ঢাকা ০৯:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
বর্তমান সময়ে সুষ্ঠ নির্বাচনের কথা কল্পনাও করা যায় না – জামায়াত আমির ৭ বছরে ও সুবর্ণা হত্যার বিচার হয়নি, হুমকির মুখে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন অপচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু; রংপুরে দুই ক্লিনিককে জরিমানা,ওটি সিলগালা পিআর পদ্ধতি দেশকে আরও বেশি স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেবে – রিজভী তিন দফা দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিল শেকৃবি শিক্ষার্থীরা কুবিতে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ অভিযুক্ত ব্যাচের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ; তদন্ত কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ১-১১’র প্রেক্ষাপট তৈরি করে আ.লীগ কর্তৃত্বশীল শাসকরূপে চিহ্নিত হয় : মাওলানা আবদুল হালিম মাদক বিষাক্ত সাপের মতো ব্যক্তি ও সমাজকে নিঃশেষ করে দেয়

বিআইডব্লিউটিএ’র টেন্ডারে অনিয়মের অভিযোগ

জাতীয়
  • Update Time : ১১:২৮:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫
  • / ১৩৫ Time View

ফরহাদ হোসেন সেতুল নামে এক ব্যক্তি নিজেকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যানের ছোট ভাই পরিচয় দিয়ে ৬টি প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিয়েছেন। এসব কাজের বিনিময়ে পরামর্শ ফি’র নামে মোট টেন্ডার ভ্যালুর ৬ শতাংশ টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

সম্প্রতি নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে এমন এসেছে। মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর লিখিত ওই অভিযোগে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ফরহাদ হোসেন সেতুল নামে এক ব্যক্তি বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যানকে নিজের ভাই পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। প্রাথকমিকভাবে একটি দরপত্রের কাজ পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে একটি খসড়া চুক্তিপত্রে মোট ৬ শতাংশ দাবি করেছেন তিনি। নতুন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে আকৃষ্ট করতে চাপ প্রয়োগের পাশাপাশি পূর্বে কোন কোন প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিয়েছেন, সেটারও ফিরিস্তিও তুলে ধরা হয়েছে অভিযোগপত্রে।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ফরহাদ সেতুল হাতিলের এক কর্মকর্তার সঙ্গে চুক্তির এক পর্যায়ে বলছেন, ‘আমি ৬টি প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিয়েছি। চট্টগ্রামে সন্দীপের একটি ঘাটের কাজ পাইয়ে দিয়েছি। চট্টগ্রামের সিডিএল এর একটি কাজ করেছিলাম। মোনালিসার সাথে একটা কাজ ছিল। রিব ড্রেজিং-এর সাথে ড্রেজিংয়ের ২৭ কোটি টাকার একটা কাজ ছিল। এসব কাজ সেম এগ্রিমেন্টে আমাদের সাথে হয়েছে। এটা হলে আপনারও ভালো। আমারও ভালো। সবগুলোই আমরা এগ্রিমেন্ট করে কাজ করি। বিআইডব্লিউটিএতে আমরা সাকসেসফুলি ৬টা কাজ করেছি। ’

ফরহাদ সেতুল এবং হাতিলের মধ্যে চুক্তি করার খসড়া প্রস্তাবে দেওয়া হয় বিভিন্ন শর্ত। মোট টেন্ডার বাজেটের ৬ শতাংশ দাবির পাশাপাশি এই চুক্তিতে বলা হয়েছে, নোয়া (নোটিফেশন অ্যাওয়ার্ড) পেলে চুক্তির ৫০ শতাংশ অর্থ এবং কনট্রাক্ট সাইন হবার পর বাকি ৫০ শতাংশ দিতে হবে। চুক্তিতে আরও বলা হয়েছে, দ্বিতীয় পক্ষ (ফরহাদ সেতুল) প্রথম পক্ষ হাতিলের জন্য কাজ করবে।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফার এই কথিত ছোট ভাই একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চুক্তি সম্পন্ন করতে চাপ দিচ্ছেন। একাধিকবার কল কর পর হোয়াটাআ্যাপের ওই মেসেজে তিনি (ফরহাদ সেতুল) লিখেছেন, ‘আপনি কাজ না নিলে বিষয়টা আমি ক্যানসেল করব’। পরবর্তীতে ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তাদের সিদ্ধান্তহীনতার কথা জানালে ফরহাদ সেতুল বলেন, ‘আমার কিছু করার নেই। ভাইয়া (কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফা) আমি একসাথে ছিলাম রাতে। ভাইয়া বলে দিয়েছে আমাকে। ’

বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত করে এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অভিযোগপত্রে আবেদন জানানো হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

বিআইডব্লিউটিএ’র টেন্ডারে অনিয়মের অভিযোগ

জাতীয়
Update Time : ১১:২৮:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

ফরহাদ হোসেন সেতুল নামে এক ব্যক্তি নিজেকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যানের ছোট ভাই পরিচয় দিয়ে ৬টি প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিয়েছেন। এসব কাজের বিনিময়ে পরামর্শ ফি’র নামে মোট টেন্ডার ভ্যালুর ৬ শতাংশ টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

সম্প্রতি নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে এমন এসেছে। মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর লিখিত ওই অভিযোগে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ফরহাদ হোসেন সেতুল নামে এক ব্যক্তি বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যানকে নিজের ভাই পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। প্রাথকমিকভাবে একটি দরপত্রের কাজ পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে একটি খসড়া চুক্তিপত্রে মোট ৬ শতাংশ দাবি করেছেন তিনি। নতুন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে আকৃষ্ট করতে চাপ প্রয়োগের পাশাপাশি পূর্বে কোন কোন প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিয়েছেন, সেটারও ফিরিস্তিও তুলে ধরা হয়েছে অভিযোগপত্রে।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ফরহাদ সেতুল হাতিলের এক কর্মকর্তার সঙ্গে চুক্তির এক পর্যায়ে বলছেন, ‘আমি ৬টি প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিয়েছি। চট্টগ্রামে সন্দীপের একটি ঘাটের কাজ পাইয়ে দিয়েছি। চট্টগ্রামের সিডিএল এর একটি কাজ করেছিলাম। মোনালিসার সাথে একটা কাজ ছিল। রিব ড্রেজিং-এর সাথে ড্রেজিংয়ের ২৭ কোটি টাকার একটা কাজ ছিল। এসব কাজ সেম এগ্রিমেন্টে আমাদের সাথে হয়েছে। এটা হলে আপনারও ভালো। আমারও ভালো। সবগুলোই আমরা এগ্রিমেন্ট করে কাজ করি। বিআইডব্লিউটিএতে আমরা সাকসেসফুলি ৬টা কাজ করেছি। ’

ফরহাদ সেতুল এবং হাতিলের মধ্যে চুক্তি করার খসড়া প্রস্তাবে দেওয়া হয় বিভিন্ন শর্ত। মোট টেন্ডার বাজেটের ৬ শতাংশ দাবির পাশাপাশি এই চুক্তিতে বলা হয়েছে, নোয়া (নোটিফেশন অ্যাওয়ার্ড) পেলে চুক্তির ৫০ শতাংশ অর্থ এবং কনট্রাক্ট সাইন হবার পর বাকি ৫০ শতাংশ দিতে হবে। চুক্তিতে আরও বলা হয়েছে, দ্বিতীয় পক্ষ (ফরহাদ সেতুল) প্রথম পক্ষ হাতিলের জন্য কাজ করবে।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফার এই কথিত ছোট ভাই একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চুক্তি সম্পন্ন করতে চাপ দিচ্ছেন। একাধিকবার কল কর পর হোয়াটাআ্যাপের ওই মেসেজে তিনি (ফরহাদ সেতুল) লিখেছেন, ‘আপনি কাজ না নিলে বিষয়টা আমি ক্যানসেল করব’। পরবর্তীতে ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তাদের সিদ্ধান্তহীনতার কথা জানালে ফরহাদ সেতুল বলেন, ‘আমার কিছু করার নেই। ভাইয়া (কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফা) আমি একসাথে ছিলাম রাতে। ভাইয়া বলে দিয়েছে আমাকে। ’

বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত করে এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অভিযোগপত্রে আবেদন জানানো হয়।