ঢাকা ০৪:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
সূচনা মেমোরিয়াল ট্রাস্টের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু রংপুরে অসুস্থ বাবাকে হাসপাতালে রেখে ঢাকায় এসে হলেন ২৬ খণ্ড ড্রামে পাওয়া ২৬ টুকরো লাশটি রংপুরের আশরাফুলের, বন্ধুর সঙ্গে গিয়েছিলেন ঢাকায় আর্জেন্টিনা ও আয়ারল্যান্ডে দূতাবাস খুলছে বাংলাদেশ বাসায় ঢুকে বিচারকের ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা দেশে গণতন্ত্র ফেরাতে নির্বাচনই একমাত্র বিকল্প : মির্জা ফখরুল প্রধান উপদেষ্টা জুলাই সনদ লঙ্ঘন করেছেন : সালাহউদ্দিন স্ত্রীসহ সাংবাদিক সুভাষ সিংহ রায়ের ‎ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ ‘লোকের দুটি বউ থাকতে পারে, আমার বান্ধবী থাকতে পারে না!’ ৩০১ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা, রেকর্ডে ভাসছে বাংলাদেশ

বুটের আঘাতে পিএসজি গোলকিপারের মুখে মারাত্মক জখম

স্পোর্টস ডেস্ক
  • Update Time : ০৭:২৫:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ২৩৭ Time View

ফুটবলের মাঠে আরও এক নির্মমতা। অনাকাঙ্ক্ষিত, তবে মেনে নেওয়া ভীষণ কষ্টের। গতকাল বুধবার রাতে ফরাসি লিগ ওয়ানের ম্যাচে ঘটলো এমনই এক বীভৎস ঘটনা।

বুধবার স্টেড লুইস স্টেডিয়ামে মোনাকোর বিপক্ষে খেলতে নেমে মারাত্মক ইনজুরির শিকার হয়েছেন পিএসজির গোলকিপার জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। প্রতিপক্ষের বুটের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে ইতালিয়ান গোলরক্ষকের মুখ।

ম্যাচের ১৭ মিনিটের ঘটনা। বল নিয়ে পিএসজির গোলবার অভিমুখে ছুটছেন মোনাকোর ডিফেন্ডার উইলফ্রাইড সিঙ্গো। বল ঠেকাতে এগিয়ে আসেন গোলকিপার দোন্নারুম্মা। তার কাছাকাছি গিয়ে শট নেন সিঙ্গো। মোনাকা ডিফেন্ডারের শট ঠেকিয়ে দেন পিএসজি গোলরক্ষক।

এরপর কয়েক ন্যানো সেকেন্ডের মধ্যেই ঘটে দুর্ঘটনা। শট নিয়ে নিজের গতিকে নিয়্ন্ত্রণ করতে পারেননি সিঙ্গো। দোন্নারুম্মাকে টপকে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আইভরি কোস্টের এই ডিফেন্ডারের বুট সরাসরি আঘাত করে দোন্নারুম্মার ডান পাশের চোখে নিচে।

সিঙ্গোর বুটের নিচে থাকা স্পাইকের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় দোন্নারুম্মার মুখের ডানপাশ। মুহূর্তেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। ঝরতে শুরু করে রক্ত। তাৎক্ষণিকভাবে রক্তঝরা ঠেকাতে কেটে যাওয়া অংশে ১০টি স্টাপল লাগিয়ে জোড়া লাগানো হয়। পরবর্তীতে মাঠ ছাড়েন তিনি।

এই ঘটনার পর কোনো কার্ড দেখেননি আগেই হলুদকার্ড দেখা সিঙ্গো। রেফারি ধরে নেন, সিঙ্গোর আঘাতটি ইচ্ছেকৃত ছিল না। ৫ মিনিট পর পুনরায় খেলা শুরু করেন রেফারি।

৪-২ ব্যবধানে পিএসজির জয়ের পর সিঙ্গোর কোনো কার্ড না দেখা নিয়ে বিবিসির পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয় কোচ লুইস এনরিককে। জবাবে পিএসজি কোচও স্বীকার করেন, এমন সময় সিদ্ধান্ত দেওয়া রেফারির জন্যও কঠিন ছিল।

বিবিসিকে এনরিকে বলেন, ‘আমার কিছু করার নেই। আমি ঘটনাটি দেখিনি। কিন্তু যখন আপনি এমন কোনো ঘটনা দেখবেন, তখন সত্যিই এটি (সিদ্ধান্ত দেওয়া) কঠিন। খেলোয়াড়রা ইচ্ছেকৃতভাবে আঘাত করেন না। এমন ম্যাচে রেফারির জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া অনেক কঠিন। যদিও আমি রেফারি নিয়ে কথা বলছি না।’

সূত্র : ইএসপিএন

Please Share This Post in Your Social Media

বুটের আঘাতে পিএসজি গোলকিপারের মুখে মারাত্মক জখম

স্পোর্টস ডেস্ক
Update Time : ০৭:২৫:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

ফুটবলের মাঠে আরও এক নির্মমতা। অনাকাঙ্ক্ষিত, তবে মেনে নেওয়া ভীষণ কষ্টের। গতকাল বুধবার রাতে ফরাসি লিগ ওয়ানের ম্যাচে ঘটলো এমনই এক বীভৎস ঘটনা।

বুধবার স্টেড লুইস স্টেডিয়ামে মোনাকোর বিপক্ষে খেলতে নেমে মারাত্মক ইনজুরির শিকার হয়েছেন পিএসজির গোলকিপার জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। প্রতিপক্ষের বুটের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে ইতালিয়ান গোলরক্ষকের মুখ।

ম্যাচের ১৭ মিনিটের ঘটনা। বল নিয়ে পিএসজির গোলবার অভিমুখে ছুটছেন মোনাকোর ডিফেন্ডার উইলফ্রাইড সিঙ্গো। বল ঠেকাতে এগিয়ে আসেন গোলকিপার দোন্নারুম্মা। তার কাছাকাছি গিয়ে শট নেন সিঙ্গো। মোনাকা ডিফেন্ডারের শট ঠেকিয়ে দেন পিএসজি গোলরক্ষক।

এরপর কয়েক ন্যানো সেকেন্ডের মধ্যেই ঘটে দুর্ঘটনা। শট নিয়ে নিজের গতিকে নিয়্ন্ত্রণ করতে পারেননি সিঙ্গো। দোন্নারুম্মাকে টপকে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আইভরি কোস্টের এই ডিফেন্ডারের বুট সরাসরি আঘাত করে দোন্নারুম্মার ডান পাশের চোখে নিচে।

সিঙ্গোর বুটের নিচে থাকা স্পাইকের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় দোন্নারুম্মার মুখের ডানপাশ। মুহূর্তেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। ঝরতে শুরু করে রক্ত। তাৎক্ষণিকভাবে রক্তঝরা ঠেকাতে কেটে যাওয়া অংশে ১০টি স্টাপল লাগিয়ে জোড়া লাগানো হয়। পরবর্তীতে মাঠ ছাড়েন তিনি।

এই ঘটনার পর কোনো কার্ড দেখেননি আগেই হলুদকার্ড দেখা সিঙ্গো। রেফারি ধরে নেন, সিঙ্গোর আঘাতটি ইচ্ছেকৃত ছিল না। ৫ মিনিট পর পুনরায় খেলা শুরু করেন রেফারি।

৪-২ ব্যবধানে পিএসজির জয়ের পর সিঙ্গোর কোনো কার্ড না দেখা নিয়ে বিবিসির পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয় কোচ লুইস এনরিককে। জবাবে পিএসজি কোচও স্বীকার করেন, এমন সময় সিদ্ধান্ত দেওয়া রেফারির জন্যও কঠিন ছিল।

বিবিসিকে এনরিকে বলেন, ‘আমার কিছু করার নেই। আমি ঘটনাটি দেখিনি। কিন্তু যখন আপনি এমন কোনো ঘটনা দেখবেন, তখন সত্যিই এটি (সিদ্ধান্ত দেওয়া) কঠিন। খেলোয়াড়রা ইচ্ছেকৃতভাবে আঘাত করেন না। এমন ম্যাচে রেফারির জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া অনেক কঠিন। যদিও আমি রেফারি নিয়ে কথা বলছি না।’

সূত্র : ইএসপিএন