রংপুরে ৮ দিন পর ধানখেত থেকে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

- Update Time : ০৮:৪১:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪
- / ৮৬ Time View
মাদরাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী রুবেল মিয়া (১৫) নিখোঁজের ৮ দিন পর ধানখেত থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত রুবেল মিয়া ছোট কল্যাণী তালতলা গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে।
এ ঘটনায় নিহতের ভগ্নিপতি হাসান আলী আপেল ও সোহাগ নামের সন্দেহভাজন দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১১ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) উৎপল কুমার রায়।
তিনি বলেন, সোমবার (১০ জুন) রাতে পীরগাছা উপজেলার কল্যাণী ইউনিয়নের মদকপাড়া গ্রামের একটি ধানখেত থেকে অর্ধগলিত মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, বড়দরগা বাজারে একটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে ক্লাস করার জন্য ২ জুন রাত ৯টার দিকে বের হয় রুবেল মিয়া। এরপর থেকে তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। রুবেলের সন্ধান না পেয়ে বাবা বেলাল হোসেন ৩ জুন আরপিএমপি মেট্রোপলিটন মাহিগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
জিডির সূত্র ধরে সন্দেহভাজন হিসেবে নিহতের ভগ্নিপতি হাসান আলী আপেলকে সোমবার (১০ জুন) দুপুরে আটক করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রুবেল মিয়ার মরদেহ ধানখেত থেকে উদ্ধার করা হয়।
নিহত রুবেলের বাবা বেলাল হোসেন বলেন, ছেলে নিখোঁজের পর অনেক খোঁজাখুঁজির করে কোনো সন্ধান না পেয়ে মেট্রোপলিটন মাহিগঞ্জ থানায় সন্দেহভাজন হিসেবে তিনজনের নাম দিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি। পরে পুলিশ একজনকে আটক করে তার দেওয়া তথ্যে মতে আমার ছেলের মরদেহ ধানখেত থেকে উদ্ধার করা হয়। পারিবারিকদ্বন্দ থেকে আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) উৎপল কুমার রায় বলেন, মাহিগঞ্জ থানায় ভুক্তভোগীর বাবা একটি সাধারণ ডায়েরি করে। আমরা ডায়েরির পর থেকে প্রযুক্তির মাধ্যমে শনাক্ত করি নিহতের ভগ্নিপতি হাসান আলী আপেলকে। পরে আপেলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রুবেলের মরদেহের সন্ধান পাই। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে এবং তদন্তের মাধ্যমে আসল রহস্য উদঘাটন হবে বলে জানান তিনি।