ঢাকা ০৪:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
৭ বছরে ও সুবর্ণা হত্যার বিচার হয়নি, হুমকির মুখে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন অপচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু; রংপুরে দুই ক্লিনিককে জরিমানা,ওটি সিলগালা পিআর পদ্ধতি দেশকে আরও বেশি স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেবে – রিজভী তিন দফা দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিল শেকৃবি শিক্ষার্থীরা কুবিতে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ অভিযুক্ত ব্যাচের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ; তদন্ত কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ১-১১’র প্রেক্ষাপট তৈরি করে আ.লীগ কর্তৃত্বশীল শাসকরূপে চিহ্নিত হয় : মাওলানা আবদুল হালিম মাদক বিষাক্ত সাপের মতো ব্যক্তি ও সমাজকে নিঃশেষ করে দেয় জুলাই আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ শুরু হয়েছিল রংপুর থেকেই: নাহিদ ইসলাম

পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনতে ৪-৫ বছর লেগে যাবে: গভর্নর

অর্থনীতি ডেস্ক
  • Update Time : ০৫:০৫:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
  • / ২৩৩ Time View

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনতে চার-পাঁচ বছর লেগে যাবে। তবে এক বছরের মধ্যে বিদেশে থাকা সম্পদ জব্দ করা যাবে।

রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সোমবার (১৯ মে) তিনি এ কথা বলেন।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, পলাতক পাচারকারীদের লুটের জব্দকৃত টাকা ও শেয়ার দরিদ্রদের জন্য ও জনহিতকর কাজে ব্যয় করা হবে। এ লক্ষ্যে ফান্ড তৈরি করা হবে।

গভর্নর বলেন, আইনের সঠিক ধারা মেনেই সবকিছু করা হবে। প্রয়োজনে আইন সংশোধন করা হবে।

তিনি বলেন, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ একেবারেই নতুন। এটি দেশের আইনে নয়, বিদেশের আইনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে করতে হবে। কোন দেশে কোথায় কী আছে, এ তথ্য আগে আনতে হবে। সম্পদ জব্দ করার পর আদালতের মাধ্যমে বাকি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ শনাক্ত করতে কাজ শুরু করেছে। ব্রিটেনে তারা কাজ করছে। টাকা পাচারের সঙ্গে জড়িত কয়েক শ ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের বিষয়ে ল ফার্মকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। ফার্মগুলোকে তথ্য দেওয়া হবে।

তারা যদি অর্থ আদায় করতে পারে, তার নির্দিষ্ট একটা অংশ তাদের দেওয়া হবে, বলে জানান তিনি।
গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, বিদেশে টাকা পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনার চাইতে অর্থ পাচার বন্ধ করা জরুরি। সে জন্য প্রয়োজনে আইন সংস্কার করবে সরকার।

তিনি আরো বলেন, দেশের অর্থনীতি সব সময় চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে গেছে। তবে বর্তমানের মতো সব দিক থেকে একবারে এতো চ্যালেঞ্জ কখনো আসেনি। শ্রীলঙ্কায় শুধু বৈদেশিক লেনদেন ভারসাম্যের (বিওপি) সংকট তৈরি হয়েছিল। এখানে বিওপি, মূল্যস্ফীতি, রাজস্ব, দুর্বৃত্তায়নের কারণে ব্যাপক অর্থপাচার হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হয়, যতগুলো শেয়ার জব্দ হয়েছে এসব শেয়ারের বাজার মূল্য কত এবং কোনো কারণে আমি পালিয়ে গেছি আমার টাকা আপনি জব্দ করলেন, আপনি আমার টাকা বা সম্পদ জব্দ করলেন। আদালতে অপরাধী প্রমাণিত হওয়ার আগে আপনি কোন আইনে এটি করবেন?

আহসান এইচ মনসুর বলেন, অবশ্যই আমরা এটি আইনগতভাবে করব। এতে কোনো আইনের ব্যতয় হবে না। কোর্টের সিদ্ধান্ত হওয়ার পরেই এবং আইনের সঠিক ধারা প্রয়োগের মাধ্যমেই এই কার্যকলাপ করা হবে। প্রয়োজনে আইন কিছু সংশোধন করতে হতে পারে। এটা নিয়ে আইন মন্ত্রণালয় এবং অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় কাজ করবে। যদি এটি প্রয়োজন হয়। এছাড়া বর্তমান আইন দিয়ে যদি এটি করা সম্ভব হয় তাহলে আমরা সেটাই করব।

গভর্নর বলেন, আমাদের লক্ষ্যটা হচ্ছে একটা ফান্ড প্রতিষ্ঠা করা। যেটার অর্থ দিয়ে আমরা ব্যাংকগুলোকে ক্ষতিপূরণ দিতে পারব। কারণ ব্যাংকগুলো বিশালভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের টাকা তো লুট করা হয়েছে। এছাড়া বাকি টাকা যেগুলো নন ব্যাংক রিলেটেড, যেগুলো দুর্নীতির মাধ্যমে টাকা অর্জন করা হয়েছে, সেগুলো সরকার আরেকটা ফান্ডে নিয়ে জনহিতকর কাজে ব্যয় করবে। সবই আইনগতভাবে করা হবে। কোনোটাই আইনের বাইরে হবে না।

ব্রিফিংয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান এ এফ এম শাহীনুল ইসলাম।

Please Share This Post in Your Social Media

পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনতে ৪-৫ বছর লেগে যাবে: গভর্নর

অর্থনীতি ডেস্ক
Update Time : ০৫:০৫:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনতে চার-পাঁচ বছর লেগে যাবে। তবে এক বছরের মধ্যে বিদেশে থাকা সম্পদ জব্দ করা যাবে।

রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সোমবার (১৯ মে) তিনি এ কথা বলেন।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, পলাতক পাচারকারীদের লুটের জব্দকৃত টাকা ও শেয়ার দরিদ্রদের জন্য ও জনহিতকর কাজে ব্যয় করা হবে। এ লক্ষ্যে ফান্ড তৈরি করা হবে।

গভর্নর বলেন, আইনের সঠিক ধারা মেনেই সবকিছু করা হবে। প্রয়োজনে আইন সংশোধন করা হবে।

তিনি বলেন, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ একেবারেই নতুন। এটি দেশের আইনে নয়, বিদেশের আইনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে করতে হবে। কোন দেশে কোথায় কী আছে, এ তথ্য আগে আনতে হবে। সম্পদ জব্দ করার পর আদালতের মাধ্যমে বাকি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ শনাক্ত করতে কাজ শুরু করেছে। ব্রিটেনে তারা কাজ করছে। টাকা পাচারের সঙ্গে জড়িত কয়েক শ ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের বিষয়ে ল ফার্মকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। ফার্মগুলোকে তথ্য দেওয়া হবে।

তারা যদি অর্থ আদায় করতে পারে, তার নির্দিষ্ট একটা অংশ তাদের দেওয়া হবে, বলে জানান তিনি।
গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, বিদেশে টাকা পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনার চাইতে অর্থ পাচার বন্ধ করা জরুরি। সে জন্য প্রয়োজনে আইন সংস্কার করবে সরকার।

তিনি আরো বলেন, দেশের অর্থনীতি সব সময় চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে গেছে। তবে বর্তমানের মতো সব দিক থেকে একবারে এতো চ্যালেঞ্জ কখনো আসেনি। শ্রীলঙ্কায় শুধু বৈদেশিক লেনদেন ভারসাম্যের (বিওপি) সংকট তৈরি হয়েছিল। এখানে বিওপি, মূল্যস্ফীতি, রাজস্ব, দুর্বৃত্তায়নের কারণে ব্যাপক অর্থপাচার হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হয়, যতগুলো শেয়ার জব্দ হয়েছে এসব শেয়ারের বাজার মূল্য কত এবং কোনো কারণে আমি পালিয়ে গেছি আমার টাকা আপনি জব্দ করলেন, আপনি আমার টাকা বা সম্পদ জব্দ করলেন। আদালতে অপরাধী প্রমাণিত হওয়ার আগে আপনি কোন আইনে এটি করবেন?

আহসান এইচ মনসুর বলেন, অবশ্যই আমরা এটি আইনগতভাবে করব। এতে কোনো আইনের ব্যতয় হবে না। কোর্টের সিদ্ধান্ত হওয়ার পরেই এবং আইনের সঠিক ধারা প্রয়োগের মাধ্যমেই এই কার্যকলাপ করা হবে। প্রয়োজনে আইন কিছু সংশোধন করতে হতে পারে। এটা নিয়ে আইন মন্ত্রণালয় এবং অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় কাজ করবে। যদি এটি প্রয়োজন হয়। এছাড়া বর্তমান আইন দিয়ে যদি এটি করা সম্ভব হয় তাহলে আমরা সেটাই করব।

গভর্নর বলেন, আমাদের লক্ষ্যটা হচ্ছে একটা ফান্ড প্রতিষ্ঠা করা। যেটার অর্থ দিয়ে আমরা ব্যাংকগুলোকে ক্ষতিপূরণ দিতে পারব। কারণ ব্যাংকগুলো বিশালভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের টাকা তো লুট করা হয়েছে। এছাড়া বাকি টাকা যেগুলো নন ব্যাংক রিলেটেড, যেগুলো দুর্নীতির মাধ্যমে টাকা অর্জন করা হয়েছে, সেগুলো সরকার আরেকটা ফান্ডে নিয়ে জনহিতকর কাজে ব্যয় করবে। সবই আইনগতভাবে করা হবে। কোনোটাই আইনের বাইরে হবে না।

ব্রিফিংয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান এ এফ এম শাহীনুল ইসলাম।