ঢাকা ০৩:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক থেকে একমাত্র শেয়ারধারী পরিচালকের পদত্যাগ ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গঠনে ছয় দফা প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার : ‘তিন-শূন্য বিশ্ব’ গড়ার আহ্বান বাংলাদেশ ও বিএনপি : আগামী নির্বাচনে সম্ভাবনার দিগন্ত প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সুইডেন ও নরওয়ের ৯ তরুণ রাজনীতিবিদের সাক্ষাৎ নভেম্বরে গণভোট চায় জামায়াত লুটপাট করে সার কারখানা ধ্বংস করে দিয়েছে আ.লীগ সরকার – মঈন খাঁন রাস্তায় ফেলে শিক্ষক পেটানো কোনো সভ্য রাষ্ট্রের চরিত্র নয়: হাসনাত আব্দুল্লাহ সৌদি আরব ও কাতারের মধ্যস্থতায় আফগান-পাকিস্তান সংঘর্ষ স্থগিত: কাবুল প্রেমিকাকে আবাসিক হোটেলে নিয়ে ‘ধর্ষণ’, রক্তক্ষরণে মৃত্যু ডিবি পরিচয়ে বাসর ঘরে ডাকাতি, স্বর্ণালংকার লুট

মাভাবিপ্রবির ক্যাফেটেরিয়ায় ‘আল-আসলামিয়া পর্দা কর্ণার’ চালু

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৫:৩৪:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৯২৬ Time View

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় নারী শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা পর্দাশীল বসার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।

ইসলামের ইতিহাসে প্রথম নারী নার্স সাহাবী রুফাইদা আল-আসলামিয়া (রা.)-এর স্মৃতিকে ধারণ করে কর্ণারের নামকরণ করা হয়েছে ‘আল-আসলামিয়া পর্দা কর্ণার’।

দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রীদের দাবি ছিল এমন একটি নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় কর্ণারের। জানুয়ারিতে এস্টেট পরিচালকের কাছে আবেদন করা হলেও কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় তারা গত ৩০ জুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ এবং শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ফজলুল করীমের কাছে লিখিত আবেদন জানান। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে গত সপ্তাহে অবশেষে কর্ণারটির কার্যক্রম শুরু হয়।

শিক্ষার্থীরা জানান, একাডেমিক ব্যস্ততার কারণে হলে বা মেসে খাওয়া সবসময় সম্ভব হয় না, তাই ক্যাফেটেরিয়াই তাদের ভরসা। কিন্তু পর্দার ব্যবস্থা না থাকায় অস্বস্তির মধ্য দিয়ে খাবার খেতে হতো, যা তাদের মৌলিক অধিকারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছিল।

পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ফজলুল করীম বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় রাখার চেষ্টা করে। এর অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই পর্দা কর্ণার স্থাপন করেছে।”

কর্ণারের নামকরণ প্রসঙ্গে ছাত্রীদের বক্তব্য, রুফাইদা আল-আসলামিয়া (রা.) ইসলামের ইতিহাসে প্রথম নারী চিকিৎসক ও নার্স ছিলেন। তিনি মদিনায় সাহাবীদের চিকিৎসা করতেন এবং নারীদের চিকিৎসাশিক্ষায় অনুপ্রাণিত করতেন। নারী মর্যাদা ও অংশগ্রহণের প্রতীক হিসেবেই কর্ণারটির নাম তাঁর নামে রাখা হয়েছে।

অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী বিউটি বলেন, “আমরা অনেকদিন ধরে এই কর্ণারের অপেক্ষায় ছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের দাবি পূরণ হয়েছে। এখন নিশ্চিন্তে ও স্বাচ্ছন্দ্যে ক্যাফেটেরিয়ায় বসে খাওয়া যাবে। এজন্য উপাচার্য স্যারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ।”

শিক্ষার্থীরা এ উদ্যোগকে তাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হিসেবে দেখছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

মাভাবিপ্রবির ক্যাফেটেরিয়ায় ‘আল-আসলামিয়া পর্দা কর্ণার’ চালু

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি
Update Time : ০৫:৩৪:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় নারী শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা পর্দাশীল বসার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।

ইসলামের ইতিহাসে প্রথম নারী নার্স সাহাবী রুফাইদা আল-আসলামিয়া (রা.)-এর স্মৃতিকে ধারণ করে কর্ণারের নামকরণ করা হয়েছে ‘আল-আসলামিয়া পর্দা কর্ণার’।

দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রীদের দাবি ছিল এমন একটি নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় কর্ণারের। জানুয়ারিতে এস্টেট পরিচালকের কাছে আবেদন করা হলেও কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় তারা গত ৩০ জুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ এবং শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ফজলুল করীমের কাছে লিখিত আবেদন জানান। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে গত সপ্তাহে অবশেষে কর্ণারটির কার্যক্রম শুরু হয়।

শিক্ষার্থীরা জানান, একাডেমিক ব্যস্ততার কারণে হলে বা মেসে খাওয়া সবসময় সম্ভব হয় না, তাই ক্যাফেটেরিয়াই তাদের ভরসা। কিন্তু পর্দার ব্যবস্থা না থাকায় অস্বস্তির মধ্য দিয়ে খাবার খেতে হতো, যা তাদের মৌলিক অধিকারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছিল।

পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ফজলুল করীম বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় রাখার চেষ্টা করে। এর অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই পর্দা কর্ণার স্থাপন করেছে।”

কর্ণারের নামকরণ প্রসঙ্গে ছাত্রীদের বক্তব্য, রুফাইদা আল-আসলামিয়া (রা.) ইসলামের ইতিহাসে প্রথম নারী চিকিৎসক ও নার্স ছিলেন। তিনি মদিনায় সাহাবীদের চিকিৎসা করতেন এবং নারীদের চিকিৎসাশিক্ষায় অনুপ্রাণিত করতেন। নারী মর্যাদা ও অংশগ্রহণের প্রতীক হিসেবেই কর্ণারটির নাম তাঁর নামে রাখা হয়েছে।

অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী বিউটি বলেন, “আমরা অনেকদিন ধরে এই কর্ণারের অপেক্ষায় ছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের দাবি পূরণ হয়েছে। এখন নিশ্চিন্তে ও স্বাচ্ছন্দ্যে ক্যাফেটেরিয়ায় বসে খাওয়া যাবে। এজন্য উপাচার্য স্যারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ।”

শিক্ষার্থীরা এ উদ্যোগকে তাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হিসেবে দেখছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।