ঢাকা ০১:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
৭ বছরে ও সুবর্ণা হত্যার বিচার হয়নি, হুমকির মুখে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন অপচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু; রংপুরে দুই ক্লিনিককে জরিমানা,ওটি সিলগালা পিআর পদ্ধতি দেশকে আরও বেশি স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেবে – রিজভী তিন দফা দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিল শেকৃবি শিক্ষার্থীরা কুবিতে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ অভিযুক্ত ব্যাচের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ; তদন্ত কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ১-১১’র প্রেক্ষাপট তৈরি করে আ.লীগ কর্তৃত্বশীল শাসকরূপে চিহ্নিত হয় : মাওলানা আবদুল হালিম মাদক বিষাক্ত সাপের মতো ব্যক্তি ও সমাজকে নিঃশেষ করে দেয় জুলাই আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ শুরু হয়েছিল রংপুর থেকেই: নাহিদ ইসলাম

বিএনপি নেতা মুরগি আফজালের অত্যাচারে অতীষ্ঠ এলাকাবাসী

স্টাফ রিপোর্টার
  • Update Time : ১০:৩১:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫
  • / ২০৬ Time View

রাজধানীর মিরপুর মধ্যপাইকপাড়া ও কল্যাণপুর এলাকায় বিএনপি নেতা আফজালের (মুরগি আফজাল) অত্যাচার ও চাঁদাবাজিতে অতীষ্ঠ এলাকাবাসী। তিনি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ১১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি।

জমি দখল, চাঁদার দাবিতে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়া, মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়, সাধারণ মানুষকে পুলিশ দিয়ে হয়রানি, ভিজিটিং কার্ড পাঠিয়ে দোকানে দোকানে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হামলাসহ অসংখ্য অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এসব ব্যাপারে থানা পুলিশ ও বিএনপি’র উর্ধতন নেতাদের জানিয়ে কোন সুরাহা হয়নি।

এলাকাবাসী জানান, গত বছর ৫ আগস্ট সরকার পতনের পরপরই বিএনপি নেতা আফজাল ওরফে মুরগি আফজাল তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে মধ্যপাইকপাড়া ও কল্যাণপুর নতুনবাজার এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে নেয়। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বাড়ি-ঘর ও অফিসে হামলা চালায়। তিনি একসময় কল্যাণপুর নতুনবাজারে মুরগি বিক্রি করতেন। তাই তাকে সবাই মুরগি আফজাল নামেই ডাকেন। পরবর্তীতে তাকে ১১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বানানো হয়। এই পদের বড়াই দেখিয়ে এখন সে সাধারণ এলাকাবাসীদের ওপর অত্যাচার করছে।

সম্প্রতি সে ২০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে একটি বহুতল ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়। সে দাবি করে সেখানে নাকি তাদের পূর্বপুরুষের কিছু জমি আছে। পরবর্তীতে জনৈক মহিলা বিষয়টি নিয়ে বিএনপি নেতা এস এ খালেকের পুত্র সাজুর কাছে বিচার দেয়। সাজু তাৎক্ষনিক আফজালকে বিষয়টি সমাধান করতে বললেও আফজাল নির্মাণ কাজ চালু করতে দেয়নি। এর আগে আফজাল দক্ষিণপাইকপাড়ায় এক প্রবাসীর জমি বেড়া দিয়ে ঘেরাও করে দখল করে নেয়। ঐ প্রবাসীর আত্মীয় এখনও পুলিশের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। আফজাল মধ্যপাইকপাড়া এলাকায় একটি রিক্সা গ্যারেজে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হামলা চালিয়ে অফিস বানানোর অজুহাতে আরেকটি জমি দখল করে নেয়। তার অত্যাচারে গোটা এলকাবাসী অতীষ্ঠ।

বিগত ৫ই আগস্টের ঘটনায় মামলায় নাম ঢুকানোর ভয় দেখিয়ে সে এলাকার ব্যবসায়ীদের এমনকি মুদি দোকানিদের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা তুলেছে। গরীব ও অসহায় মানুষদের পুলিশ দিয়ে হয়রানি করছে। প্রতিদিনই কোন না কোন এলাকাবাসীর ওপর সে চড়াও হচ্ছে। সম্প্রতি একটি রিক্সা গ্যারেজ মালিককে ধরে এনে তিনি চোরাই রিক্সার ব্যবসা করে এই অভিযোগ দিয়ে মোটা অংকের উৎকোচ আদায় করে নেয়। তিনি বিএনপির নেতা পরিচয় দিয়ে একটি ভিজিটিং কার্ড বানিয়েছে। যেখানেই নির্মাণ কাজ হচ্ছে সেখানে তার বাহিনী এই ভিজিটিং কার্ড দিয়ে চাঁদা দাবি করে আসছে।

এ ব্যাপারে মহানগর উত্তর বিএনপির এক নেতার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আফজালের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ আমরাও শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে উর্ধতন নেতাদের সাথে আলোচনা হচ্ছে। শীঘ্রই আমরা তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেব।

Please Share This Post in Your Social Media

বিএনপি নেতা মুরগি আফজালের অত্যাচারে অতীষ্ঠ এলাকাবাসী

স্টাফ রিপোর্টার
Update Time : ১০:৩১:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫

রাজধানীর মিরপুর মধ্যপাইকপাড়া ও কল্যাণপুর এলাকায় বিএনপি নেতা আফজালের (মুরগি আফজাল) অত্যাচার ও চাঁদাবাজিতে অতীষ্ঠ এলাকাবাসী। তিনি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ১১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি।

জমি দখল, চাঁদার দাবিতে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়া, মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়, সাধারণ মানুষকে পুলিশ দিয়ে হয়রানি, ভিজিটিং কার্ড পাঠিয়ে দোকানে দোকানে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হামলাসহ অসংখ্য অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এসব ব্যাপারে থানা পুলিশ ও বিএনপি’র উর্ধতন নেতাদের জানিয়ে কোন সুরাহা হয়নি।

এলাকাবাসী জানান, গত বছর ৫ আগস্ট সরকার পতনের পরপরই বিএনপি নেতা আফজাল ওরফে মুরগি আফজাল তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে মধ্যপাইকপাড়া ও কল্যাণপুর নতুনবাজার এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে নেয়। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বাড়ি-ঘর ও অফিসে হামলা চালায়। তিনি একসময় কল্যাণপুর নতুনবাজারে মুরগি বিক্রি করতেন। তাই তাকে সবাই মুরগি আফজাল নামেই ডাকেন। পরবর্তীতে তাকে ১১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বানানো হয়। এই পদের বড়াই দেখিয়ে এখন সে সাধারণ এলাকাবাসীদের ওপর অত্যাচার করছে।

সম্প্রতি সে ২০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে একটি বহুতল ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়। সে দাবি করে সেখানে নাকি তাদের পূর্বপুরুষের কিছু জমি আছে। পরবর্তীতে জনৈক মহিলা বিষয়টি নিয়ে বিএনপি নেতা এস এ খালেকের পুত্র সাজুর কাছে বিচার দেয়। সাজু তাৎক্ষনিক আফজালকে বিষয়টি সমাধান করতে বললেও আফজাল নির্মাণ কাজ চালু করতে দেয়নি। এর আগে আফজাল দক্ষিণপাইকপাড়ায় এক প্রবাসীর জমি বেড়া দিয়ে ঘেরাও করে দখল করে নেয়। ঐ প্রবাসীর আত্মীয় এখনও পুলিশের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। আফজাল মধ্যপাইকপাড়া এলাকায় একটি রিক্সা গ্যারেজে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হামলা চালিয়ে অফিস বানানোর অজুহাতে আরেকটি জমি দখল করে নেয়। তার অত্যাচারে গোটা এলকাবাসী অতীষ্ঠ।

বিগত ৫ই আগস্টের ঘটনায় মামলায় নাম ঢুকানোর ভয় দেখিয়ে সে এলাকার ব্যবসায়ীদের এমনকি মুদি দোকানিদের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা তুলেছে। গরীব ও অসহায় মানুষদের পুলিশ দিয়ে হয়রানি করছে। প্রতিদিনই কোন না কোন এলাকাবাসীর ওপর সে চড়াও হচ্ছে। সম্প্রতি একটি রিক্সা গ্যারেজ মালিককে ধরে এনে তিনি চোরাই রিক্সার ব্যবসা করে এই অভিযোগ দিয়ে মোটা অংকের উৎকোচ আদায় করে নেয়। তিনি বিএনপির নেতা পরিচয় দিয়ে একটি ভিজিটিং কার্ড বানিয়েছে। যেখানেই নির্মাণ কাজ হচ্ছে সেখানে তার বাহিনী এই ভিজিটিং কার্ড দিয়ে চাঁদা দাবি করে আসছে।

এ ব্যাপারে মহানগর উত্তর বিএনপির এক নেতার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আফজালের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ আমরাও শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে উর্ধতন নেতাদের সাথে আলোচনা হচ্ছে। শীঘ্রই আমরা তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেব।