ঢাকা ০১:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
কুবির সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে উত্তরসহ প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে শর্টকোড চালুর সিদ্ধান্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হচ্ছে বাস ট্র্যাকিং সিস্টেম ধর্ষণকারীর মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে গাজীপুরে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল নোয়াখালীতে নামাজ পড়তে গেলে মসজিদের শৌচাগারে শিশুকে বলৎকার বান্দরবানে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ৪ আসামীর যাবজ্জীবন, ১ লাখ টাকা জরিমানা ধর্ষণ বিরোধী স্লোগানে মুখরিত কুবি ক্যাম্পাস বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়কসহ ৭ জন কারাগারে মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বাবাকে কুপিয়ে জখম কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বহির্বিভাগের টিকিট বাণিজ্য

বাকৃবির মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী

সাঈদা জাহান খুকী, বাকৃবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ১০:৩২:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ২৪ Time View

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) চত্বরে অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী ও সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো মাহমুদুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভুঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জি এম মুজিবর রহমান, বিশ্ববিদ্যলয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো আব্দুল আলীম। এছাড়াও স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এসময় স্কুলের কৃতি শিক্ষার্থীদের উৎসাহ প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আজিজুল হকের স্থাপিত কল্যান ট্রাস্ট থেকে বিদ্যালয়ের কে.জি. শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রথমস্থান অধিকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি প্রদান করা হয়। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী হলেন ১ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ নাফিজ, ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থী আশফাক তানজীম, ৩য় শ্রেণির নাইফ ওয়ান্বিত, ৪র্থ শ্রেণির নিঝুম বিশ্বাস, ৫ম শ্রেণির সামিয়া আক্তার।

অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল নাট্যচিত্রের মাধ্যমে শিশু শিক্ষার্থীরা জুলাই আন্দোলনকে তুলে ধরা। শহীদ আবু সাঈদ,মুগ্ধ প্রমুখ শহীদদের আন্দোলনে ভূমিকা সচিত্র তুলে ধরেন। নাট্যচিত্র শেষে প্রথমে পর্বের বিভিন্ন খেলার প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠান উপস্থিত অতিথিবৃন্দ।

এর আগে সকালে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এ সময় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন বাকৃবির ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো শহিদুল হক। উদ্বোধনী শেষ বালক বালিকা বিভাগের বিভিন্ন খেলার প্রতিযোগিতা শুরু হয়। দৌড়, ব্যাঙ দৌড়,বস্তা দৌড়, পুতুল নাচ, মোরগ লড়াই, হাতি উড়ে পাখি উড়ে, ভারসাম্য দৌড়, যেমন খুশি তেমন সাজোসহ বিভিন্ন প্রকারের খেলার শিশু শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে আয়োজিত হয়েছে।

পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের সময় বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি আনন্দিত আমাদের স্কুলের শিক্ষার্থীরা জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের যে পটভূমি অভিনয়ের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন আমি মুগ্ধ হয়েছি। আমি আশা করি আবু সাঈদ মুগ্ধসহ নাম না জানা অনেক শহীদের মত বুক ভরা দেশপ্রেম, সততা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কন্ঠ গড়ে উঠবে এই বাংলায় গড়ে উঠবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা দৃঢ় চিত্তে বলতে চাই মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বিদ্যালয় যেন সঠিক মুক্তিযোদ্ধাদের, ন্যায়ের মুক্তিযোদ্ধাদের এবং দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধাদের একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে ওঠে। এখানে যেন কোনরকম ন্যায় বহির্ভূত কার্যক্রম প্রতিষ্ঠিত না হয়। এটি সঠিক মুক্তিযুদ্ধের ধারক ও বাহক হিসেবে বাংলার বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে।’

Please Share This Post in Your Social Media

বাকৃবির মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী

সাঈদা জাহান খুকী, বাকৃবি প্রতিনিধি
Update Time : ১০:৩২:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) চত্বরে অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী ও সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো মাহমুদুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভুঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জি এম মুজিবর রহমান, বিশ্ববিদ্যলয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো আব্দুল আলীম। এছাড়াও স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এসময় স্কুলের কৃতি শিক্ষার্থীদের উৎসাহ প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আজিজুল হকের স্থাপিত কল্যান ট্রাস্ট থেকে বিদ্যালয়ের কে.জি. শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রথমস্থান অধিকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি প্রদান করা হয়। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী হলেন ১ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ নাফিজ, ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থী আশফাক তানজীম, ৩য় শ্রেণির নাইফ ওয়ান্বিত, ৪র্থ শ্রেণির নিঝুম বিশ্বাস, ৫ম শ্রেণির সামিয়া আক্তার।

অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল নাট্যচিত্রের মাধ্যমে শিশু শিক্ষার্থীরা জুলাই আন্দোলনকে তুলে ধরা। শহীদ আবু সাঈদ,মুগ্ধ প্রমুখ শহীদদের আন্দোলনে ভূমিকা সচিত্র তুলে ধরেন। নাট্যচিত্র শেষে প্রথমে পর্বের বিভিন্ন খেলার প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠান উপস্থিত অতিথিবৃন্দ।

এর আগে সকালে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এ সময় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন বাকৃবির ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো শহিদুল হক। উদ্বোধনী শেষ বালক বালিকা বিভাগের বিভিন্ন খেলার প্রতিযোগিতা শুরু হয়। দৌড়, ব্যাঙ দৌড়,বস্তা দৌড়, পুতুল নাচ, মোরগ লড়াই, হাতি উড়ে পাখি উড়ে, ভারসাম্য দৌড়, যেমন খুশি তেমন সাজোসহ বিভিন্ন প্রকারের খেলার শিশু শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে আয়োজিত হয়েছে।

পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের সময় বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি আনন্দিত আমাদের স্কুলের শিক্ষার্থীরা জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের যে পটভূমি অভিনয়ের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন আমি মুগ্ধ হয়েছি। আমি আশা করি আবু সাঈদ মুগ্ধসহ নাম না জানা অনেক শহীদের মত বুক ভরা দেশপ্রেম, সততা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কন্ঠ গড়ে উঠবে এই বাংলায় গড়ে উঠবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা দৃঢ় চিত্তে বলতে চাই মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বিদ্যালয় যেন সঠিক মুক্তিযোদ্ধাদের, ন্যায়ের মুক্তিযোদ্ধাদের এবং দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধাদের একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে ওঠে। এখানে যেন কোনরকম ন্যায় বহির্ভূত কার্যক্রম প্রতিষ্ঠিত না হয়। এটি সঠিক মুক্তিযুদ্ধের ধারক ও বাহক হিসেবে বাংলার বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে।’