মোটা অংকের অর্থ সংগ্রহে নেমেছে দুই সাংবাদিক নেতা

- Update Time : ১১:৫৬:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০২৪
- / ৩১৩ Time View
ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারি হাসিনা সরকারের পতনের পর সর্বস্তরে চলছে শুদ্ধি অভিযান। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও সেক্টর করপোরেশনে চিহ্নিত দালালরা হয় পদত্যাগ করেছে অথবা ছাত্র জনতার চাপের মুখে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। গণমাধ্যমও এর ব্যাতিক্রম নয়।
সরকার পতনের পর জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এবং সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত গা ঢাকা দেয়। প্রথম জন দেশের বাইরে চলে যেতে পারলেও দ্বিতীয় জন বিদেশে যেতে গিয়ে ইমিগ্রেশনের বাধায় যেতে পারেননি। এই অবস্থায় তৎপর হয়ে উঠে জাতীয়তাবাদী ঘরোনার দুই সাংবাদিক নেতা। এদের একজন পুরোনো দুর্নীতিবাজ হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। আরেকজন একটি বড় দলের বিভিন্ন পদ পদবি ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন এমন কথা সবার মুখে মুখে।
সারা দেশে সব প্রতিষ্ঠান দখল হলেও এই দুইজন ফরিদা এবং শ্যামলের রুম তিনদিন পর্যন্ত অক্ষত রাখে। গোপনে তারা শ্যামলের সঙ্গে যোগাযোগ করে মোটা অংকের অর্থও আদায় করে বলে অভিযোগ রয়েছে। অবশ্য শেষ রক্ষা হয়নি, জুনিয়র সাংবাদিকরা মিছিল করে গিয়ে ওই রুম দুটি খুলে শেখ মুজিব এবং হাসিনার ছবি ভেঙ্গে ফেলে।
এখানে উল্লেখ্য, এই দুইজন বিগত প্রেসক্লাবের নির্বাচনে শ্যামল দত্তের কাছ থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকা নিয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। তাদের কল্যাণেই ওই নির্বাচনে শ্যামল বিজয়ী হয়। অথচ আর মাত্র ১২টি ভোট পেলে নির্বাচনে বিজয়ী হতেন ইলিয়াস খান।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ৫১ জন দালাল সাংবাদিকের একটি তালিকা শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাব কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করেছেন। এই তালিকায় দেখা যায় বড় দুর্নীতিবাজ ও দালাল আওয়ামী বিএফইউজের বর্তমান সভাপতি এবং সাবেক সভাপতির নাম নেই। ছাত্ররা জাতীয়তাবাদি নেতাদের কাছ থেকেই নাম নিয়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে, উল্লেখিত ওই অর্থলোভি দুই নেতা অভিযুক্তদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তাদের নাম তালিকায় দেননি। আবার যাদের নাম তালিকায় এসেছে এখন আবার তাদের সঙ্গে চলছে যোগাযোগ। তালিকার মধ্যে যারা প্রভাবশালী এবং অধিক অর্থের মালিক তাদের সঙ্গে চলছে দেনদরবার।
সংশ্লিষ্ট মহল মনে করেন, জাতীয়তাবাদি সাংবাদিকদের দুর্ভোগের মূলে এই দুই সাংবাদিক নেতাই দায়ী। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।