যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় আরও পাঁচ দেশ
- Update Time : ১২:০৭:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
- / ১১ Time View
যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার পাঁচটি দেশের নাম নতুন করে যুক্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তালিকায় ফিলিস্তিনকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে এসব দেশ ও ভূখণ্ডের নাগরিকেরা এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে গতকাল মঙ্গলবার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় নতুন নাম যুক্ত করার ঘোষণা দেওয়া হয়। মূলত অভিবাসনের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্প প্রশাসন এ তালিকা আরও বড় করেছে।
ফিলিস্তিন ছাড়াও তালিকায় থাকা নতুন পাঁচটি দেশ হলো—সিরিয়া, বুরকিনা ফাসো, মালি, নাইজার ও দক্ষিণ সুদান। এর আগে গত জুনে ১২টি দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। দেশগুলো হলো—ইরান, আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন।
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে এখনো স্বীকৃতি দেয়নি ওয়াশিংটন। তাই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় সরাসরি ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্র’ বলা হয়নি। এমনকি ‘অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড’ বলতে নারাজ ট্রাম্প প্রশাসন। নথিতে ফিলিস্তিনিদের ‘পিএ বা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত ভ্রমণ নথি নিয়ে ভ্রমণের চেষ্টাকারী ব্যক্তি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
সম্প্রতি ওয়াশিংটনে ন্যাশনাল গার্ডের দুজন সদস্যকে গুলি করা হয়। তাঁদের একজন পরে মারা যান। এর পর থেকে ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসনের বিরুদ্ধে আরও বেশি কঠোর অবস্থান নেয়। ওই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ‘তৃতীয় বিশ্ব’ থেকে অভিবাসনের ওপর ‘স্থায়ী স্থগিতাদেশের’ ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। এরও কয়েক সপ্তাহ পর তিনি ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতা বাড়ালেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের এমন উদ্যোগের কড়া সমালোচনা করেছেন মার্কিন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য রাশিদা তায়েব। ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ও ডেমোক্রেটিক পার্টির এ কংগ্রেস সদস্য ট্রাম্প আর তাঁর শীর্ষ সহযোগী স্টিফেন মিলারের বিরুদ্ধে দেশের জনমিতি বদলে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ এনেছেন।



























































































































































































