ঢাকা ০৩:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
৭ বছরে ও সুবর্ণা হত্যার বিচার হয়নি, হুমকির মুখে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন অপচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু; রংপুরে দুই ক্লিনিককে জরিমানা,ওটি সিলগালা পিআর পদ্ধতি দেশকে আরও বেশি স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেবে – রিজভী তিন দফা দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিল শেকৃবি শিক্ষার্থীরা কুবিতে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ অভিযুক্ত ব্যাচের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ; তদন্ত কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ১-১১’র প্রেক্ষাপট তৈরি করে আ.লীগ কর্তৃত্বশীল শাসকরূপে চিহ্নিত হয় : মাওলানা আবদুল হালিম মাদক বিষাক্ত সাপের মতো ব্যক্তি ও সমাজকে নিঃশেষ করে দেয় জুলাই আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ শুরু হয়েছিল রংপুর থেকেই: নাহিদ ইসলাম

রংপুরে চিকিৎসার অবহেলায় হাসপাতালে ৪ শিশুর মৃত্যু

কামরুল হাসান টিটু, রংপুর ব‌্যু‌রো
  • Update Time : ০৯:৫১:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১১৭ Time View

রংপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার অবহেলার কারণে দুইদিনের ব্যবধানে ৪ জন নবজাতকের মৃত্যুর হয়েছে।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) নগরীর বাংলাদেশ ব্যাংক মোড় বেতার সংলগ্ন অবস্থিত রংপুর নবজাতক শিশু ও প্রসুতি সেবা হাসপাতালে এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। রাতে হাসপাতালে বিক্ষোভ করে নিহত নবজাতকের পরিবাররা।

শিশু মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই হাসপাতালের সহকারী ম্যানেজার আজিজুল ইসলাম। মারা যাওয়া নবজাতক শিশুদের বয়স ৪ থেকে ১২ দিন।

নিহত নবজাতক শিশুর পরিবার সুত্রে জানা যায়, শিশুদের হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে কোন শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখতে আসেননি। প্রয়োজন মাফিক কোন চিকিৎসা সেবা দিতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বরং শিশু মারা যাওয়ার পরেও টাকার লোভে এনআইসিইউ তে রেখে বিল বাড়ায়। পরে অভিভাবকদের চাপাচাপির কারণে মারা যাওয়ার বিষয়টি শিকার করেন। চিকিৎসা জনিত অবহেলার কারণে বাচ্চা মারা গেলেও তাদের কোনো অনুসুচনা নাই উল্টো হাজার হাজার টাকার স্লিপ ধরিয়ে দিয়ে বিল পরিশোধের চাপ দিতে থাকে কর্তৃপক্ষ।

নিহত শিশুর অভিভাবক আশিকুর রহমান আশিক জানান, কুড়িগ্রাম ভুরুঙ্গামারী থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তার স্ত্রী। পরে মেডিকেলে সিজারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম নেন। সন্তান জন্ম নেয়ার পরপরই চিকিৎসকরা এনআইসিইউ নিতে বলে। কিন্তু মেডিকেলের এনআইসিইউতে সীট না থাকায় এক দালাল তার সন্তানকে এই হাসপাতালে ভর্তি করাতে প্রলুব্ধ করেন।

পরে সন্তানকে সুস্থ করতে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির চারদিন হলেও কোন রকম বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মেলেনি। ভালো নার্সও পাওয়া যায়নি এখানে। আয়ারাই নার্সের কাজ করে। চিকিৎসকের কথা বললে এই আসছে, কিছুক্ষণ পর আসবে, আজকে আসবে না, কালকে আসবে। এভাবে চারদিন অতিবাহিত হলেও চিকিৎসকের দেখা পাওয়া যায়নি। শেষমেস আমার সন্তানকে তারা মেরেই ফেললো। আমি এই হাসপাতালের সাথে জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই। বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

এসময় হাসপাতালের কোন চিকিৎসক না থাকায় কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

রংপুরে চিকিৎসার অবহেলায় হাসপাতালে ৪ শিশুর মৃত্যু

কামরুল হাসান টিটু, রংপুর ব‌্যু‌রো
Update Time : ০৯:৫১:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪

রংপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার অবহেলার কারণে দুইদিনের ব্যবধানে ৪ জন নবজাতকের মৃত্যুর হয়েছে।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) নগরীর বাংলাদেশ ব্যাংক মোড় বেতার সংলগ্ন অবস্থিত রংপুর নবজাতক শিশু ও প্রসুতি সেবা হাসপাতালে এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। রাতে হাসপাতালে বিক্ষোভ করে নিহত নবজাতকের পরিবাররা।

শিশু মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই হাসপাতালের সহকারী ম্যানেজার আজিজুল ইসলাম। মারা যাওয়া নবজাতক শিশুদের বয়স ৪ থেকে ১২ দিন।

নিহত নবজাতক শিশুর পরিবার সুত্রে জানা যায়, শিশুদের হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে কোন শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখতে আসেননি। প্রয়োজন মাফিক কোন চিকিৎসা সেবা দিতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বরং শিশু মারা যাওয়ার পরেও টাকার লোভে এনআইসিইউ তে রেখে বিল বাড়ায়। পরে অভিভাবকদের চাপাচাপির কারণে মারা যাওয়ার বিষয়টি শিকার করেন। চিকিৎসা জনিত অবহেলার কারণে বাচ্চা মারা গেলেও তাদের কোনো অনুসুচনা নাই উল্টো হাজার হাজার টাকার স্লিপ ধরিয়ে দিয়ে বিল পরিশোধের চাপ দিতে থাকে কর্তৃপক্ষ।

নিহত শিশুর অভিভাবক আশিকুর রহমান আশিক জানান, কুড়িগ্রাম ভুরুঙ্গামারী থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তার স্ত্রী। পরে মেডিকেলে সিজারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম নেন। সন্তান জন্ম নেয়ার পরপরই চিকিৎসকরা এনআইসিইউ নিতে বলে। কিন্তু মেডিকেলের এনআইসিইউতে সীট না থাকায় এক দালাল তার সন্তানকে এই হাসপাতালে ভর্তি করাতে প্রলুব্ধ করেন।

পরে সন্তানকে সুস্থ করতে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির চারদিন হলেও কোন রকম বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মেলেনি। ভালো নার্সও পাওয়া যায়নি এখানে। আয়ারাই নার্সের কাজ করে। চিকিৎসকের কথা বললে এই আসছে, কিছুক্ষণ পর আসবে, আজকে আসবে না, কালকে আসবে। এভাবে চারদিন অতিবাহিত হলেও চিকিৎসকের দেখা পাওয়া যায়নি। শেষমেস আমার সন্তানকে তারা মেরেই ফেললো। আমি এই হাসপাতালের সাথে জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই। বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

এসময় হাসপাতালের কোন চিকিৎসক না থাকায় কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।