ভাঙ্গন আতঙ্কে দিনপার করছেন গাইবান্ধার রতনপুরের বাসিন্দারা

- Update Time : ০৮:১২:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২২৯ Time View
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার রতনপুর ককাইমারী গ্রাম, বিস্তৃত এ জনবসতি এলাকায় প্রায় তিন হাজার লোকের বসবাস। ২ টি মসজিদ, ১ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও প্রায় ৩ বিঘা জমি নিয়ে একটি সামাজিক কবরস্থান এবং বহুল জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাঙ্গন আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে এ এলাকার লোকজন। কয়েক দফায় নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে বর্তমানেও ভাঙ্গনের ফলে এলাকার লোক হতাশায় আচ্ছন্ন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত কয়েক দিনের ভাঙ্গনে প্রায় ৭০ বিঘা জমি ভেঙে লোকালয়ের কাছাকাছি এসে পৌঁছেছে। দ্রুত এখানে জিও ব্যাগ না ফেললে হয়তো দুটি গ্রামেয় যাতায়াত বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশংকা করছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে রতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শিরিনা আক্তার জানান, নদী ভাঙ্গনের ফলে আমাদের প্রতিষ্ঠানটি স্থানান্তর করা হয়েছে। আবারও যদি স্থানান্তর করা লাগে সেটি হবে চরম ভোগান্তির। এজন্য ভাঙ্গন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
স্থানীয় বাসিন্দা মজনু জানান, কয়েক দফায় ভাঙ্গনের ফলে এখানে তিল তিল করে গড়ে ওঠা জনবসতি যদি আবারও ভাঙ্গনের কবলে পড়ে যায় তখন বিস্তৃত এ জনবসতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে। এই ভাঙ্গনের দুশ্চিন্তার ভাজ যেন সকলের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। তীব্র ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা পেতে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো জিও ব্যাগ দিয়ে এলাকাটিকে রক্ষা করতে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
ভাঙ্গনের বিষয়টি বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক কে অবগত করলে তিনি সরেজমিনে পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
সচেতনমহল বলছেন, বিস্তৃত এলাকার জনগোষ্ঠীকে ভাঙ্গনের কবল থেকে বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙ্গন ঠেকানো অতীব জরুরি। নাহলে পানি কমানোর সাথে সাথে তীব্র আকারের ভাঙ্গন দেখা দিলে এলাকাটি বেশ হুমকির মুখে পড়বে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতনমহল।