ঢাকা ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
রমেকের ডাক্তার মাহাবুবকে চান ‘না’ সহকর্মীরা, অন্যত্র বদলির দাবি  কুবির সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে উত্তরসহ প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে শর্টকোড চালুর সিদ্ধান্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হচ্ছে বাস ট্র্যাকিং সিস্টেম ধর্ষণকারীর মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে গাজীপুরে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল নোয়াখালীতে নামাজ পড়তে গেলে মসজিদের শৌচাগারে শিশুকে বলৎকার বান্দরবানে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ৪ আসামীর যাবজ্জীবন, ১ লাখ টাকা জরিমানা ধর্ষণ বিরোধী স্লোগানে মুখরিত কুবি ক্যাম্পাস বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়কসহ ৭ জন কারাগারে মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বাবাকে কুপিয়ে জখম

বিশ্বে যুদ্ধে ক্ষতির শিকার রেকর্ডসংখ্যক শিশু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৬:৩৫:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৭৬ Time View

গাজা ও ইউক্রেনসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে যুদ্ধের কারণে রেকর্ডসংখ্যক শিশু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।

জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জানায়, ২০২৪ সালে গাজা, ইউক্রেনসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে যুদ্ধের কারণে হাজার হাজার শিশু নিহত হয়েছে। যুদ্ধে যেই সংখ্যক শিশু নিহত হয়েছে তার চেয়ে বেশিসংখ্যক অপুষ্টিতে ভুগছে। যেতে পারছে না স্কুলে এবং পাচ্ছে না টিকার মতো অতিপ্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা।

শনিবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, রেকর্ডসংখ্যক শিশু যুদ্ধ আক্রান্ত এলাকায় বাস করছে কিংবা বাস্তুচ্যুত হয়েছে। অতীতে কখনো এত সংখ্যক শিশু আক্রান্ত হয়নি। সংস্থাটির অনুমান, সারাবিশ্বে ৪৭৩ মিলিয়নের বেশি শিশু যুদ্ধ আক্রান্ত এলাকায় বাস করছে। অর্থাৎ প্রতি ছয়জনে এক শিশু এমন পরিস্থিতির শিকার। এরফলে রেকর্ড সংখ্যক শিশু মারা গেছে, আহত হয়েছে কিংবা অধিকার বঞ্চিত হয়েছে।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথেরিনা রাসেল বলেন, যে কোনো হিসেবে ইউনিসেফের ইতিহাসে বলা যায়, ২০২৪ সাল ছিল শিশুদের জন্য সবচেয়ে খারাপ বছর। বেশি আক্রান্ত যেখানে গাজা, ইউক্রেনসহ যুদ্ধ ও সংঘাতে লিপ্ত এলাকাগুলোতে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানায় ইউনিসেফ।

সংস্থাটির বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়েছে। ইউক্রেনে চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে পুরো ২০২৩ সালের তুলনায় বেশি শিশু হতাহতের শিকার হয়েছে।

এদিকে মধ্য আমেরিকার দেশ হাইতিতে শিশুদের উপর যৌন নিপীড়নের ঘটনা চলতি বছর এক হাজার ভাগ বেড়েছে। আফ্রিকার সংঘাত প্রবণ দেশ দক্ষিণ সুদানে বিশাল সংখ্যক শিশু এক বছরের বেশি সময় ধরে স্কুলে যেতে পারছে না।

ইউনিসেফের রাসেল বলেন, যুদ্ধ বিধ্বস্ত এলাকার শিশুরা প্রতিদিন নানাভাবে আক্রান্ত হয়। এরফলে তাদের শৈশব হারিয়ে যায়।

 

Please Share This Post in Your Social Media

বিশ্বে যুদ্ধে ক্ষতির শিকার রেকর্ডসংখ্যক শিশু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ০৬:৩৫:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

গাজা ও ইউক্রেনসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে যুদ্ধের কারণে রেকর্ডসংখ্যক শিশু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।

জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জানায়, ২০২৪ সালে গাজা, ইউক্রেনসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে যুদ্ধের কারণে হাজার হাজার শিশু নিহত হয়েছে। যুদ্ধে যেই সংখ্যক শিশু নিহত হয়েছে তার চেয়ে বেশিসংখ্যক অপুষ্টিতে ভুগছে। যেতে পারছে না স্কুলে এবং পাচ্ছে না টিকার মতো অতিপ্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা।

শনিবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, রেকর্ডসংখ্যক শিশু যুদ্ধ আক্রান্ত এলাকায় বাস করছে কিংবা বাস্তুচ্যুত হয়েছে। অতীতে কখনো এত সংখ্যক শিশু আক্রান্ত হয়নি। সংস্থাটির অনুমান, সারাবিশ্বে ৪৭৩ মিলিয়নের বেশি শিশু যুদ্ধ আক্রান্ত এলাকায় বাস করছে। অর্থাৎ প্রতি ছয়জনে এক শিশু এমন পরিস্থিতির শিকার। এরফলে রেকর্ড সংখ্যক শিশু মারা গেছে, আহত হয়েছে কিংবা অধিকার বঞ্চিত হয়েছে।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথেরিনা রাসেল বলেন, যে কোনো হিসেবে ইউনিসেফের ইতিহাসে বলা যায়, ২০২৪ সাল ছিল শিশুদের জন্য সবচেয়ে খারাপ বছর। বেশি আক্রান্ত যেখানে গাজা, ইউক্রেনসহ যুদ্ধ ও সংঘাতে লিপ্ত এলাকাগুলোতে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানায় ইউনিসেফ।

সংস্থাটির বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়েছে। ইউক্রেনে চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে পুরো ২০২৩ সালের তুলনায় বেশি শিশু হতাহতের শিকার হয়েছে।

এদিকে মধ্য আমেরিকার দেশ হাইতিতে শিশুদের উপর যৌন নিপীড়নের ঘটনা চলতি বছর এক হাজার ভাগ বেড়েছে। আফ্রিকার সংঘাত প্রবণ দেশ দক্ষিণ সুদানে বিশাল সংখ্যক শিশু এক বছরের বেশি সময় ধরে স্কুলে যেতে পারছে না।

ইউনিসেফের রাসেল বলেন, যুদ্ধ বিধ্বস্ত এলাকার শিশুরা প্রতিদিন নানাভাবে আক্রান্ত হয়। এরফলে তাদের শৈশব হারিয়ে যায়।