ঢাকা ০৫:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাকৃবিতে ১৫তম হল হিসেবে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু বেগম খালেদা জিয়া হলের

বাকৃবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ১১:১৩:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১২৬ Time View

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) উদ্বোধন করা হলো নতুন ছাত্রী হল বেগম খালেদা জিয়া হল। সোমবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টায় হলের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূইয়া। এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ তম আবাসিক হল হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে এই হলটি।

অনুষ্ঠানে বেগম খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো: আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো: শহীদুল হক, ডিন পরিষদের আহবায়ক অধ্যাপক ড. মো: রফিকুল ইসলাম সরদার, প্রভোস্ট পরিষদের আহবায়ক অধ্যাপক ড. মো: রুহুল আমিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. মো: মোশাররফ উদ্দীন ভূঞা, কোষাধ্যক্ষ ( ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো: আব্দুল আলীম, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ ড. মো: হেলাল উদ্দীন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, বিভিন্ন হলের প্রভোস্টবৃন্দ ও কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে হল উদ্বোধনী ছাড়াও হলের প্রভোস্টের দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয় এবং হলের নতুন প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন একোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. আলী রেজা ফারুক।

সভাপতির বক্তব্যে বেগম খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো: আব্দুল কাদের বলেন, এটি একটি অনন্য হল তার নামের কারণেই। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬০ শতাংশ ছাত্রী ও ৪০ শতাংশ ছাত্র রয়েছে- এভাবেই মেয়েরা এগিয়ে আসছে। তোমরা এই হলে শুধু বসবাস করবে না। ছোটখাটো সমস্যা থাকবেই, কিন্তু হলের এই পরিবেশে যদি তোমরা মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা করো, তাহলে তোমরা নিজেদেরকে আরও উন্নতভাবে গড়ে তুলতে পারবে, দেশের সেবায় এগিয়ে যেতে পারবে। তাহলেই এই হলের নাম সার্থক হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড এ কে ফজলুল হক ভূইয়া বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া একটি অবিস্মরণীয় নাম, একটি প্রতীক। একটি অনুকরণীয়, অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব যার নামে আমাদের এই হল। আমাদের এই হলটিকে আজকের এই অনুষ্ঠান পর্যন্ত আনতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরের শিক্ষক-কর্মকর্তা, সাংবাদিকবৃন্দ এবং যারা যারা হলের কাজ করেছেন তাদের সবার আন্তরিক প্রচেষ্টায়ই সম্ভব হয়েছে। এই হলের যে নৈসর্গিক সৌন্দর্য এবং পরিবেশ তাতে আমি মনে করি এই হলটি অন্যান্য সকল হলের চেয়ে আলাদা। তোমরা যারা এই হলে সিট পেয়েছো আমি মনে করি তোমরা সবাই অনেক ভাগ্যবান।”

এছাড়া শিক্ষার্থীদের নতুন হলের নিয়ম কানুন নিয়ে তিনি আরও বলেন, “এই হলে কোন হিটার চলবে না। এই হলের শতভাগ মেয়েকে ডাইনিং এ খেতে হবে। এই হলের কোন মেয়েকে আমি দেখতে চাই না পলিথিনে করে বাজার কিনে আনবে। ডাইনিং এর খাবার ভালো না হলে আমরা বাবুর্চিদের দেখব তোমরাও পরামর্শ দিবে। আর তোমাদের জন্য অতিসত্বর ব্যাডমিন্টন কোর্টের ব্যবস্থা করা হবে।”

উল্লেখ্য, প্রাথমিকভাবে ১০ তলাবিশিষ্ট হলটির একটি ব্লকের ৬তলা পর্যন্ত কাজ শেষ করা হয়েছে এবং ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ৩৫২ জন নারী শিক্ষার্থীকে হলে আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা এখানে ৪৪টি রুমের প্রতিটি রুমে ৮ জন করে অবস্থান করবেন।

Please Share This Post in Your Social Media

বাকৃবিতে ১৫তম হল হিসেবে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু বেগম খালেদা জিয়া হলের

বাকৃবি প্রতিনিধি
Update Time : ১১:১৩:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) উদ্বোধন করা হলো নতুন ছাত্রী হল বেগম খালেদা জিয়া হল। সোমবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টায় হলের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূইয়া। এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ তম আবাসিক হল হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে এই হলটি।

অনুষ্ঠানে বেগম খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো: আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো: শহীদুল হক, ডিন পরিষদের আহবায়ক অধ্যাপক ড. মো: রফিকুল ইসলাম সরদার, প্রভোস্ট পরিষদের আহবায়ক অধ্যাপক ড. মো: রুহুল আমিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. মো: মোশাররফ উদ্দীন ভূঞা, কোষাধ্যক্ষ ( ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো: আব্দুল আলীম, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ ড. মো: হেলাল উদ্দীন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, বিভিন্ন হলের প্রভোস্টবৃন্দ ও কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে হল উদ্বোধনী ছাড়াও হলের প্রভোস্টের দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয় এবং হলের নতুন প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন একোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. আলী রেজা ফারুক।

সভাপতির বক্তব্যে বেগম খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো: আব্দুল কাদের বলেন, এটি একটি অনন্য হল তার নামের কারণেই। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬০ শতাংশ ছাত্রী ও ৪০ শতাংশ ছাত্র রয়েছে- এভাবেই মেয়েরা এগিয়ে আসছে। তোমরা এই হলে শুধু বসবাস করবে না। ছোটখাটো সমস্যা থাকবেই, কিন্তু হলের এই পরিবেশে যদি তোমরা মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা করো, তাহলে তোমরা নিজেদেরকে আরও উন্নতভাবে গড়ে তুলতে পারবে, দেশের সেবায় এগিয়ে যেতে পারবে। তাহলেই এই হলের নাম সার্থক হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড এ কে ফজলুল হক ভূইয়া বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া একটি অবিস্মরণীয় নাম, একটি প্রতীক। একটি অনুকরণীয়, অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব যার নামে আমাদের এই হল। আমাদের এই হলটিকে আজকের এই অনুষ্ঠান পর্যন্ত আনতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরের শিক্ষক-কর্মকর্তা, সাংবাদিকবৃন্দ এবং যারা যারা হলের কাজ করেছেন তাদের সবার আন্তরিক প্রচেষ্টায়ই সম্ভব হয়েছে। এই হলের যে নৈসর্গিক সৌন্দর্য এবং পরিবেশ তাতে আমি মনে করি এই হলটি অন্যান্য সকল হলের চেয়ে আলাদা। তোমরা যারা এই হলে সিট পেয়েছো আমি মনে করি তোমরা সবাই অনেক ভাগ্যবান।”

এছাড়া শিক্ষার্থীদের নতুন হলের নিয়ম কানুন নিয়ে তিনি আরও বলেন, “এই হলে কোন হিটার চলবে না। এই হলের শতভাগ মেয়েকে ডাইনিং এ খেতে হবে। এই হলের কোন মেয়েকে আমি দেখতে চাই না পলিথিনে করে বাজার কিনে আনবে। ডাইনিং এর খাবার ভালো না হলে আমরা বাবুর্চিদের দেখব তোমরাও পরামর্শ দিবে। আর তোমাদের জন্য অতিসত্বর ব্যাডমিন্টন কোর্টের ব্যবস্থা করা হবে।”

উল্লেখ্য, প্রাথমিকভাবে ১০ তলাবিশিষ্ট হলটির একটি ব্লকের ৬তলা পর্যন্ত কাজ শেষ করা হয়েছে এবং ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ৩৫২ জন নারী শিক্ষার্থীকে হলে আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা এখানে ৪৪টি রুমের প্রতিটি রুমে ৮ জন করে অবস্থান করবেন।