ঢাকা ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ১-১১’র প্রেক্ষাপট তৈরি করে আ.লীগ কর্তৃত্বশীল শাসকরূপে চিহ্নিত হয় : মাওলানা আবদুল হালিম মাদক বিষাক্ত সাপের মতো ব্যক্তি ও সমাজকে নিঃশেষ করে দেয় জুলাই আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ শুরু হয়েছিল রংপুর থেকেই: নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যূত্থানে শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত স্বৈরাচার পতনে ক্রীড়ানকের ভুমিকা পালন করে আবু সাঈদের মৃত্যু পূর্বাচলে ঘোড়ার মাংসসহ আটক ১ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে গবেষণা খাতে

মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র কুড়িগ্রামে চিকিৎসাসেবার নামে হয়রানি!

আতাউর রহমান বিপ্লব , কুড়িগ্রাম থেকে
  • Update Time : ০৬:১২:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৩১২ Time View

কুড়িগ্রাম মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা নিতে এসে রোগীরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

নরমাল ডেলিভারি করতে আসা রোগীদের অভিভাবকদের কাছ থেকে নানা ছুতোয় নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ সহ সিজারিয়ান সেকশনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলেও দরিদ্র ও অসহায় রোগীদের হরহামেশাই ফেরত পাঠানো হচ্ছে। ফলে শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার কমাতে সরকারের গৃহীত এই মহতী পদক্ষেপ ভেস্তে যেতে বসেছে।

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের ১৪ তারিখে দুপুরের পর উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের যমুনা মন্ডলেরহাট এলাকার আশফাক আলী তার সন্তানসম্ভবা স্ত্রী মিতু বেগমকে কুড়িগ্রাম মাতৃসদন এ নিয়ে আসেন।

তিনি জানান, সন্তান হবার পর তার কাছ থেকে ডেলিভারি বাবদ তিন হাজার, ক্যাটগাট (সুতা) বাবদ ৪০০ টাকা, আয়ার বকশিস ২০০ টাকা এবং মিষ্টিমুখ এর জন্য আরো ৫০০ টাকা আদায় করা হয়।শাহিদা ও শাহিনা নামের দুই সেবিকা অর্থ লেনদেনের সাথে সরাসরি জড়িত বলে জানান তিনি।

অর্থ লেনদেনের ব্যাপারে সেবিকা শাহিনা বলেন, তিন হাজার টাকার বিষয়ে আমার জানা নেই, তবে ক্যাটগাট ( সুতা) বাবদ ৪০০ টাকা শাহিদা নিয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাতৃসদনের মেডিকেল অফিসার ডা: কনিকা দাস বলেন, আমার সাথে কথা বলতে হলে ডিডি সারের পারমিশন নিয়ে আসতে হবে।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রশিক্ষিত চিকিৎসকের অভাবে সিজারিয়ান রোগীদের ফেরত দেয়া হলেও নরমাল ডেলিভারির রোগীর সংখ্যা একেবারেই অপ্রতুল।

গত আগষ্ট মাসে প্রতিষ্ঠানটিতে নরমাল ডেলিভারি হয়েছে ৩০ টি এবং সিজার হয়েছে মাত্র ১ টি। এছাড়া চলতি মাস ১৪ তারিখ পর্যন্ত নরমাল ডেলিভারি ৪ টি এবং সিজার হয়েছে ১ টি।

ওই সিজারটি গত ১২ সেপ্টেম্বর চিলমামারী উপজেলা থেকে সালাউদ্দিন বাবু নামের একজন অপ্রশিক্ষিত চিকিৎসক এনে সিজারটি করা হয় । এতে সচেতন মহল মনে করেন, ইওসি ট্রেনিং নেই এমন চিকিৎসক দ্বারা সিজার করানো আইনসিদ্ধ নয়।

এসব অভিযোগের ব্যাপারে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক মোঃ মোদাব্বের হোসেন বলেন আগে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করুন,তারপর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।

 

Please Share This Post in Your Social Media

মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র কুড়িগ্রামে চিকিৎসাসেবার নামে হয়রানি!

আতাউর রহমান বিপ্লব , কুড়িগ্রাম থেকে
Update Time : ০৬:১২:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কুড়িগ্রাম মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা নিতে এসে রোগীরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

নরমাল ডেলিভারি করতে আসা রোগীদের অভিভাবকদের কাছ থেকে নানা ছুতোয় নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ সহ সিজারিয়ান সেকশনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলেও দরিদ্র ও অসহায় রোগীদের হরহামেশাই ফেরত পাঠানো হচ্ছে। ফলে শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার কমাতে সরকারের গৃহীত এই মহতী পদক্ষেপ ভেস্তে যেতে বসেছে।

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের ১৪ তারিখে দুপুরের পর উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের যমুনা মন্ডলেরহাট এলাকার আশফাক আলী তার সন্তানসম্ভবা স্ত্রী মিতু বেগমকে কুড়িগ্রাম মাতৃসদন এ নিয়ে আসেন।

তিনি জানান, সন্তান হবার পর তার কাছ থেকে ডেলিভারি বাবদ তিন হাজার, ক্যাটগাট (সুতা) বাবদ ৪০০ টাকা, আয়ার বকশিস ২০০ টাকা এবং মিষ্টিমুখ এর জন্য আরো ৫০০ টাকা আদায় করা হয়।শাহিদা ও শাহিনা নামের দুই সেবিকা অর্থ লেনদেনের সাথে সরাসরি জড়িত বলে জানান তিনি।

অর্থ লেনদেনের ব্যাপারে সেবিকা শাহিনা বলেন, তিন হাজার টাকার বিষয়ে আমার জানা নেই, তবে ক্যাটগাট ( সুতা) বাবদ ৪০০ টাকা শাহিদা নিয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাতৃসদনের মেডিকেল অফিসার ডা: কনিকা দাস বলেন, আমার সাথে কথা বলতে হলে ডিডি সারের পারমিশন নিয়ে আসতে হবে।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রশিক্ষিত চিকিৎসকের অভাবে সিজারিয়ান রোগীদের ফেরত দেয়া হলেও নরমাল ডেলিভারির রোগীর সংখ্যা একেবারেই অপ্রতুল।

গত আগষ্ট মাসে প্রতিষ্ঠানটিতে নরমাল ডেলিভারি হয়েছে ৩০ টি এবং সিজার হয়েছে মাত্র ১ টি। এছাড়া চলতি মাস ১৪ তারিখ পর্যন্ত নরমাল ডেলিভারি ৪ টি এবং সিজার হয়েছে ১ টি।

ওই সিজারটি গত ১২ সেপ্টেম্বর চিলমামারী উপজেলা থেকে সালাউদ্দিন বাবু নামের একজন অপ্রশিক্ষিত চিকিৎসক এনে সিজারটি করা হয় । এতে সচেতন মহল মনে করেন, ইওসি ট্রেনিং নেই এমন চিকিৎসক দ্বারা সিজার করানো আইনসিদ্ধ নয়।

এসব অভিযোগের ব্যাপারে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক মোঃ মোদাব্বের হোসেন বলেন আগে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করুন,তারপর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।