বিয়ের প্রলোভনে হোটেলে নিয়ে হত্যা

- Update Time : ০৪:১১:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
- / ১৬৫ Time View
টিকটকে পরিচয়ের সূত্র ধরে গড়ে ওঠে প্রেম। কিন্তু সেই সম্পর্কের পরিণতি হয় মর্মান্তিক।
রাজধানীর কমলাপুরে এক আবাসিক হোটেলে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ডেকে নিয়ে সুমি রানী রায় (৩৬) নামে এক নারীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন প্রেমিক রুবেল (৩১)। এ ঘটনায় রুবেলকে আটক করেছে
র্যাব ।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাতে র্যাব-৩ এর সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনদ বড়ুয়া এসব তথ্য জানান।
র্যাব জানায়, নিহত সুমির বড় বোনের সঙ্গে টিকটকে পরিচয়ের পর প্রেমে জড়ান রুবেল। সুমির বড় বোনের দুই সন্তান থাকায় সুমি রুবেলকে নিষেধ করে তার বোনের সঙ্গে যোগাযোগ না করার জন্য। এক পর্যায়ে সুমিকে বিয়ের প্রলোভনে ঢাকায় আনেন রুবেল। এরপর আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে ওঠেন এবং পরে সুমিকে হত্যা করে পালিয়ে যান রুবেল।
তিনি জানান, দেড় বছর আগে সুমি রানী রায়ের বড় বোনের সঙ্গে টিকটকের মাধ্যমে পরিচয় হয় রুবেলের। পরিচয় সুবাদে সুমির বোন ও রুবেলের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের কথা জানাজানি হলে সুমি রুবেলকে জানান, তার বোনের দুটি সন্তান রয়েছে এবং তার বোন হিন্দু। সুমি রুবেলকে নিষেধ করেন আর বোনের সঙ্গে যোগাযোগ না করার।
আসামি রুবেল সুমির বোনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং সুমিকে বিয়ে করবেন বলে সুমির বড় বোনকে জানান। পরবর্তীতে সুমি গত ২৫ মে তার বোনকে জানান, তিনি এবং রুবেল ঢাকায় অবস্থান করছেন।
র্যাব-৩-এর এএসপি সনদ বড়ুয়া আরও জানান, এরপর ২৭ মে সুমি রানী এবং রুবেল রাজধানীর মতিঝিল থানাধীন উত্তর কমলাপুরস্থ আবাসিক হোটেল সি-ল্যান্ডে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে একটি কক্ষ ভাড়া নেন। পরে নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে রুবেল ক্ষিপ্ত হয়ে সুমিকে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন এবং হোটেল থেকে কৌশলে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় মতিঝিল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হলে র্যাব-৩ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। পরবর্তীতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামির অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে র্যাব-১১ এর সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার (২৯ মে) কুমিল্লার মেঘনা থানাধীন এলাকা থেকে রুবেলকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৩।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়