ঢাকা ০৮:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
চট্টগ্রামে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান ঘিরে ভাঙচুর ও গোলাগুলি প্রতিষ্ঠার দুই দশক পর টাইমস হায়ার র‍্যাঙ্কিংয়ে মাভাবিপ্রবি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি প্রদর্শনসংক্রান্ত অনুচ্ছেদ সংবিধান থেকে বিলুপ্তি চায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করলেন মারিয়া ৯ মাসে ইতালিতে পাড়ি জমানো অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশী প্রত্যেক উপদেষ্টাই বিদেশি নাগরিক : রুমিন ফারহানা আবারও ফিল্মফেয়ারের মঞ্চ মাতাবেন শাহরুখ ইসলামি শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে হবে: চরমোনাই পীর আমলাতন্ত্রকে একটি নির্দিষ্ট দলের পকেটে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল মিশরের বিচার বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধান বিচারপতির বৈঠক

মেয়ে স্কুল ফাঁকি দেওয়ায় আদালতে জরিমানা গুনলেন বাবা-মা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ১২:০১:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৫৬৩ Time View

মেয়ে স্কুল ফাঁকি দেওয়ায় বাবা-মাকে জরিমানা করেছে দেশটির আদালত। মেয়েকে স্কুলে পাঠানোর জন্য বাবা-মা সপ্তাহে প্রায় ৭০ পাউন্ড ট্যাক্সি ভাড়া দিত, তবুও সে স্কুলে যেতো না। এমনকি স্কুল থেকে যখন তখন বের হয়ে যেতো।

সোমবার (৬ অক্টোবর) অভিভাবকদের অনুপস্থিতিতেই রায় দেন আদালত।

আদালত সূত্রে জানা যায়, মা-বাবা আলাদা থাকেন। তবে দুজনেই মেয়েকে নিয়মিত স্কুলে পাঠাতে চেষ্টা করেছেন। নর্থ স্ট্যাফোর্ডশায়ার জাস্টিস সেন্টার স্কুল কর্তৃপক্ষ ও শিশু সহায়তা সংস্থা বার্নার্ডোস পরিবারটিকে নানা সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। এর মধ্যে ছিল স্কুলের একটি মিনিবাসে প্রতিদিন বাসা থেকে মেয়েকে নেওয়ার ব্যবস্থা। কিন্তু মেয়েটি সেই মিনিবাসে উঠতে অস্বীকৃতি জানায়।

দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকায় স্কুল কর্তৃপক্ষ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে জানায়, মেয়েটির ২০২৪ সালের ২১ জানুয়ারি থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত ৯৪ দিন এবং চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি থেকে ২৩ মে পর্যন্ত আরও ৮৮ দিন অনুপস্থিতি ছিল।

স্কুল কর্তৃপক্ষের প্রসিকিউটর মিকায়েলা হিল বলেন, ওই শিক্ষার্থীর বাড়ি একাধিকবার পরিদর্শন করা হয়েছে। মেয়ে স্কুলে অনুপস্থিতি থাকার বিষয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে। মেয়েটি বিশেষ শিক্ষা চাহিদাসম্পন্ন তালিকাভুক্ত ছিল। স্কুল তার জন্য মিনিবাসের ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু তাতে উঠতে আপত্তি জানিয়েছিল মেয়েটি।

তিনি আরও বলেন, মেয়েটি স্কুলে গেলে খুব ভালো আচরণ করত এবং তার কোনো শৃঙ্খলাজনিত সমস্যা ছিল না। কিন্তু সে তার শিক্ষাগত সক্ষমতা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারছিল না— এটা নিয়েই মূলত উদ্বেগ।

আইনজীবী মার্ক ব্রমলি আদালতে বলেন, অভিভাবকরা শিক্ষা বিভাগ ও কল্যাণ কর্তৃপক্ষকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন। তারা দুজনেই স্বীকার করেছেন মেয়ের উপস্থিতি ছিল না।

তিনি আরও জানান, অভিভাবকরা দুজনেই সরকারি ভাতা পান, তবুও তারা সপ্তাহে ৭০ পাউন্ড পর্যন্ত ব্যয় করছেন মেয়েকে স্কুলে পাঠানোর জন্য। স্কুল থেকে প্রায়ই ফোন করে জানানো হতো মেয়েটি স্কুল থেকে বেরিয়ে গেছে। এক্ষেত্রে শিক্ষকদেরও কিছুই করার থাকতো না, কারণ তার স্বাধীনতা রয়েছে বের হয়ে যাওয়ার।

আদালত ওই মেয়ের বাবাকে ২০০ ব্রিটিশ পাউন্ড জরিমানা, ৮০ ব্রিটিশ পাউন্ড সারচার্জ এবং ১৫৬ ব্রিটিশ পাউন্ড মামলার খরচ পরিশোধের আদেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে মাকে ৮০ ব্রিটিশ পাউন্ড জরিমানা, ১১৪ ব্রিটিশ পাউন্ড সারচার্জ, ১৫৬ ব্রিটিশ পাউন্ড মামলার খরচ পরিশোধ করার আদেশ দিয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

মেয়ে স্কুল ফাঁকি দেওয়ায় আদালতে জরিমানা গুনলেন বাবা-মা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ১২:০১:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

মেয়ে স্কুল ফাঁকি দেওয়ায় বাবা-মাকে জরিমানা করেছে দেশটির আদালত। মেয়েকে স্কুলে পাঠানোর জন্য বাবা-মা সপ্তাহে প্রায় ৭০ পাউন্ড ট্যাক্সি ভাড়া দিত, তবুও সে স্কুলে যেতো না। এমনকি স্কুল থেকে যখন তখন বের হয়ে যেতো।

সোমবার (৬ অক্টোবর) অভিভাবকদের অনুপস্থিতিতেই রায় দেন আদালত।

আদালত সূত্রে জানা যায়, মা-বাবা আলাদা থাকেন। তবে দুজনেই মেয়েকে নিয়মিত স্কুলে পাঠাতে চেষ্টা করেছেন। নর্থ স্ট্যাফোর্ডশায়ার জাস্টিস সেন্টার স্কুল কর্তৃপক্ষ ও শিশু সহায়তা সংস্থা বার্নার্ডোস পরিবারটিকে নানা সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। এর মধ্যে ছিল স্কুলের একটি মিনিবাসে প্রতিদিন বাসা থেকে মেয়েকে নেওয়ার ব্যবস্থা। কিন্তু মেয়েটি সেই মিনিবাসে উঠতে অস্বীকৃতি জানায়।

দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকায় স্কুল কর্তৃপক্ষ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে জানায়, মেয়েটির ২০২৪ সালের ২১ জানুয়ারি থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত ৯৪ দিন এবং চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি থেকে ২৩ মে পর্যন্ত আরও ৮৮ দিন অনুপস্থিতি ছিল।

স্কুল কর্তৃপক্ষের প্রসিকিউটর মিকায়েলা হিল বলেন, ওই শিক্ষার্থীর বাড়ি একাধিকবার পরিদর্শন করা হয়েছে। মেয়ে স্কুলে অনুপস্থিতি থাকার বিষয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে। মেয়েটি বিশেষ শিক্ষা চাহিদাসম্পন্ন তালিকাভুক্ত ছিল। স্কুল তার জন্য মিনিবাসের ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু তাতে উঠতে আপত্তি জানিয়েছিল মেয়েটি।

তিনি আরও বলেন, মেয়েটি স্কুলে গেলে খুব ভালো আচরণ করত এবং তার কোনো শৃঙ্খলাজনিত সমস্যা ছিল না। কিন্তু সে তার শিক্ষাগত সক্ষমতা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারছিল না— এটা নিয়েই মূলত উদ্বেগ।

আইনজীবী মার্ক ব্রমলি আদালতে বলেন, অভিভাবকরা শিক্ষা বিভাগ ও কল্যাণ কর্তৃপক্ষকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন। তারা দুজনেই স্বীকার করেছেন মেয়ের উপস্থিতি ছিল না।

তিনি আরও জানান, অভিভাবকরা দুজনেই সরকারি ভাতা পান, তবুও তারা সপ্তাহে ৭০ পাউন্ড পর্যন্ত ব্যয় করছেন মেয়েকে স্কুলে পাঠানোর জন্য। স্কুল থেকে প্রায়ই ফোন করে জানানো হতো মেয়েটি স্কুল থেকে বেরিয়ে গেছে। এক্ষেত্রে শিক্ষকদেরও কিছুই করার থাকতো না, কারণ তার স্বাধীনতা রয়েছে বের হয়ে যাওয়ার।

আদালত ওই মেয়ের বাবাকে ২০০ ব্রিটিশ পাউন্ড জরিমানা, ৮০ ব্রিটিশ পাউন্ড সারচার্জ এবং ১৫৬ ব্রিটিশ পাউন্ড মামলার খরচ পরিশোধের আদেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে মাকে ৮০ ব্রিটিশ পাউন্ড জরিমানা, ১১৪ ব্রিটিশ পাউন্ড সারচার্জ, ১৫৬ ব্রিটিশ পাউন্ড মামলার খরচ পরিশোধ করার আদেশ দিয়েছেন।