ঢাকা ০২:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মেলান্দহ

প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে ভুয়া সার্টিফিকেটে চাকরি করছে সহকারী শিক্ষক 

জামালপুর প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৬:৪৬:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫
  • / ১০৬ Time View

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ডাঃ নূরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের সহযোগিতায় ভুয়া সার্টিফিকেট ব্যবহার করে সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি করে আসছেন মোঃ শরিফুল এহসান। প্রধান শিক্ষক দিলরুবা সুলতানার সাথে শরিফুল এহসানের আত্মীয়তার সম্পর্ক থাকার সুবাদেই এই জালিয়াতি সম্ভব হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, মোঃ শরিফুল এহসান ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) হিসেবে ডাঃ নূরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি বিদ্যালয়ে সহকারী আইসিটি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। চাকরি যোগদানের সময় তিনি এসএসসি, এইচএসসি এবং বিএ (অনার্স) এর কাগজপত্র জমা দিয়েছিলেন।

তবে, সম্প্রতি তার সার্টিফিকেট অনলাইন সার্ভারে যাচাই করা হলে দেখা যায়, শুধুমাত্র এসএসসি সার্টিফিকেট ছাড়া অন্য কোনো সার্টিফিকেট অনলাইন সার্ভারে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী শিক্ষক মোঃ শরিফুল এহসান বলেন, “আমার কাগজপত্র সব ঠিক আছে এবং আমি আপনাদের সাথে কোনো কথা বলতে চাই না।”

অন্যদিকে, প্রধান শিক্ষক দিলরুবা সুলতানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, “আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না, আপনারা শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলেন।”

মেলান্দহ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আজাদুর রহমান ভূঁইয়া জানান, তিনি ডাঃ নূরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ শরিফুল এহসানের কাগজপত্র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবেন এবং পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

এই ঘটনায় সচেতন মহলের মতে, একজন শিক্ষক যদি নিজেই জালিয়াতির আশ্রয় নেন, তবে তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে কী বার্তা দেবেন? তারা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। শিক্ষা ব্যবস্থার পবিত্রতা রক্ষায় এ ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ অপরিহার্য বলে তারা মনে করেন।

এই ঘটনার তদন্তের পর আসল সত্য বেরিয়ে আসবে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন জালিয়াতির পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশা করা যায়।

Please Share This Post in Your Social Media

মেলান্দহ

প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে ভুয়া সার্টিফিকেটে চাকরি করছে সহকারী শিক্ষক 

জামালপুর প্রতিনিধি
Update Time : ০৬:৪৬:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ডাঃ নূরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের সহযোগিতায় ভুয়া সার্টিফিকেট ব্যবহার করে সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি করে আসছেন মোঃ শরিফুল এহসান। প্রধান শিক্ষক দিলরুবা সুলতানার সাথে শরিফুল এহসানের আত্মীয়তার সম্পর্ক থাকার সুবাদেই এই জালিয়াতি সম্ভব হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, মোঃ শরিফুল এহসান ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) হিসেবে ডাঃ নূরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি বিদ্যালয়ে সহকারী আইসিটি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। চাকরি যোগদানের সময় তিনি এসএসসি, এইচএসসি এবং বিএ (অনার্স) এর কাগজপত্র জমা দিয়েছিলেন।

তবে, সম্প্রতি তার সার্টিফিকেট অনলাইন সার্ভারে যাচাই করা হলে দেখা যায়, শুধুমাত্র এসএসসি সার্টিফিকেট ছাড়া অন্য কোনো সার্টিফিকেট অনলাইন সার্ভারে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী শিক্ষক মোঃ শরিফুল এহসান বলেন, “আমার কাগজপত্র সব ঠিক আছে এবং আমি আপনাদের সাথে কোনো কথা বলতে চাই না।”

অন্যদিকে, প্রধান শিক্ষক দিলরুবা সুলতানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, “আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না, আপনারা শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলেন।”

মেলান্দহ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আজাদুর রহমান ভূঁইয়া জানান, তিনি ডাঃ নূরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ শরিফুল এহসানের কাগজপত্র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবেন এবং পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

এই ঘটনায় সচেতন মহলের মতে, একজন শিক্ষক যদি নিজেই জালিয়াতির আশ্রয় নেন, তবে তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে কী বার্তা দেবেন? তারা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। শিক্ষা ব্যবস্থার পবিত্রতা রক্ষায় এ ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ অপরিহার্য বলে তারা মনে করেন।

এই ঘটনার তদন্তের পর আসল সত্য বেরিয়ে আসবে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন জালিয়াতির পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশা করা যায়।