ঢাকা ০১:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
কুবির সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে উত্তরসহ প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে শর্টকোড চালুর সিদ্ধান্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হচ্ছে বাস ট্র্যাকিং সিস্টেম ধর্ষণকারীর মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে গাজীপুরে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল নোয়াখালীতে নামাজ পড়তে গেলে মসজিদের শৌচাগারে শিশুকে বলৎকার বান্দরবানে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ৪ আসামীর যাবজ্জীবন, ১ লাখ টাকা জরিমানা ধর্ষণ বিরোধী স্লোগানে মুখরিত কুবি ক্যাম্পাস বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়কসহ ৭ জন কারাগারে মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বাবাকে কুপিয়ে জখম কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বহির্বিভাগের টিকিট বাণিজ্য
তারপরও বেহাল রাস্তাঘাট

বছরে সড়কের আয় ৪১ হাজার কোটি টাকা ব্যয় মাত্র সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা

আরিফুল হক নভেল
  • Update Time : ০৯:১৫:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৪ Time View

রাষ্ট্রীয় কোষাগারে প্রতি বছর প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব দেয়ার পরও দেশের সড়ক ব্যবহারীদের চলাচল করতে হচ্ছে ভাঙ্গাচোরা খানা-খন্দক সড়কে। জীবন রাজী রেখে ঐ সব রাস্তায় চলতে গিয়ে নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অনেক সময় জীবনও বিপন্ন হবার উপক্রম হয়। বিশেষ করে গর্ভবতী মা ও মূমুর্ষ রোগীকে বহনকারী বাহনের তীব্র ঝাঁকুনি গর্ভপাত এবং রোগীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে নিয়ে যায় এমন নজীর বিরল নয়।

বাংলাদেশে প্রায় চার লাখ কিলোমিটার সড়ক নেটওয়ার্ক, যার ৪৫ শতাংশ পাকা। আর এসব সড়ক রক্ষণাবেক্ষণে প্রতি বছর ২৬ হাজার ৭৯৬ কোটি টাকা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়েছে এডিবির প্রতিবেদনে। যদিও এ খাতে সরকার বছরে ব্যয় করছে কেবল ৮ হাজার ৭৬০ কোটি টাকা, যা চাহিদার মাত্র ৩৩ শতাংশ।

দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কগুলোর নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)। সংস্থাটির আওতাভুক্ত জাতীয়, আঞ্চলিক ও জেলা মহাসড়কের পরিমাণ প্রায় সাড়ে ২২ হাজার কিলোমিটার। অন্যদিকে দেশের পাকা সড়ক নেটওয়ার্কের সিংহভাগ অংশ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।

১ লাখ ৬১ হাজার কিলোমিটারের বেশি পাকা সড়ক রয়েছে সংস্থাটির আওতাধীন। এলজিইডি মূলত উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতি বছর একটি চাহিদা প্রতিবেদন তৈরি করে সওজ। এর আলোকে বরাদ্দের জন্য প্রস্তাব করে সংস্থাটি। প্রয়োজনের বিপরীতে রক্ষণাবেক্ষণ খাতে প্রাপ্ত বরাদ্দের বিষয়ে জানতে চাইলে সওজের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় প্রাপ্ত বরাদ্দ কম থাকেই। তবে এজন্য খুব যে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়, বিষয়টি তেমন নয়। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে অপ্রতুল বরাদ্দ সমস্যাও তৈরি করে। অনেক সময় বাস্তবায়ন করতে না পারার কারণে রক্ষণাবেক্ষণ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরত দেয়ার মতো ঘটনাও ঘটে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা চাই সব রাস্তা খুব ভালো মানের থাকুক। সেটা করতে গেলে রক্ষণাবেক্ষণ চাহিদা অনেক বেশি হবে। এখন আমরা যেটা করি, তা হলো প্রয়োজন অনুযায়ী কিছু রাস্তা ভালো অবস্থায় রাখি। কিছু রাস্তা চলনসই অবস্থায় রাখি।’

চাহিদার তুলনায় রক্ষণাবেক্ষণে বরাদ্দ কম হওয়ার কারণে দেশের সড়ক নেটওয়ার্কের উল্লেখযোগ্য অংশ বছরের বেশির ভাগ সময় ভাঙাচোরা অবস্থায় থাকে। যোগাযোগ অবকাঠামো বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বেশি হওয়ার অন্যতম কারণ হলো সময়ের কাজ সময়ে করতে না পারা। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সামছুল হক বলেন, ‘টাকার অভাবে আমরা সময়মতো রাস্তা মেরামত করতে পারি না। এ সময়ে রাস্তা আরো বেহাল অবস্থায় চলে যায়। ফলে রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বাড়তে থাকে চক্রাকারে।’

কার্যকর সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ তহবিল গড়ে তুলে সমস্যাটির টেকসই সমাধান সম্ভব উল্লেখ করে এ বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘সরকার সড়ক ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে নানাভাবে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় করে। এ রাজস্বের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ তহবিলে রাখতে পারলে সেই অর্থ দিয়ে সহজেই সময়মতো রক্ষণাবেক্ষণের মতো কাজগুলো করে নেয়া যায়। বিষয়টি খুব জটিল কিছু নয়। দরকার শুধু সদিচ্ছা।’

দেশে সড়ক ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে বছরে প্রায় সাড়ে ৪১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে সরকার। জ্বালানি তেল ও যানবাহন থেকে শুল্ক, কর ও নিবন্ধন ফি আদায় এবং টোল বাবদ আয় হয় এ অর্থ। যদিও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয় হয় তার মাত্র ২১ শতাংশ বা ৮ হাজার ৭৬০ কোটি টাকা। ফলে দেশের সড়ক নেটওয়ার্কের একটি বড় অংশই থেকে যাচ্ছে ভাঙাচোরা দশায়। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশে সড়ক থেকে সরকারের রাজস্ব আয় ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়ের এ তথ্য উঠে এসেছে।

‘রোড মেইনটেন্যান্স ফাইন্যান্সিং অ্যান্ড কস্ট রিকভারি অপশনস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সড়ক ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে প্রতি বছর ১২টি খাতে আয় করে বাংলাদেশ সরকার। এর মধ্যে জ্বালানি তেলের কাস্টমস শুল্ক বাবদ বছরে আয় হয় ৬ হাজার ৫৫২ কোটি টাকা। অগ্রিম কর বাবদ ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা আয় হয়। ১ হাজার ৩০৮ কোটি টাকা আসে অগ্রিম আয়কর বাবদ। মূল্য সংযোজন কর থেকে আয় হয় আরো ১০ হাজার ৮১২ কোটি টাকা।

একইভাবে যানবাহনের কাস্টমস শুল্ক বাবদ আয় হয় ২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা। সম্পূরক শুল্ক থেকে আসে ৩ হাজার ৯২৪ কোটি টাকা। অন্যান্য যানবাহন আমদানি শুল্ক বা কর বাবদ ১ হাজার ৭০৪ কোটি টাকা আয় হয়। ৯৯৬ কোটি টাকা আয় হয় যানবাহন নিবন্ধন ফি বাবদ। মূল্য সংযোজন কর থেকে আয় হয় ২ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা। অগ্রিম আয়কর বাবদ ২ হাজার ৭৬০ কোটি টাকা আয় হয়। সড়ক কর বাবদ আয় হয় ৩ হাজার ৩১২ কোটি টাকা। এর বাইরে টোল বাবদ আরো ১ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা আয় হয়। সব মিলিয়ে সড়ক ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে প্রতি বছর প্রায় সাড়ে ৪১ হাজার কোটি টাকা আয় করে বাংলাদেশ সরকার।

কিন্তু এইখাতে আয় হয় ৪১ হাজার কোটি টাকা অথচ সড়ক রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয় হয় মাত্র ২১ শতাংশ। আয়ের বাকী অংশ কোথায় যাচ্ছে এমন প্রশ্নের উত্তর মিলেনি।

Please Share This Post in Your Social Media

তারপরও বেহাল রাস্তাঘাট

বছরে সড়কের আয় ৪১ হাজার কোটি টাকা ব্যয় মাত্র সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা

আরিফুল হক নভেল
Update Time : ০৯:১৫:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫

রাষ্ট্রীয় কোষাগারে প্রতি বছর প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব দেয়ার পরও দেশের সড়ক ব্যবহারীদের চলাচল করতে হচ্ছে ভাঙ্গাচোরা খানা-খন্দক সড়কে। জীবন রাজী রেখে ঐ সব রাস্তায় চলতে গিয়ে নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অনেক সময় জীবনও বিপন্ন হবার উপক্রম হয়। বিশেষ করে গর্ভবতী মা ও মূমুর্ষ রোগীকে বহনকারী বাহনের তীব্র ঝাঁকুনি গর্ভপাত এবং রোগীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে নিয়ে যায় এমন নজীর বিরল নয়।

বাংলাদেশে প্রায় চার লাখ কিলোমিটার সড়ক নেটওয়ার্ক, যার ৪৫ শতাংশ পাকা। আর এসব সড়ক রক্ষণাবেক্ষণে প্রতি বছর ২৬ হাজার ৭৯৬ কোটি টাকা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়েছে এডিবির প্রতিবেদনে। যদিও এ খাতে সরকার বছরে ব্যয় করছে কেবল ৮ হাজার ৭৬০ কোটি টাকা, যা চাহিদার মাত্র ৩৩ শতাংশ।

দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কগুলোর নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)। সংস্থাটির আওতাভুক্ত জাতীয়, আঞ্চলিক ও জেলা মহাসড়কের পরিমাণ প্রায় সাড়ে ২২ হাজার কিলোমিটার। অন্যদিকে দেশের পাকা সড়ক নেটওয়ার্কের সিংহভাগ অংশ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।

১ লাখ ৬১ হাজার কিলোমিটারের বেশি পাকা সড়ক রয়েছে সংস্থাটির আওতাধীন। এলজিইডি মূলত উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতি বছর একটি চাহিদা প্রতিবেদন তৈরি করে সওজ। এর আলোকে বরাদ্দের জন্য প্রস্তাব করে সংস্থাটি। প্রয়োজনের বিপরীতে রক্ষণাবেক্ষণ খাতে প্রাপ্ত বরাদ্দের বিষয়ে জানতে চাইলে সওজের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় প্রাপ্ত বরাদ্দ কম থাকেই। তবে এজন্য খুব যে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়, বিষয়টি তেমন নয়। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে অপ্রতুল বরাদ্দ সমস্যাও তৈরি করে। অনেক সময় বাস্তবায়ন করতে না পারার কারণে রক্ষণাবেক্ষণ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরত দেয়ার মতো ঘটনাও ঘটে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা চাই সব রাস্তা খুব ভালো মানের থাকুক। সেটা করতে গেলে রক্ষণাবেক্ষণ চাহিদা অনেক বেশি হবে। এখন আমরা যেটা করি, তা হলো প্রয়োজন অনুযায়ী কিছু রাস্তা ভালো অবস্থায় রাখি। কিছু রাস্তা চলনসই অবস্থায় রাখি।’

চাহিদার তুলনায় রক্ষণাবেক্ষণে বরাদ্দ কম হওয়ার কারণে দেশের সড়ক নেটওয়ার্কের উল্লেখযোগ্য অংশ বছরের বেশির ভাগ সময় ভাঙাচোরা অবস্থায় থাকে। যোগাযোগ অবকাঠামো বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বেশি হওয়ার অন্যতম কারণ হলো সময়ের কাজ সময়ে করতে না পারা। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সামছুল হক বলেন, ‘টাকার অভাবে আমরা সময়মতো রাস্তা মেরামত করতে পারি না। এ সময়ে রাস্তা আরো বেহাল অবস্থায় চলে যায়। ফলে রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বাড়তে থাকে চক্রাকারে।’

কার্যকর সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ তহবিল গড়ে তুলে সমস্যাটির টেকসই সমাধান সম্ভব উল্লেখ করে এ বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘সরকার সড়ক ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে নানাভাবে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় করে। এ রাজস্বের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ তহবিলে রাখতে পারলে সেই অর্থ দিয়ে সহজেই সময়মতো রক্ষণাবেক্ষণের মতো কাজগুলো করে নেয়া যায়। বিষয়টি খুব জটিল কিছু নয়। দরকার শুধু সদিচ্ছা।’

দেশে সড়ক ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে বছরে প্রায় সাড়ে ৪১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে সরকার। জ্বালানি তেল ও যানবাহন থেকে শুল্ক, কর ও নিবন্ধন ফি আদায় এবং টোল বাবদ আয় হয় এ অর্থ। যদিও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয় হয় তার মাত্র ২১ শতাংশ বা ৮ হাজার ৭৬০ কোটি টাকা। ফলে দেশের সড়ক নেটওয়ার্কের একটি বড় অংশই থেকে যাচ্ছে ভাঙাচোরা দশায়। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশে সড়ক থেকে সরকারের রাজস্ব আয় ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়ের এ তথ্য উঠে এসেছে।

‘রোড মেইনটেন্যান্স ফাইন্যান্সিং অ্যান্ড কস্ট রিকভারি অপশনস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সড়ক ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে প্রতি বছর ১২টি খাতে আয় করে বাংলাদেশ সরকার। এর মধ্যে জ্বালানি তেলের কাস্টমস শুল্ক বাবদ বছরে আয় হয় ৬ হাজার ৫৫২ কোটি টাকা। অগ্রিম কর বাবদ ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা আয় হয়। ১ হাজার ৩০৮ কোটি টাকা আসে অগ্রিম আয়কর বাবদ। মূল্য সংযোজন কর থেকে আয় হয় আরো ১০ হাজার ৮১২ কোটি টাকা।

একইভাবে যানবাহনের কাস্টমস শুল্ক বাবদ আয় হয় ২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা। সম্পূরক শুল্ক থেকে আসে ৩ হাজার ৯২৪ কোটি টাকা। অন্যান্য যানবাহন আমদানি শুল্ক বা কর বাবদ ১ হাজার ৭০৪ কোটি টাকা আয় হয়। ৯৯৬ কোটি টাকা আয় হয় যানবাহন নিবন্ধন ফি বাবদ। মূল্য সংযোজন কর থেকে আয় হয় ২ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা। অগ্রিম আয়কর বাবদ ২ হাজার ৭৬০ কোটি টাকা আয় হয়। সড়ক কর বাবদ আয় হয় ৩ হাজার ৩১২ কোটি টাকা। এর বাইরে টোল বাবদ আরো ১ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা আয় হয়। সব মিলিয়ে সড়ক ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে প্রতি বছর প্রায় সাড়ে ৪১ হাজার কোটি টাকা আয় করে বাংলাদেশ সরকার।

কিন্তু এইখাতে আয় হয় ৪১ হাজার কোটি টাকা অথচ সড়ক রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয় হয় মাত্র ২১ শতাংশ। আয়ের বাকী অংশ কোথায় যাচ্ছে এমন প্রশ্নের উত্তর মিলেনি।