ভারত-চীন রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করলে বিশ্বব্যাপী কী প্রভাব পড়বে

- Update Time : ০৪:০০:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
- / ৩০৩ Time View
ভারত ও চীন রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা বন্ধ করলে তার পরিণতি কী ঘটতে পারে তা নিয়ে চলছে আলোচনা। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে গত বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে বলছে, রাশিয়া যদি তার তেলের প্রধান দুই ক্রেতা ভারত ও চীনকে হারায়, তাহলে এর প্রভাব বিশ্বব্যাপী পড়বে। এতে বিশ্ববাজারে বেড়ে যেতে পারে তেলের দাম। রাশিয়া দৈনিক প্রায় ৫ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উৎপাদন করে।
এই বিপুল পরিমাণ সরবরাহ যদি হঠাৎ বাজার থেকে সরে যায় বা অন্য উৎসের দিকে গেলে তেলের দাম আকাশছোঁয়া হতে পারে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, তখন বিশ্ববাজারে তেলের দাম ব্যারালপ্রতি ৫৮ ডলার থেকে বেড়ে ১১০ এমনকি ১২০ ডলারেও পৌঁছতে পারে। এছাড়া তেলের দাম বাড়লে যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বে মুদ্রাস্ফীতি তীব্রভাবে বাড়বে। মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ অনুমান করছে যে, তেলের দাম প্রতি ব্যারালে ১০ ডলার বাড়লে মার্কিন মুদ্রাস্ফীতিতে প্রায় ০.২ শতাংশ যোগ হয়।
আবার রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থায়নের জন্য তেল বিক্রির আয়ের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। ফলে ভারত ও চীন তেল কেনা বন্ধ করলে মস্কোর রাজস্ব প্রবাহে ভয়ংকর আঘাত আসবে। ভারতেও এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী।
এদিকে রাশিয়ার কাছ থেকে কম দামে ভারতের তেল কেনা নিয়ে দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের টানাপোড়েন নতুন মোড় নিয়েছে। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্স বলছে, গত সপ্তাহে ওয়াশিংটনে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মার্কিন কর্মকর্তাদের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে ভারতীয় শোধনাগারগুলো ইতোমধ্যে রাশিয়ার তেল আমদানি ৫০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে।
তবে ভারতীয় শিল্প সূত্রগুলো জানিয়েছে, নয়াদিল্লি শোধনাগারগুলোকে রাশিয়ার আমদানি কমানোর জন্য কোনো অনুরোধ জানায়নি। ভারতের তেল আমদানিতে কোনো কমার লক্ষণও দেখা যায়নি।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানান, ট্রাম্প জানিয়েছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রুশ তেল কেনা বন্ধের অঙ্গীকার করেছেন। এ ব্যাপারে ভারতীয় সূত্রগুলো বলছে, তাদের শোধনাগারগুলো ইতোমধ্যে নভেম্বরের জন্য যে অর্ডার দিয়েছে সেগুলো যথাসময়েই আসবে। ডিসেম্বরেও কিছু তেলবাহী কার্গো পৌঁছানোর কথা রয়েছে। তাই আমদানিতে কোনো কাটছাঁট হলে তা ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারিতে দেখা যেতে পারে। অবশ্য রাশিয়ার কমোডিটি ডেটা সংস্থা কেপিএলআরের অনুমান, এই মাসে ভারতের তেল আমদানি প্রায় ২০ শতাংশ বেড়ে দৈনিক ১ দশমিক ৯ মিলিয়ন ব্যারালে পৌঁছানোর কথা।