ঢাকা ০১:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
টঙ্গী ফ্লাইওভারে বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ১ কাউন্সিলরের বাড়ি থেকে মাদক উদ্ধারের ঘটনায় বিপাকে ৪ কর্মকর্তা  নোয়াখালীতে ট্রাকের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু নিস্পত্তির মাধ্যমে মামলা জট কমিয়ে বিচার কাজ এগিয়ে নিতে হবে আদালত থেকে হাতকড়াসহ লাফ দিয়ে হত্যা মামলার আসামির পালানোর চেষ্টা নয় বছর পর ফিরছে ‘ব্রিকলেন কারি ফ্যাস্টিভ্যাল’ ফিলিস্তিনের প্রধান বিচারপতির সম্মানে প্রধান বিচারপতির নৈশভোজ চাইলেই দেড় বছরে সংস্কার সম্ভব নয়: উপদেষ্টা রিজওয়ানা টিভি দেখতে দেখতেই ব্রেন স্ট্রোক করলেন অভিনেত্রী সায়ন্তনী যেদিন রাস্তায় নামব, বন্দুকও কিছু করতে পারবে না : কাদের সিদ্দিকী

বাকৃবিতে শিক্ষকসহ ৩০০ জনকে জিম্মির ঘটনার বিচারে তদন্ত কমিটি

বাকৃবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৯:৪৭:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৯৮৬ Time View

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশুপালন ও ভেটেরিনারি অনুষদের ছাত্র-ছাত্রীদের কম্বাইন্ড ডিগ্রির আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হয়েছিলো তার সুষ্ঠু সমাধানকল্পে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) কমিটি গঠনের বিষয়ে কথা বললে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তদন্ত কমিটি সভাপতি কৃষি অনুষদের ডিন ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. জি. এম, মুজিবর রহমান। এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে একটি রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পশুপালন ও ভেটেরিনারি অনুষদের ছাত্র-ছাত্রীদের কম্বাইন্ড ডিগ্রির আন্দোলনকে সুষ্ঠু সমাধানকল্পে করণীয় সম্পর্কে গঠিত কমিটির রিপোর্ট/সুপারিশ গত ৩১ আগস্ট  সকাল ১১ টায় অনুষ্ঠিত শিক্ষা পরিষদের জরুরি সভায় উপস্থাপিত হলে বিএসসি ভেটেরিনারি সায়েন্স এন্ড এনিম্যাল হাজবেন্ড্রী নামে নতুন একটি ডিগ্রি প্রদানের সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। এরপরও কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনকে অপকৌশলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে শিক্ষা পরিষদের ২২৮ জন সম্মানিত সদস্য ও কর্মকর্তা কর্মচারীসহ প্রায় ৩০০ জনকে জিম্মি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ অস্থিতিশীল করার নেপথ্যে ইন্ধনদাতা, গুজব সৃষ্টিকারী এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশালীন/অশোভন মন্তব্য ও উস্কানি প্রদানকারীদের চিহ্নিত/সনাক্ত করে সুপারিশসহ রিপোর্ট প্রদানের নিমিত্তে নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো।

কমিটির অন্যান্য সদস্যারা হলেন, ফুড টেকনোলজি ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলজারুল আজিজ, ফিশারিজ বায়োলজি এন্ড জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ গোলাম কাদের খান, জেনেটিক্স এন্ড প্লান্ট ব্রিডিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জি. এইচ. এম. সাগর এবং সদস্য-সচিব সংস্থাপন শাখা-২ এর এডিশনাল রেজিস্ট্রার ড. মোঃ নাজমুল হক।

অধ্যাপক ড. জি. এম. মুজিবর রহমান বলেন, কমিটি হওয়ার পর আমরা সদ্য বৈঠকে বসেছি। কয়েকটি প্রাথমিক কৌশল নির্ধারণ করেছি। সেই কৌশল অনুযায়ী কাজ চালিয়ে গিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে পৌঁছানো হবে। এ কাজে কয়েকদিন সময় লাগবে। ৩১ আগস্টের ঘটনায় যারা ইন্ধন দিয়েছে, উসকানি দিয়েছে, শিক্ষকদের আটকে রেখেছে এবং বহিরাগত যারা হামলার সাথে জড়িত ছিল—সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হবে। পরবর্তীতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করে উপাচার্যের কাছে জমা দেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

বাকৃবিতে শিক্ষকসহ ৩০০ জনকে জিম্মির ঘটনার বিচারে তদন্ত কমিটি

বাকৃবি প্রতিনিধি
Update Time : ০৯:৪৭:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশুপালন ও ভেটেরিনারি অনুষদের ছাত্র-ছাত্রীদের কম্বাইন্ড ডিগ্রির আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হয়েছিলো তার সুষ্ঠু সমাধানকল্পে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) কমিটি গঠনের বিষয়ে কথা বললে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তদন্ত কমিটি সভাপতি কৃষি অনুষদের ডিন ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. জি. এম, মুজিবর রহমান। এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে একটি রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পশুপালন ও ভেটেরিনারি অনুষদের ছাত্র-ছাত্রীদের কম্বাইন্ড ডিগ্রির আন্দোলনকে সুষ্ঠু সমাধানকল্পে করণীয় সম্পর্কে গঠিত কমিটির রিপোর্ট/সুপারিশ গত ৩১ আগস্ট  সকাল ১১ টায় অনুষ্ঠিত শিক্ষা পরিষদের জরুরি সভায় উপস্থাপিত হলে বিএসসি ভেটেরিনারি সায়েন্স এন্ড এনিম্যাল হাজবেন্ড্রী নামে নতুন একটি ডিগ্রি প্রদানের সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। এরপরও কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনকে অপকৌশলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে শিক্ষা পরিষদের ২২৮ জন সম্মানিত সদস্য ও কর্মকর্তা কর্মচারীসহ প্রায় ৩০০ জনকে জিম্মি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ অস্থিতিশীল করার নেপথ্যে ইন্ধনদাতা, গুজব সৃষ্টিকারী এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশালীন/অশোভন মন্তব্য ও উস্কানি প্রদানকারীদের চিহ্নিত/সনাক্ত করে সুপারিশসহ রিপোর্ট প্রদানের নিমিত্তে নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো।

কমিটির অন্যান্য সদস্যারা হলেন, ফুড টেকনোলজি ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলজারুল আজিজ, ফিশারিজ বায়োলজি এন্ড জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ গোলাম কাদের খান, জেনেটিক্স এন্ড প্লান্ট ব্রিডিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জি. এইচ. এম. সাগর এবং সদস্য-সচিব সংস্থাপন শাখা-২ এর এডিশনাল রেজিস্ট্রার ড. মোঃ নাজমুল হক।

অধ্যাপক ড. জি. এম. মুজিবর রহমান বলেন, কমিটি হওয়ার পর আমরা সদ্য বৈঠকে বসেছি। কয়েকটি প্রাথমিক কৌশল নির্ধারণ করেছি। সেই কৌশল অনুযায়ী কাজ চালিয়ে গিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে পৌঁছানো হবে। এ কাজে কয়েকদিন সময় লাগবে। ৩১ আগস্টের ঘটনায় যারা ইন্ধন দিয়েছে, উসকানি দিয়েছে, শিক্ষকদের আটকে রেখেছে এবং বহিরাগত যারা হামলার সাথে জড়িত ছিল—সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হবে। পরবর্তীতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করে উপাচার্যের কাছে জমা দেওয়া হবে।