ঢাকা ০৫:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রেমিকের নানার বাড়ি থেকে প্রেমিকার মরদেহ উদ্ধার

নোয়াখালী প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৬:৪৯:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
  • / ২৭১ Time View

নোয়াখালীর কবিরহাটে প্রেমিকের নানার বাড়ি থেকে কিশোরী প্রেমিকার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সাথে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রেমিক আরাব বিল্লাকে (১৯) আটক করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের নরসিংহপুর গ্রামের কবির মাস্টার বাড়ি থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত সায়মা ইসলাম (১৭) সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নের মুহুরী বাড়ির প্রবাসী জিয়াউল হকের মেয়ে এবং নোয়াখালী সরকারি কলেজের অনার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন। অপরদিকে, প্রেমিক আরাব কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের মাদলা গ্রামের মো.সাহাব উদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কিছু দিন আগে সায়মার পারিবার তাকে পারিবারিক ভাবে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। তখন পরিবারের সদস্যরা আরাবের সাথে তার প্রেমের কথা জানতে পারে। এ নিয়ে গত কয়েক দিন আগে সায়মার মা পারভীন আক্তার মেয়েকে গালমন্দ ও মারধর করে। একপর্যায়ে গত তিনদিন ধরে নিখোঁজ ছিল সে। শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ওই কিশোরী প্রেমিকার নানার বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের অগোচরে বসতঘরে দরজা বন্ধ করে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়।

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শাহীন মিয়া বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রেমিককে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রেমিক জানায়, ওই মেয়ের সাথে আগে তার সম্পর্ক ছিল।গত দুই মাস ধরে কোন সম্পর্ক নেই। সম্পর্ক প্রত্যাখ্যান করায় ক্ষোভে সে আত্মহত্যা করতে পারে।

ওসি আরও বলেন, এটি আত্মহত্যা। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। রোববার সকালে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হবে। নিহতের পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

প্রেমিকের নানার বাড়ি থেকে প্রেমিকার মরদেহ উদ্ধার

নোয়াখালী প্রতিনিধি
Update Time : ০৬:৪৯:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

নোয়াখালীর কবিরহাটে প্রেমিকের নানার বাড়ি থেকে কিশোরী প্রেমিকার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সাথে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রেমিক আরাব বিল্লাকে (১৯) আটক করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের নরসিংহপুর গ্রামের কবির মাস্টার বাড়ি থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত সায়মা ইসলাম (১৭) সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নের মুহুরী বাড়ির প্রবাসী জিয়াউল হকের মেয়ে এবং নোয়াখালী সরকারি কলেজের অনার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন। অপরদিকে, প্রেমিক আরাব কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের মাদলা গ্রামের মো.সাহাব উদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কিছু দিন আগে সায়মার পারিবার তাকে পারিবারিক ভাবে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। তখন পরিবারের সদস্যরা আরাবের সাথে তার প্রেমের কথা জানতে পারে। এ নিয়ে গত কয়েক দিন আগে সায়মার মা পারভীন আক্তার মেয়েকে গালমন্দ ও মারধর করে। একপর্যায়ে গত তিনদিন ধরে নিখোঁজ ছিল সে। শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ওই কিশোরী প্রেমিকার নানার বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের অগোচরে বসতঘরে দরজা বন্ধ করে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়।

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শাহীন মিয়া বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রেমিককে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রেমিক জানায়, ওই মেয়ের সাথে আগে তার সম্পর্ক ছিল।গত দুই মাস ধরে কোন সম্পর্ক নেই। সম্পর্ক প্রত্যাখ্যান করায় ক্ষোভে সে আত্মহত্যা করতে পারে।

ওসি আরও বলেন, এটি আত্মহত্যা। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। রোববার সকালে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হবে। নিহতের পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।