ঢাকা ০১:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
লোহাগাড়ায় অস্ত্র ও লুন্ঠিত মালামালসহ ডাকাত দম্পতি আটক শাহজাহান চৌধুরীর সাথে স্বাক্ষাৎ করলেন বাংলাদেশ’র কান্ট্রি ডিরেক্টর জুলি ভারবার্গ রংপুরে ৫টি আসনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী ঘোষণা টাঙ্গাইল শহরের প্রবেশ দ্বারে ময়লার ভাগার, দূর্গন্ধে অতিষ্ঠ পথচারীরা জামায়াত রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে মহিলারা সবচাইতে ভালো থাকবে পুলিশের চেকপোস্টে পিস্তল-গুলি ফেলে পালাল সন্ত্রাসী রিফিউজি জীবন চাই না, নিজভূমিতে ফিরতে চাই উখিয়ায় ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযান: আওয়ামী লীগের ১০ নেতাকর্মী গ্রেফতার নিজ দলের লোকই বিএনপির কাছে নিরাপদ নয় – ফজলুল করিম বেরোবি শিক্ষক মাহামুদুল হকের মুক্তির দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

বাকৃবির দুই হলের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

সাঈদা জাহান খুকী, বাকৃবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ১০:৫৩:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৮৫ Time View

মেসন কোচিং সেন্টারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হলকে ছোট করে উসকানিমূলক কথাবার্তাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আবাসিক দুই হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শহীদ শামসুল হক হল এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বার মোড়ে দুই হলের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। এতে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী জড়িয়ে পড়ে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় গত শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মেসন নামের একটি কোচিং সেন্টারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান থেকে। ওইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের প্রায় পাঁচশতাধিক শিক্ষার্থী ময়মনসিংহের টাউন হল মিলনায়তনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠান শেষে সাংস্কৃতিক পর্বের সময় বঙ্গবন্ধু হলের শিক্ষার্থীরা পরিবেশনা করতে মঞ্চে উঠলে শামসুল হক হলের শিক্ষার্থীরা ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকে। পরে শামসুল হক হলের শিক্ষার্থীরা মঞ্চে উঠলে একইভাবে বঙ্গবন্ধু হলের শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয় এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। কোচিং কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি শান্ত করে শিক্ষার্থীদের হলে ফেরত পাঠায়।

এই ঘটনার জেরে রবিবার দুপুরে দুই হলের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ বাঁধে। এতে কয়েকজন আহত হন।

এ বিষয়ে মেসন কোচিং সেন্টারের পরিচালক ও কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী আরাফাত বলেন, ওইদিন আমরা পরিস্থিতি মিটমাট করে শিক্ষার্থীদের হলে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। আজকের ঘটনার সাথে মেসনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই। এটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ও হলকেন্দ্রিক।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলীম বলেন, ‘সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমরা উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু সন্ধ্যার দিকে আমরা চলে আসি। পরের দিন জানতে পারি সেখানে রাতের বেলা হাতাহাতির ঘটনা হয়েছে। তার সূত্র ধরেই আজকের মারামারি। এর দায় অবশ্যই মেসনকে নিতে হবে। আমরা তদন্ত করে এর বিচার করবো। কোচিং সেন্টার ও দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করবো।

Please Share This Post in Your Social Media

বাকৃবির দুই হলের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

সাঈদা জাহান খুকী, বাকৃবি প্রতিনিধি
Update Time : ১০:৫৩:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মেসন কোচিং সেন্টারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হলকে ছোট করে উসকানিমূলক কথাবার্তাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আবাসিক দুই হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শহীদ শামসুল হক হল এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বার মোড়ে দুই হলের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। এতে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী জড়িয়ে পড়ে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় গত শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মেসন নামের একটি কোচিং সেন্টারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান থেকে। ওইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের প্রায় পাঁচশতাধিক শিক্ষার্থী ময়মনসিংহের টাউন হল মিলনায়তনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠান শেষে সাংস্কৃতিক পর্বের সময় বঙ্গবন্ধু হলের শিক্ষার্থীরা পরিবেশনা করতে মঞ্চে উঠলে শামসুল হক হলের শিক্ষার্থীরা ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকে। পরে শামসুল হক হলের শিক্ষার্থীরা মঞ্চে উঠলে একইভাবে বঙ্গবন্ধু হলের শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয় এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। কোচিং কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি শান্ত করে শিক্ষার্থীদের হলে ফেরত পাঠায়।

এই ঘটনার জেরে রবিবার দুপুরে দুই হলের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ বাঁধে। এতে কয়েকজন আহত হন।

এ বিষয়ে মেসন কোচিং সেন্টারের পরিচালক ও কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী আরাফাত বলেন, ওইদিন আমরা পরিস্থিতি মিটমাট করে শিক্ষার্থীদের হলে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। আজকের ঘটনার সাথে মেসনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই। এটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ও হলকেন্দ্রিক।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলীম বলেন, ‘সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমরা উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু সন্ধ্যার দিকে আমরা চলে আসি। পরের দিন জানতে পারি সেখানে রাতের বেলা হাতাহাতির ঘটনা হয়েছে। তার সূত্র ধরেই আজকের মারামারি। এর দায় অবশ্যই মেসনকে নিতে হবে। আমরা তদন্ত করে এর বিচার করবো। কোচিং সেন্টার ও দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করবো।