ঢাকা ০২:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ছাত্র-জনতার উপর হামলা মামলার আসামী ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার ইরানি দম্পতির ওপর হামলা, কারাগারে ৪ আসামি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাসিক নিষ্পত্তি সভা অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা! ঢাকায় যুক্ত হচ্ছে ৪০০ ইলেকট্রিক বাস! ছিনতাইকারীর কবল থেকে ইরানী দম্পতিকে উদ্ধার করলো সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা ক্যাম্প থাকলে স্থানীয়দের চাকরি থাকবে এটাই শেষ কথা! বৈছাআ ও বিএনপি নেতাদের সেনাবাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদ, রংপুরে ছুটে এলেন সারজিস দেশের ১৮ কোটি মানুষেরই পরিবেশ সচেতন হওয়া জরুরি – উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান টাকার বিনিময়ে ইরানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করছে ইসরায়েলিরা

ভাবির কাটা মাথা নিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ করলেন দেবর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ১০:০৮:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
  • / ১৮২ Time View

ভাবীর কাটা মাথা নিয়ে হেঁটে থানায় যাচ্ছে অভিযুক্ত বিমল। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

এক হাতে ধারালো অস্ত্র। অন্য হাতে এক মধ্যবয়সী নারীর সদ্য কাটা মাথা। ঝরছে তাজা রক্ত। চোখে-মুখে কোনো আতঙ্ক নেই, নেই কোনো তাপ-উত্তাপ। নির্দ্বিধায় আত্মসমর্পণের উদ্দেশে থানার দিকে হেঁটে চলেছেন এক যুবক।

শনিবার সকালে হাড়হিম করা এমন দৃশ্য দেখে শিউরে উঠলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর ভরতগড় এলাকার বাসিন্দারা।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ জানিয়েছে বাসন্তী থানার পুলিশ ওই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। যুবকের হাতে যে নারীর মুণ্ডু দেখা যাচ্ছে, তিনি সম্পর্কে যুবকের বৌদি (ভাবী)। চপার দিয়ে খুন করে মহিলার শরীর থেকে মুণ্ডু আলাদা করে ফেলেন যুবক। তারপর সেই রক্তাক্ত মাথা নিয়েই সোজা থানায় চলে যান। কী কারণে এই কাণ্ড ঘটাল যুবক, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, নিহত নারীর নাম সতী মণ্ডল। বাসন্তীর ভরতগড় এলাকার বাসিন্দা তিনি। অভিযুক্ত যুবক বিমল মণ্ডলও একই এলাকাতেই থাকেন। নিহত এবং অভিযুক্ত সম্পর্কে বউদি ও দেবর।

স্থানীয়দের দাবি, শনিবার সকালে স্থানীয় একটি মাঠে দাঁড়িয়ে দুজনের বাকবিতণ্ডা চলছিল। একপর্যায়ে আচমকা চপার দিয়ে বৌদিকে আক্রমণ করে বিমল। এতে শরীর থেকে মাথা আলাদা হয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় ছিটকে পড়েন সতী। এরপর এক হাতে কাটা মাথা এবং অন্য হাতে চপার নিয়ে হাঁটতে শুরু করে বিমল।

ভিডিওতে দেখা গেছে, একেবারে ভাবলেশহীনভাবে হেঁটে যাচ্ছে বিমল। আশপাশের পথচলতি মানুষ তাকে দেখে আঁতকে ওঠেন। ধীরে ধীরে হেঁটে বাসন্তী থানায় পৌঁছায়। তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কাটা মাথা এবং ধারালো অস্ত্রটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরে পারিবারিক বিবাদ চরমে আকার ধারণ করে। তার জেরেই শনিবারের নৃশংস ঘটনা। তবে বউদি ও দেবরের মধ্যে বিবাদের সূত্রপাত কীভাবে হল, তা এখনো স্পষ্ট নয়। অভিযুক্তকে জেরা করে এই সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছে পুলিশ। অভিযুক্তকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানিয়েছেন তারা।

Please Share This Post in Your Social Media

ভাবির কাটা মাথা নিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ করলেন দেবর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ১০:০৮:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

এক হাতে ধারালো অস্ত্র। অন্য হাতে এক মধ্যবয়সী নারীর সদ্য কাটা মাথা। ঝরছে তাজা রক্ত। চোখে-মুখে কোনো আতঙ্ক নেই, নেই কোনো তাপ-উত্তাপ। নির্দ্বিধায় আত্মসমর্পণের উদ্দেশে থানার দিকে হেঁটে চলেছেন এক যুবক।

শনিবার সকালে হাড়হিম করা এমন দৃশ্য দেখে শিউরে উঠলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর ভরতগড় এলাকার বাসিন্দারা।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ জানিয়েছে বাসন্তী থানার পুলিশ ওই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। যুবকের হাতে যে নারীর মুণ্ডু দেখা যাচ্ছে, তিনি সম্পর্কে যুবকের বৌদি (ভাবী)। চপার দিয়ে খুন করে মহিলার শরীর থেকে মুণ্ডু আলাদা করে ফেলেন যুবক। তারপর সেই রক্তাক্ত মাথা নিয়েই সোজা থানায় চলে যান। কী কারণে এই কাণ্ড ঘটাল যুবক, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, নিহত নারীর নাম সতী মণ্ডল। বাসন্তীর ভরতগড় এলাকার বাসিন্দা তিনি। অভিযুক্ত যুবক বিমল মণ্ডলও একই এলাকাতেই থাকেন। নিহত এবং অভিযুক্ত সম্পর্কে বউদি ও দেবর।

স্থানীয়দের দাবি, শনিবার সকালে স্থানীয় একটি মাঠে দাঁড়িয়ে দুজনের বাকবিতণ্ডা চলছিল। একপর্যায়ে আচমকা চপার দিয়ে বৌদিকে আক্রমণ করে বিমল। এতে শরীর থেকে মাথা আলাদা হয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় ছিটকে পড়েন সতী। এরপর এক হাতে কাটা মাথা এবং অন্য হাতে চপার নিয়ে হাঁটতে শুরু করে বিমল।

ভিডিওতে দেখা গেছে, একেবারে ভাবলেশহীনভাবে হেঁটে যাচ্ছে বিমল। আশপাশের পথচলতি মানুষ তাকে দেখে আঁতকে ওঠেন। ধীরে ধীরে হেঁটে বাসন্তী থানায় পৌঁছায়। তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কাটা মাথা এবং ধারালো অস্ত্রটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরে পারিবারিক বিবাদ চরমে আকার ধারণ করে। তার জেরেই শনিবারের নৃশংস ঘটনা। তবে বউদি ও দেবরের মধ্যে বিবাদের সূত্রপাত কীভাবে হল, তা এখনো স্পষ্ট নয়। অভিযুক্তকে জেরা করে এই সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছে পুলিশ। অভিযুক্তকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানিয়েছেন তারা।