পিআর পদ্ধতি হাসিনার মতো ফ্যাসিস্ট তৈরি করবে : সালাহউদ্দিন

- Update Time : ১০:৩৬:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ৩৪৭৩ Time View
পিআর বা সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ভোট ব্যবস্থা শেখ হাসিনার মতো আরেকটি ফ্যাসিস্ট বা দুর্বল সরকার তৈরি হতে পারে বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি আশঙ্কা করছেন, এমন হলে দেশ স্থায়ীভাবে অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে।
আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট বৃটিশ ‘ল স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্সের ১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
যারা কম জনপ্রিয় তাদের জন্য পিআর লাভজনক জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, পিআর চাওয়ার একটি উদ্দেশ্য হলো—বেশি সিট পাওয়া। আরেকটি হচ্ছে, দেশে অনৈক্য ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা। যাতে মেজোরিটি পার্টি ক্ষমতায় না আসতে পারে।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, কোন পদ্ধতি ভোট হবে- তা সংবিধানে স্পষ্টভাবে বলা আছে। সংবিধানে প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের কথা বলা রয়েছে। তা জানতে জামায়াতকে সংবিধান খুলে দেখতে হবে।
তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলের অসাংবিধানিক, অরাজনৈতিক, অবৈধ কোনো আবদার মেনে জাতিকে বিপদে ফেলা যাবে না। এই সরকার সাংবিধানিক সরকার। তাই সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করে আইনানুগভাবে সরকারকে চলতে হবে।
তিনি বলেন, যারা দেশের আইন-কানুন, সংবিধান এবং লিগালিটি মেনে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে চায়- তাদের প্রতি আহ্বান জানাবো কোন রাজনৈতিক দলের অরাজনৈতিক, অবৈধ, অসাংবিধানিক যে কোন রকমের আবদার মেনে এই জাতিকে সংকটে ফেলে দেয়া যাবে না। আমাদেরকে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতায় থাকতে হবে।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, এই সরকার সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার সরকার, সেটা প্রধান উপদেষ্টা নিজেই বহুবার তার বক্তব্য বলেছেন এবং এই সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করেই আইনানুগভাবে ভবিষ্যতে এ রাষ্ট্রকে আইনের শাসনের রাষ্ট্র হিসেবে পরিচালিত এবং প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা যদি শুধু শুধু বলি যে, আইনের শাসনের রাষ্ট্র হবে, এই আইনের শাসনের প্র্যাকটিস দেখাতে হবে, মুখে বললে হবে না। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে যেই অবস্থাটা আমরা সংস্কারের মধ্য দিয়ে পেতে যাচ্ছি কমপ্লিট ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইলেকশন কমিশন, কমপ্লিট ইন্ডিপেন্ডেন্ট জুডিশিয়ারি, কেয়ার টেকেয়ার গভর্নমেন্ট রিপ্লেস এন্ড ফ্রিডম অফ প্রেস- এই চারটা জিনিস।
তিনি বলেন, ব্যক্তি স্বৈরতান্ত্রিকতা বিলোপ করার জন্য ভবিষ্যতে ১০ বছরের সময়সীমা নির্ধারণ করে কোন ব্যক্তি ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না এমন বিধান করলে রাষ্ট্রে ভবিষ্যতে কোনদিন আর স্বৈরাচারের উদ্ভব হবে না। ব্যক্তি স্বৈরতান্ত্রিকতা, রাজনৈতিক বা দলীয় স্বৈরতান্ত্রিকতা বা সাংবিধানিক অথবা সংসদীয় যেকোন স্বৈরতন্ত্রের উদ্ভব বা ফ্যাসিস্টের উদ্ভব হওয়ার আর সুযোগ নেই।
সালাউদ্দিন আহমেদ শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশে যদি সবসময় অনৈক্য থাকে, অস্থিতিশীলতা থাকে তাহলে শেখ হাসিনার মত আরেকটা ফ্যাসিস্টের উদয় হতে পারে।
সংগঠনের আহ্বায়ক ওয়াসি পারভেজ তাহসিনের সভাপতিত্বে এই আলোচনা সভায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও রাগিব রউফ চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়