ঢাকা ১২:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মৎস্য অধিদপ্তরের অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়ন ও নিয়োগের দাবিতে বাকৃবিতে বিক্ষোভ

সাঈদা জাহান খুকী, বাকৃবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৬:২৫:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
  • / ৩৯ Time View

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন মৎস্য অধিদপ্তরের প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়ন এবং সৃজিত নতুন পদে দ্রুত নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৫ মে) দুপুর ১টার দিকে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের সামনের প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় অনুষদের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে মানববন্ধনে অংশ নেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচিতে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশের মৎস্যখাতের উন্নয়ন ও সুশাসন নিশ্চিত করতে প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি। নতুন যে পদগুলো সৃষ্টি করা হয়েছে, সেগুলোতে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু না হলে দক্ষ জনবল সংকটে ভুগবে মৎস্য অধিদপ্তর। বক্তারা আরও বলেন, নিয়োগ বিলম্বিত হলে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানেও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন মৎস্য অধিদপ্তর ২০১৫সালে “মৎস্য সম্প্রসারণ ও মাননিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা” ৩৯৫টি নতুন পদ সৃষ্টি ও অর্গানোগ্রাম সংশোধনের প্রস্তাবনা উত্থাপন করলেও বিগত দশ বছরেও এর বাস্তবায়ন হয়নি।এই পদ শুধুমাত্র ফিশারিজ গ্রাজুয়েটদের জন্য।

চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী গোলাম সাকলাইন বলেন, সমুদ্র বিজয়ের ফলে বাংলাদেশের ব্লু ইকোনমির অপার সম্ভাবনা তৈরি হলেও, এই খাতটিকে এখনও পর্যন্ত যথাযথভাবে কাজে লাগানো যায়নি। প্রতি বছর হাজার হাজার ফিশারিজ গ্রাজুয়েট তৈরি হচ্ছে, কিন্তু তারা তাদের অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতাকে সঠিকভাবে প্রয়োগ করার সুযোগ পাচ্ছে না।

মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো রফিকুল ইসলাম সরদার তার বক্তব্যে বলেন, সম্প্রতি চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড অ্যানিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) ১২ বছর পূর্তি উদযাপনে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের ডিনগণ উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আমরা বাংলাদেশ ফিশারিজ কাউন্সিল গঠন করার জন্য আলোচনা করেছি। কাউন্সিল হলে ফিশারিজ গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীরা মাছের রোগ নির্ণয় করে, প্রেসক্রিপশন করতে পারবে।

Please Share This Post in Your Social Media

মৎস্য অধিদপ্তরের অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়ন ও নিয়োগের দাবিতে বাকৃবিতে বিক্ষোভ

সাঈদা জাহান খুকী, বাকৃবি প্রতিনিধি
Update Time : ০৬:২৫:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন মৎস্য অধিদপ্তরের প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়ন এবং সৃজিত নতুন পদে দ্রুত নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৫ মে) দুপুর ১টার দিকে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের সামনের প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় অনুষদের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে মানববন্ধনে অংশ নেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচিতে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশের মৎস্যখাতের উন্নয়ন ও সুশাসন নিশ্চিত করতে প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি। নতুন যে পদগুলো সৃষ্টি করা হয়েছে, সেগুলোতে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু না হলে দক্ষ জনবল সংকটে ভুগবে মৎস্য অধিদপ্তর। বক্তারা আরও বলেন, নিয়োগ বিলম্বিত হলে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানেও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন মৎস্য অধিদপ্তর ২০১৫সালে “মৎস্য সম্প্রসারণ ও মাননিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা” ৩৯৫টি নতুন পদ সৃষ্টি ও অর্গানোগ্রাম সংশোধনের প্রস্তাবনা উত্থাপন করলেও বিগত দশ বছরেও এর বাস্তবায়ন হয়নি।এই পদ শুধুমাত্র ফিশারিজ গ্রাজুয়েটদের জন্য।

চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী গোলাম সাকলাইন বলেন, সমুদ্র বিজয়ের ফলে বাংলাদেশের ব্লু ইকোনমির অপার সম্ভাবনা তৈরি হলেও, এই খাতটিকে এখনও পর্যন্ত যথাযথভাবে কাজে লাগানো যায়নি। প্রতি বছর হাজার হাজার ফিশারিজ গ্রাজুয়েট তৈরি হচ্ছে, কিন্তু তারা তাদের অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতাকে সঠিকভাবে প্রয়োগ করার সুযোগ পাচ্ছে না।

মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো রফিকুল ইসলাম সরদার তার বক্তব্যে বলেন, সম্প্রতি চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড অ্যানিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) ১২ বছর পূর্তি উদযাপনে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের ডিনগণ উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আমরা বাংলাদেশ ফিশারিজ কাউন্সিল গঠন করার জন্য আলোচনা করেছি। কাউন্সিল হলে ফিশারিজ গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীরা মাছের রোগ নির্ণয় করে, প্রেসক্রিপশন করতে পারবে।