পাসপোর্টের ডিজির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, চার্জশীট দিতে দুদকের কালক্ষেপন

- Update Time : ০৪:১৬:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ৬৪ Time View
পাসপোর্ট অফিসের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা না দেয়ায় পাসপোর্ট অফিসের দূর্নীতিবাজরা এখনো বে-পরোয়া। এ বিষয়ে অসংখ্য বার পত্র-পত্রিকায় ও জাতীয় প্রচার মাধ্যমে ব্যাপক খবর প্রকাশিত হলেও পাসপোর্ট অফিসের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের দাপট এতটাই বেশী যে তাদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা তদন্ত করেও তার চার্জশিট আদালতে জমা দেয়া হচ্ছে না।
দুদকে অফিসের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের ইতিপূর্বে নিয়োগকৃত এক বিতর্কিত মহানগর জেলা ও দায়রা জজকে নিয়োগ দিয়ে নানা অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করা হয়েছিল। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সে কর্মকর্তাকে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করা হলেও তাকে এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি বা তার বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হয়নি ।
ইতিপুবের্ই পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ডিজি মেজর জেনারেল নুরুল আনোয়ার এর বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র হয়। কুচক্রী মহল তার সাম্প্রতিক সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিভিন্ন অপ-তৎপরতায় লিপ্ত থাকার কারণে সৎ, দক্ষ কর্মকর্তা কর্মচারীরা ও তাদের কর্তব্য কর্মে স্পৃহা হারিয়ে ফেলছেন।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, মেজর জেনারেল নুরুল আনোয়ার পাসপোর্ট অধিদপ্তরে যোগদানের পূর্বে গোটা অধিদপ্তরটিই হয়ে পড়েছিল অথর্ব। অধিদপ্তরে কর্মকর্তা কর্মচারীদের অনিয়ম দুর্নীতি, সর্বোপরি দালালদের তৎপরতায় পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সার্বিক পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়ে।
অন্যদিকে পুলিশ ভেরিফিকেশনের নামে এসবি পুলিশের তদন্ত বাণিজ্যে পাসপোর্ট প্রাপ্তিতে ভোগান্তির অন্ত ছিল না। বর্তমানে ডিজি মেজর জেনারেল নুরুল আনোয়ার এখানে যোগদানের পরপরই পাসপোর্ট অফিসের পরিবেশ পুনরুদ্ধার ও পাসপোর্ট প্রাপ্তিতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি দূর করতে তার মেধা, মনন ও সততার পরিচয় রেখে চলেছেন।
ইতোমধ্যেই তিনি পাসপোর্ট অধিদপ্তরের দুর্নীতিবাজ-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চিহ্নিত করে অধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থান থেকে সরিয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বদলী করে ভালো হওয়ার সুযোগ দিয়েছেন। তবে তারা এ সুযোগ কে দূর্বলতা মনে করছে।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরকে দালাল মুক্ত করতে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছেন বর্তমান ডিজি। পাসপোর্ট প্রাপ্তিতে সহজীকরণ করা হয়েছে তার সময়ে।
একটি সূত্র জানায়, বর্তমান প্রেক্ষাপটে অনিয়ম-দুর্নীতিতে ব্যর্থ একটি কুচক্রী মহল ডিজি মেজর জেনারেল নুরুল আনোয়ারের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে নামে বেনামে প্রধান উপদেষ্টা সহ সরকারের বিভিন্ন মহলে অভিযোগ দিয়ে হয়রানীর অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। কুচক্রী মহলের এহেন তৎপরতায় সৎ, দক্ষ ও যোগ্য কর্মকর্তা, কর্মচারীরা কাজের স্পৃহা হারিয়ে ফেলছে। দাবী উঠেছে নামে বেনামে অভিযোগ কারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার।
অপরদিকে দূর্নীতিপরায়ন কিছু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দূদকে মামলা হলেও কোটি টাকার বিনিময়ে তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে বর্তমান অন্তরবর্তী কালীন সরকারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে ভুক্তভূগী মহল। বিশেষ করে পরিচালক তৌফিক এর বিরুদ্ধে কেস নং দুদক সাজেকা ২(১)২২ এবং পরিচালক মামুনের বিরুদ্ধের কেস নং দুদক সাজেকা ৯(৬)২২ দীর্ঘদিন পার হলেও দুদক অফিস থেকে চার্জশীট না দিয়ে দিনের পর দিন আটকে রাখা হয়েছে। এ পর্যন্ত একজনের মামলায় ১৫টি এবং অন্যটির বিরুদ্ধে ১২টি তারিখ অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত চার্জশীট দেয়া হয়নি। এতে করে দুর্নীতিবাজরা অপকর্ম করেও পার পেয়ে যাওয়ার আশায় আবারও পুরোদমে অপকর্ম করে চলেছে। এ বিষয়ে দুদক আফিসকে আরো সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন, অন্যথায় শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতার আন্দোলনে পাওয়া স্বাধীনতা বিফলে যাবে।
এদিকে সিনিয়র সাংবাদির ও মানবাধিকার কর্মী সৈয়দ আফজাল বাকের দুদক চেয়ারম্যান বরাবার বিগত ২৬ জানুয়ারী আবারো একপত্র দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে চার্জশীট দেয়ার মাধ্যমে তাদেরকে বিচার প্রক্রিয়ায় নেবার আবেদন করেছেন। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় অগ্রাধিকার পাওয়ার কথা থাকলেও অজ্ঞাত কারণে বার বার আটকে যাচ্ছে।