ঢাকা ০৫:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
কুবির সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে উত্তরসহ প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে শর্টকোড চালুর সিদ্ধান্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হচ্ছে বাস ট্র্যাকিং সিস্টেম ধর্ষণকারীর মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে গাজীপুরে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল নোয়াখালীতে নামাজ পড়তে গেলে মসজিদের শৌচাগারে শিশুকে বলৎকার বান্দরবানে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ৪ আসামীর যাবজ্জীবন, ১ লাখ টাকা জরিমানা ধর্ষণ বিরোধী স্লোগানে মুখরিত কুবি ক্যাম্পাস বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়কসহ ৭ জন কারাগারে মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বাবাকে কুপিয়ে জখম কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বহির্বিভাগের টিকিট বাণিজ্য

মিথ্যা পাচার মামলার রহস্য উৎঘাটন ও ভিকটিমকে ফরিদপুর থেকে উদ্ধার

যশোর প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৭:৫৪:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ১৫৭ Time View

ভিকটিম মুছা ও তার মা।

নড়াইলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা একটি মিথ্যা অপহরণ মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ বুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যশোর।

জানা গেছে, শাহিনুর বেগম নামের এক নারী তাঁর সাবেক স্বামী সালাউদ্দিন সরদারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গত বছরের ১২ অক্টোবর নড়াইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নিজের ছেলে মো. মুনছালিন ওরফে মুছাকে (২০) অপহরণ করে ভারতে পাচার করেছে মর্মে মামলা দায়ের করেন।

আদালত মামলাটি পিবিআই, যশোরকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

আদালতের নির্দেশে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে এসআই (নিরস্ত্র) মো. হাবিবুর রহমানকে নিয়োগ করা হয়। তদন্তকালে তিনি জানতে পারেন, মামলার ভিকটিম তাঁর স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ফরিদপুরে সপরিবারে বসবাস করছেন। এই অবস্থায় পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন, পিপিএম-সেবা এর দিকনির্দেশনায় এসআই/ মো. হাবিবুর রহমান, এসআই/ মো. মহিদুল ইসলাম ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফরিদপুর থেকে ভিকটিম মো. মুনছালিন ওরফে মুছাকে (২০) উদ্ধার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভিকটিম কোনো ধরনের অপহরণ বা পাচারের শিকার হননি। বাদী বিবাদীদের কাছ থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার আশায় আদালতে মামলা দায়ের করে। বাদী ইতোপূর্বে একই বিবাদীদের বিরুদ্ধে তাঁর মেয়েকে অপহরণসহ পাচারের মামলা করেছিলেন এবং আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করে মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন।

ভিকটিমকে ১৯ ফেব্রুয়ারি নড়াইলের আদালতে হাজির করা হলে তিনি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানার কাছে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে ভিকটিম জানান ,তাঁকে অপহরণ করে পাচারের বিষয়টি মিথ্যা।

Please Share This Post in Your Social Media

মিথ্যা পাচার মামলার রহস্য উৎঘাটন ও ভিকটিমকে ফরিদপুর থেকে উদ্ধার

যশোর প্রতিনিধি
Update Time : ০৭:৫৪:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নড়াইলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা একটি মিথ্যা অপহরণ মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ বুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যশোর।

জানা গেছে, শাহিনুর বেগম নামের এক নারী তাঁর সাবেক স্বামী সালাউদ্দিন সরদারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গত বছরের ১২ অক্টোবর নড়াইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নিজের ছেলে মো. মুনছালিন ওরফে মুছাকে (২০) অপহরণ করে ভারতে পাচার করেছে মর্মে মামলা দায়ের করেন।

আদালত মামলাটি পিবিআই, যশোরকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

আদালতের নির্দেশে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে এসআই (নিরস্ত্র) মো. হাবিবুর রহমানকে নিয়োগ করা হয়। তদন্তকালে তিনি জানতে পারেন, মামলার ভিকটিম তাঁর স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ফরিদপুরে সপরিবারে বসবাস করছেন। এই অবস্থায় পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন, পিপিএম-সেবা এর দিকনির্দেশনায় এসআই/ মো. হাবিবুর রহমান, এসআই/ মো. মহিদুল ইসলাম ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফরিদপুর থেকে ভিকটিম মো. মুনছালিন ওরফে মুছাকে (২০) উদ্ধার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভিকটিম কোনো ধরনের অপহরণ বা পাচারের শিকার হননি। বাদী বিবাদীদের কাছ থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার আশায় আদালতে মামলা দায়ের করে। বাদী ইতোপূর্বে একই বিবাদীদের বিরুদ্ধে তাঁর মেয়েকে অপহরণসহ পাচারের মামলা করেছিলেন এবং আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করে মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন।

ভিকটিমকে ১৯ ফেব্রুয়ারি নড়াইলের আদালতে হাজির করা হলে তিনি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানার কাছে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে ভিকটিম জানান ,তাঁকে অপহরণ করে পাচারের বিষয়টি মিথ্যা।