ঢাকা ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ

বাঞ্ছারামপুরে সাত বছরের শিশু ধর্ষণ, পরদিনই জামিনে মুক্ত অভিযুক্ত কিশোর

মেহেদী হাসান মেহের, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
  • Update Time : ০২:০৩:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১১৩৪ Time View

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বাহেরচর গ্রামে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত কিশোরকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করলেও পরদিনই সে জামিনে মুক্তি পায়। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।

শিশুটির বাবা মো. সানাউল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, প্রভাবশালীরা মামলাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি তার মেয়ের ধর্ষণের ঘটনায় ন্যায়বিচার দাবি করেছেন।

লিখিত অভিযোগে সানাউল্লাহ উল্লেখ করেন, গত ২১ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টার দিকে স্থানীয় আলিয়া মাদ্রাসা থেকে ক্লাস শেষে তার সাত বছরের মেয়ে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় একই গ্রামের আলাউদ্দিন মিয়ার ১৩ বছরের ছেলে তাকে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক বাহেরচরের কালা মিয়ার একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে নিয়ে যায় এবং সেখানে শিশুটিকে ধর্ষণ করে।

বাড়ি ফিরে শিশুটির কান্নাকাটি ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখে সানাউল্লাহ বিষয়টি জানতে পারেন। তিনি জানান, মেয়েটির গোপনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। পরে তাকে প্রথমে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এই সময় বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান জামিল খান জানান, শিশুটিকে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ প্রেক্ষিতে ২২ তারিখই আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছিল।আদালত যদি জামিন দেয় তখন তো আমার করার কিচ্ছু থাকেনা।

শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) অভিযুক্ত কিশোরের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়িতে কোনো পুরুষ সদস্য নেই। নারী সদস্যরাও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।

ভুক্তভোগী শিশুটি বর্তমানে একটি মাদ্রাসার প্লে শ্রেণিতে পড়ে। সে নিজেও এই গণমাধ্যমকর্মীকে ঘটনার কথা জানিয়েছেন।

শিশুটির বাবা সানাউল্লাহ বলেন, আমার মেয়ের ওপর যে নৃশংসতা চালানো হয়েছে, তার সঠিক বিচার চাই। দোষী যেই হোক, তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।

Please Share This Post in Your Social Media

বাঞ্ছারামপুরে সাত বছরের শিশু ধর্ষণ, পরদিনই জামিনে মুক্ত অভিযুক্ত কিশোর

মেহেদী হাসান মেহের, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
Update Time : ০২:০৩:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বাহেরচর গ্রামে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত কিশোরকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করলেও পরদিনই সে জামিনে মুক্তি পায়। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।

শিশুটির বাবা মো. সানাউল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, প্রভাবশালীরা মামলাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি তার মেয়ের ধর্ষণের ঘটনায় ন্যায়বিচার দাবি করেছেন।

লিখিত অভিযোগে সানাউল্লাহ উল্লেখ করেন, গত ২১ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টার দিকে স্থানীয় আলিয়া মাদ্রাসা থেকে ক্লাস শেষে তার সাত বছরের মেয়ে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় একই গ্রামের আলাউদ্দিন মিয়ার ১৩ বছরের ছেলে তাকে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক বাহেরচরের কালা মিয়ার একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে নিয়ে যায় এবং সেখানে শিশুটিকে ধর্ষণ করে।

বাড়ি ফিরে শিশুটির কান্নাকাটি ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখে সানাউল্লাহ বিষয়টি জানতে পারেন। তিনি জানান, মেয়েটির গোপনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। পরে তাকে প্রথমে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এই সময় বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান জামিল খান জানান, শিশুটিকে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ প্রেক্ষিতে ২২ তারিখই আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছিল।আদালত যদি জামিন দেয় তখন তো আমার করার কিচ্ছু থাকেনা।

শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) অভিযুক্ত কিশোরের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়িতে কোনো পুরুষ সদস্য নেই। নারী সদস্যরাও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।

ভুক্তভোগী শিশুটি বর্তমানে একটি মাদ্রাসার প্লে শ্রেণিতে পড়ে। সে নিজেও এই গণমাধ্যমকর্মীকে ঘটনার কথা জানিয়েছেন।

শিশুটির বাবা সানাউল্লাহ বলেন, আমার মেয়ের ওপর যে নৃশংসতা চালানো হয়েছে, তার সঠিক বিচার চাই। দোষী যেই হোক, তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।