ঢাকা ০২:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষীদাতা সিরু বাঙালির ফাঁসির দাবি উন্নয়ন বৈষম্যের গ্যাঁড়াকলে রংপুর: একনেক থেকে বাদ পড়লো উন্নয়ন প্রকল্প আ’লীগ নেতা তুষার কান্তির ৭দিনের রিমান্ড মঞ্জুর সিলেট ওসমানী মেডিকেলের হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা বাংলাদেশকে দুই বিলিয়ন ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক মানহানি মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান ফের ৫ দিনের রিমান্ডে আনিসুল হক ও সালমান বসুন্ধরা আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষককে পুনর্বহালে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ চায় শিক্ষার্থীরা এক দফা দাবীতে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টিভি হাসপাতালের নার্স ও মিডওয়াইফারিরা মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট প্যাকেজ চালু করতে বললেন নাহিদ

পুলিশের কোনো সদস্য ‘স্পিড মানি’ চাইলে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি

ফেনী সংবাদদাতা
  • Update Time : ০৪:২৮:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৮ Time View

পুলিশের কোনো সদস্য স্পিড মানি চাইলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ফেনীর নবনিযুক্ত পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, বিদেশগামীদের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বা ভেরিফিকেশন নিয়ে কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করা হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পুলিশ লাইনস ড্রিল শেডে ফেনীতে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি ।

তিনি আরও বলেন, বিগত ১৬ বছর পুলিশকে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। আমাদের কিছু ভুল-ত্রুটি ছিল। এজন্যই পুলিশ এত বিতর্কিত। এ বিতর্কিত অবস্থা থেকে বের হয়ে দ্বিতীয় স্বাধীনতার পর ছাত্র-জনতার প্রত্যাশা অনুযায়ী সবাইকে নিয়ে জনবান্ধব পুলিশি কার্যক্রম পরিচালনায় কাজ করার চেষ্টা করব। ফেনীবাসীর মতো করে জেলা পুলিশকে সাজানো হবে।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন। রাতারাতি সবকিছু পরিবর্তন করা না গেলেও সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে। আমার কাজে যদি কোনো ভুল-ত্রুটি থাকে, আপনাদের লেখায় গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে তুলে ধরবেন।

পুলিশ সুপার বলেন, ফেনীতে সব পুলিশ কর্মস্থলে রয়েছে। নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছে। ৫ আগস্ট আটটি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাই কিছুটা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। আমরা ৮০ শতাংশ কাজ শুরু করেছি। আশাকরি অন্যান্য কাজও শিগগিরই শুরু করতে পারব। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সেই অস্ত্রধারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা এখন আমাদের মূল কাজ হবে। ইতোমধ্যে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয়েছে।

ফেনীতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রসঙ্গে মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ফেনীতে ৪ আগস্টের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও যদি কোনো অভিযোগ থাকে, আমাকে অবহিত করলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিতর্কিত পুলিশ সদস্যদের এক থানা থেকে অন্য থানায় রদবদল করা হয়েছে। তাদের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হচ্ছে। এ ছাড়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) বিষয়েও কাজ চলছে। ৪ আগস্টের ঘটনায় জড়িত কেউ যদি মামলা থেকে বাদ পড়ে তাদেরও আসামি করার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) দীন মোহাম্মদ (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), মো. শাহাদাৎ হোসেন (ক্রাইম অ্যান্ড অবস), পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ফেনীতে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

পুলিশের কোনো সদস্য ‘স্পিড মানি’ চাইলে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি

ফেনী সংবাদদাতা
Update Time : ০৪:২৮:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পুলিশের কোনো সদস্য স্পিড মানি চাইলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ফেনীর নবনিযুক্ত পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, বিদেশগামীদের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বা ভেরিফিকেশন নিয়ে কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করা হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পুলিশ লাইনস ড্রিল শেডে ফেনীতে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি ।

তিনি আরও বলেন, বিগত ১৬ বছর পুলিশকে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। আমাদের কিছু ভুল-ত্রুটি ছিল। এজন্যই পুলিশ এত বিতর্কিত। এ বিতর্কিত অবস্থা থেকে বের হয়ে দ্বিতীয় স্বাধীনতার পর ছাত্র-জনতার প্রত্যাশা অনুযায়ী সবাইকে নিয়ে জনবান্ধব পুলিশি কার্যক্রম পরিচালনায় কাজ করার চেষ্টা করব। ফেনীবাসীর মতো করে জেলা পুলিশকে সাজানো হবে।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন। রাতারাতি সবকিছু পরিবর্তন করা না গেলেও সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে। আমার কাজে যদি কোনো ভুল-ত্রুটি থাকে, আপনাদের লেখায় গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে তুলে ধরবেন।

পুলিশ সুপার বলেন, ফেনীতে সব পুলিশ কর্মস্থলে রয়েছে। নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছে। ৫ আগস্ট আটটি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাই কিছুটা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। আমরা ৮০ শতাংশ কাজ শুরু করেছি। আশাকরি অন্যান্য কাজও শিগগিরই শুরু করতে পারব। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সেই অস্ত্রধারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা এখন আমাদের মূল কাজ হবে। ইতোমধ্যে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয়েছে।

ফেনীতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রসঙ্গে মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ফেনীতে ৪ আগস্টের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও যদি কোনো অভিযোগ থাকে, আমাকে অবহিত করলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিতর্কিত পুলিশ সদস্যদের এক থানা থেকে অন্য থানায় রদবদল করা হয়েছে। তাদের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হচ্ছে। এ ছাড়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) বিষয়েও কাজ চলছে। ৪ আগস্টের ঘটনায় জড়িত কেউ যদি মামলা থেকে বাদ পড়ে তাদেরও আসামি করার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) দীন মোহাম্মদ (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), মো. শাহাদাৎ হোসেন (ক্রাইম অ্যান্ড অবস), পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ফেনীতে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।