রাত নামতেই শাহবাগ দখলে নেয় ‘সমকামীরা’

- Update Time : ১২:০৮:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
- / ৭৭ Time View
বিশ্বব্যাপী সামাজিক কাঠামো ও ব্যক্তিগত পরিচয়ের চর্চায় গত কয়েক দশকে যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে, তার অন্যতম একটি দিক হলো সমকামীতার প্রসার। অজানা এক কোন কারণে পশ্চিমা শক্তিগুলো সমকামিতাকে উৎসাহ দিচ্ছে।
ইসলাম ধর্মে মতে, লূত (আঃ)-এর জাতির ঘটনা সমকামীতার সবচেয়ে প্রাচীন বলে মনে হয়। আমরা জানি সমকামীতার জন্য লূত জাতিকে মহান আল্লাহতালা ধ্বংস করে দিয়েছিলেন।
পবিত্র কুরআনের সূরা আরাফে আরাফের ৮১ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলেন, ” তোমরা যৌন তাড়নায় স্ত্রীদের বাদ দিয়ে পুরুষদের নিকট গমন করছ, তোমরা হচ্ছ এক সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়।”
এরপর ৮৪ নাম্বার আয়াতে তাদের ধ্বংস নিয়ে মহান আল্লাহ বলেন “তাদের উপর এক পাথরের বৃষ্টি বর্ষিয়ে দিলাম। তারপর দেখ অপরাধীদের পরিণতি কী হয়েছিল!”
সমকামিতা পশ্চিমা সমাজে এখন অনেক বেশি খোলামেলা আলোচিত এবং স্বীকৃত। তাদের সমাজব্যবস্থায় এটি এখন পরিচয়ের একটি অংশ হিসেবে গণ্য হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের সমাজেও বিশেষ করে ঢাকায় এই প্রবণতা বেশী লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিষয়টি আর গোপন নয়।
শহরের কিছু এলাকা যেমন শাহবাগ মোড়, রমনা পার্ক বা ফার্মগেট সন্ধ্যার পর একপ্রকার গোপনীয় মিলনস্থলে রূপ নিচ্ছে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অনেকে আগে থেকেই পরিচিত আবার অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, বিশেষ করে ফেসবুক বা মেসেজিং অ্যাপে, গ্রুপে যোগাযোগ করে এখানে এসে সঙ্গী খুঁজে নেয়। শাহবাগ ও আশেপাশের এলাকা তাদের কাছে একটি ‘নিরাপদ জোন’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
তবে প্রশ্ন থেকে যায়, সামাজিক ও ধর্মীয় বাস্তবতায় আমাদের জন্য কতটা গ্রহণযোগ্য? বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ, যেখানে ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং সামাজিক রীতিনীতির মধ্যে এখনও সমকামীতার কোনও স্বীকৃতি নেই। এই প্রেক্ষাপটে রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে এই আচরণের দৃশ্যমানতা কেবল সমাজের প্রচলিত বিশ্বাসকে নয়, ধর্মীয় মূল্যবোধকেও চ্যালেঞ্জ করছে।
প্রশাসনের নাগের ডগায় নিয়মিত জনসম্মুখে সমকামীদের মেলামেশা প্রশাসনের সক্ষমতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে।