ঢাকা ১২:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ১-১১’র প্রেক্ষাপট তৈরি করে আ.লীগ কর্তৃত্বশীল শাসকরূপে চিহ্নিত হয় : মাওলানা আবদুল হালিম মাদক বিষাক্ত সাপের মতো ব্যক্তি ও সমাজকে নিঃশেষ করে দেয় জুলাই আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ শুরু হয়েছিল রংপুর থেকেই: নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যূত্থানে শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত স্বৈরাচার পতনে ক্রীড়ানকের ভুমিকা পালন করে আবু সাঈদের মৃত্যু পূর্বাচলে ঘোড়ার মাংসসহ আটক ১ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে গবেষণা খাতে

ফরিদপুরে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে দুই জনের মৃত্যুদণ্ড

স্টাফ রিপোর্টার
  • Update Time : ০৭:১১:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ২৬৮ Time View

ফরিদপুরে এক নারীকে (২৬) ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে দুইজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ওই দুই আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে এ আদেশ দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ফরিদপুর সদরের মামুদপুর এলাকার আরজু মল্লিক (৩১) ও একই এলাকার সবুজ মিয়া (৩৬)। সবুজ পলাতক রয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর দুপুর সোয়া ১টার দিকে ফরিদপুর সদর উপজেলার গেরদা ইউনিয়নের মামুদপুর গ্রামের সিরাজ মিয়ার কলার বাগান থেকে অজ্ঞাত পরিচয় ওই নারীর মরদেহটি উদ্ধার করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

ওই নারীর পরনে লাল রঙের সালোয়ার ও কালো রঙের বোরকা ছিল। তার গলায় কালো দাগ ছিল। এলাকাবাসী মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে পরে পুলিশে খবর দেন।

পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। কোতোয়ালি থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল গফ্ফার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ওই দিনই থানায় মামলা করেন।

এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এনায়েত হোসেন তদন্ত করে জানতে পারেন- ওই নারীর বাড়ি চট্টগ্রামের পাঁচশাইল গ্রামে।

পরে তিনি ফরিদপুরের মামুদপুর গ্রামের আরজু ও সবুজকে আসামি করে ২০১৮ সালের ১৯ নভেম্বর আদালতে ওই নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে জানিয়ে অভিযোগপত্র জমা দেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) স্বপন পাল জানান, এ মামলাটির তদন্ত কাজ পরিচালনার সময় দুই আসামিকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে সবুজ মিয়া জামিনে গিয়ে পলাতক হন।

স্বপন পাল বলেন, আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। এ রায়ে দেশে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে এবং মানুষ আইনের ব্যাপারে শ্রদ্ধাশীল হবেন।

Please Share This Post in Your Social Media

ফরিদপুরে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে দুই জনের মৃত্যুদণ্ড

স্টাফ রিপোর্টার
Update Time : ০৭:১১:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ফরিদপুরে এক নারীকে (২৬) ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে দুইজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ওই দুই আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে এ আদেশ দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ফরিদপুর সদরের মামুদপুর এলাকার আরজু মল্লিক (৩১) ও একই এলাকার সবুজ মিয়া (৩৬)। সবুজ পলাতক রয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর দুপুর সোয়া ১টার দিকে ফরিদপুর সদর উপজেলার গেরদা ইউনিয়নের মামুদপুর গ্রামের সিরাজ মিয়ার কলার বাগান থেকে অজ্ঞাত পরিচয় ওই নারীর মরদেহটি উদ্ধার করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

ওই নারীর পরনে লাল রঙের সালোয়ার ও কালো রঙের বোরকা ছিল। তার গলায় কালো দাগ ছিল। এলাকাবাসী মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে পরে পুলিশে খবর দেন।

পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। কোতোয়ালি থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল গফ্ফার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ওই দিনই থানায় মামলা করেন।

এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এনায়েত হোসেন তদন্ত করে জানতে পারেন- ওই নারীর বাড়ি চট্টগ্রামের পাঁচশাইল গ্রামে।

পরে তিনি ফরিদপুরের মামুদপুর গ্রামের আরজু ও সবুজকে আসামি করে ২০১৮ সালের ১৯ নভেম্বর আদালতে ওই নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে জানিয়ে অভিযোগপত্র জমা দেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) স্বপন পাল জানান, এ মামলাটির তদন্ত কাজ পরিচালনার সময় দুই আসামিকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে সবুজ মিয়া জামিনে গিয়ে পলাতক হন।

স্বপন পাল বলেন, আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। এ রায়ে দেশে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে এবং মানুষ আইনের ব্যাপারে শ্রদ্ধাশীল হবেন।