ৪৬ টাকায় পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। শুল্ক আরোপের পর কেজি প্রতি ৫৩ থেকে ৬৫ টাকা পর্যন্ত খরচ পড়বে।

এদিকে ভারত থেকে এখনো বাড়তি দামে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেননি ব্যবসায়ীরা। তারপরও কেবল শুল্ক আরোপের খবর শুনেই দেশের বাজারে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল (শনিবার) দেশের অন্যতম বৃহৎ ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৪৬ থেকে ৫০ টাকা। আজ (রোববার) বিক্রি হচ্ছে ৬৬ থেকে ৭০ টাকা। এছাড়া চট্টগ্রামের রিয়াজ উদ্দিন বাজারসহ বিভিন্ন খুচরা দোকানে আজ কেজিপ্রতি পেঁয়াজ ৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, শুল্ক আরোপের ঘোষণাতে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের স্বভাব এমনই। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তি দামের পণ্য দেশে আসার আগেই দাম বাড়িয়ে দেন তারা। আবার কোনো সময় দাম কমলেও পণ্য এখনো আসেনি বলে দাম কমাতে চান না।

Please Share This Post in Your Social Media

শুল্ক আরোপের খবর

রাতারাতি বাড়ল পেঁয়াজের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
Update Time : ০৪:৫০:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩

ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পরপরই বাংলাদেশে পণ্যটির বাজারে হঠাৎ অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। শুল্কযুক্ত দামের পেঁয়াজ এখনো আমদানি না হলেও দেশের বাজারে একদিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি অন্তত ২০ টাকা বেড়ে গেছে। বাজারে সিন্ডিকেটের প্রভাবে হঠাৎ এমন অস্থিরতা তৈরি হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। যদিও ব্যবসায়ীরা বলছেন সরবরাহ কম থাকায় পণ্যটির দাম বাড়ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এতদিন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে কোনো শুল্ক দিতে হতো না বাংলাদেশকে। গতকাল হঠাৎ পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয় দেশটি। দেশটির বাজারে পেঁয়াজের দামের নাগাল টানতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানানো হয়। আজ (রোববার) থেকে এটি কার্যকর হয়ে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সবশেষ ভারত থেকে ৩৮ থেকে ৪৬ টাকায় পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। শুল্ক আরোপের পর কেজি প্রতি ৫৩ থেকে ৬৫ টাকা পর্যন্ত খরচ পড়বে।

এদিকে ভারত থেকে এখনো বাড়তি দামে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেননি ব্যবসায়ীরা। তারপরও কেবল শুল্ক আরোপের খবর শুনেই দেশের বাজারে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল (শনিবার) দেশের অন্যতম বৃহৎ ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৪৬ থেকে ৫০ টাকা। আজ (রোববার) বিক্রি হচ্ছে ৬৬ থেকে ৭০ টাকা। এছাড়া চট্টগ্রামের রিয়াজ উদ্দিন বাজারসহ বিভিন্ন খুচরা দোকানে আজ কেজিপ্রতি পেঁয়াজ ৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, শুল্ক আরোপের ঘোষণাতে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের স্বভাব এমনই। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তি দামের পণ্য দেশে আসার আগেই দাম বাড়িয়ে দেন তারা। আবার কোনো সময় দাম কমলেও পণ্য এখনো আসেনি বলে দাম কমাতে চান না।