ঢাকা ১০:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফেসবুকে ‘স্যাড’ রিঅ্যাক্ট দেওয়ায় মৎস্য অধিদপ্তরের ৫ কর্মকর্তাকে শোকজ

জাতীয় ডেস্ক
  • Update Time : ০৩:২৮:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
  • / ২১ Time View

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘স্যাড’ রিঅ্যাক্ট দেওয়ার কারণে মৎস্য অধিদপ্তরের পাঁচ কর্মকর্তা শোকজ করা হয়েছে।

গত ৪ মে ওই কর্মকর্তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. আব্দুর রউফ।

কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া মৎস্য অধিদপ্তরের পাঁচ কর্মকর্তা হচ্ছেন—

১. অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এএসএম সানোয়ার রাসেল,

২. সহকারী প্রধান আবু মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান,

৩. ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প পরিচালক মো. ফরিদ হোসেন,

৪. মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. সালমুন হাসান বিপ্লব এবং

৫. ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রওনক জাহান।

প্রসঙ্গত, গত ১৪ এপ্রিল মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. তোফাজ্জেল হোসেনকে নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের। সেই পোস্টে লাইক-কমেন্টস করেন মৎস্য অধিদপ্তরের এই পাঁচ কর্মকর্তা। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ৪ মে ওই কর্মকর্তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।

ফেসবুক পোস্টে জুলকারনাইন সায়ের লিখেছিলেন, তোফাজ্জেল হোসেন (অতিরিক্ত সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়)। যিনি দুই দফায় (একান্ত সচিব স্বাস্থ্যমন্ত্রী- ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল ও একান্ত সচিব পানি সম্পদ মন্ত্রী- ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল) দুজন আওয়ামী মন্ত্রীর পিএস ছিলেন (৬ বছর)। তাকেই সচিব পদে পদোন্নতি এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব বানানোর জন্য ডিও লেটার দিয়েছেন উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি আরও অনুরোধ করেছেন সিদ্ধান্ত গ্রহণে সময় লাগলে অন্য কাউকে পদায়ন না করে এই তোফাজ্জলকেই এ পদে রাখার জন্যে।

সায়েরের এমন পোস্টে লাইক-কমেন্টস করেন মৎস্য অধিদপ্তরের ওই পাঁচ কর্মকর্তা। পরে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ৪ মে ওই কর্মকর্তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।

Please Share This Post in Your Social Media

ফেসবুকে ‘স্যাড’ রিঅ্যাক্ট দেওয়ায় মৎস্য অধিদপ্তরের ৫ কর্মকর্তাকে শোকজ

জাতীয় ডেস্ক
Update Time : ০৩:২৮:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘স্যাড’ রিঅ্যাক্ট দেওয়ার কারণে মৎস্য অধিদপ্তরের পাঁচ কর্মকর্তা শোকজ করা হয়েছে।

গত ৪ মে ওই কর্মকর্তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. আব্দুর রউফ।

কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া মৎস্য অধিদপ্তরের পাঁচ কর্মকর্তা হচ্ছেন—

১. অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এএসএম সানোয়ার রাসেল,

২. সহকারী প্রধান আবু মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান,

৩. ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প পরিচালক মো. ফরিদ হোসেন,

৪. মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. সালমুন হাসান বিপ্লব এবং

৫. ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রওনক জাহান।

প্রসঙ্গত, গত ১৪ এপ্রিল মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. তোফাজ্জেল হোসেনকে নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের। সেই পোস্টে লাইক-কমেন্টস করেন মৎস্য অধিদপ্তরের এই পাঁচ কর্মকর্তা। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ৪ মে ওই কর্মকর্তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।

ফেসবুক পোস্টে জুলকারনাইন সায়ের লিখেছিলেন, তোফাজ্জেল হোসেন (অতিরিক্ত সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়)। যিনি দুই দফায় (একান্ত সচিব স্বাস্থ্যমন্ত্রী- ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল ও একান্ত সচিব পানি সম্পদ মন্ত্রী- ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল) দুজন আওয়ামী মন্ত্রীর পিএস ছিলেন (৬ বছর)। তাকেই সচিব পদে পদোন্নতি এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব বানানোর জন্য ডিও লেটার দিয়েছেন উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি আরও অনুরোধ করেছেন সিদ্ধান্ত গ্রহণে সময় লাগলে অন্য কাউকে পদায়ন না করে এই তোফাজ্জলকেই এ পদে রাখার জন্যে।

সায়েরের এমন পোস্টে লাইক-কমেন্টস করেন মৎস্য অধিদপ্তরের ওই পাঁচ কর্মকর্তা। পরে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ৪ মে ওই কর্মকর্তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।