ঢাকা ০১:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
তাবাসসুমের নেতৃত্বে আওয়ামী প্রেতাত্মারা এখনো সক্রিয় ভারতীয় বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা ইসরাইলি সব পণ্য বয়কট করছে যুক্তরাজ্যের বৃহৎ সুপারমার্কেট ফিলিস্তিনের পক্ষ নেয়ায় ইংলিশ কিংবদন্তি লিনেকারকে ছাঁটাই করল বিবিসি কুবিতে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী দিলেন সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নির্বাচন পেছাতে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত শুরু হয়েছে : মির্জা ফখরুল আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ইসরাইলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্সের মিথ্যা তথ্য দিয়ে জনগণকে ভুল বুঝানোর চেষ্টা করছে সরকারের উপদেষ্টা : ইশরাক সরকার গায়ের জোরে ইশরাককে মেয়র হতে দিচ্ছে না : রিজভী

পাকিস্তানকে সমর্থন করায় মুসলিম দেশের পণ্য বয়কট ভারতের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৫:২৬:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
  • / ৪৭ Time View

তুরস্ক ও পাকিস্তানের পতাকা। ছবি : সংগৃহীত

কাশ্মীর হামলা ইস্যুতে শুরু হওয়া যুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষ নেওয়ায় তুরস্কের বিভিন্ন পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে ভারতীয়রা। দেশটিতে মুদি দোকান থেকে শুরু করে বড় অনলাইন ফ্যাশন প্ল্যাটফর্মে তুর্কি পণ্য বয়কট কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

সোমবার (১৯ মে) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্কের সঙ্গে কূটনৈতিক উত্তেজনার জেরে ভারতের ছোট মুদি দোকান থেকে শুরু করে বড় অনলাইন ফ্যাশন খুচরা বিক্রেতারা তুর্কি পণ্য বয়কট করছে। এই বয়কটের তালিকায় রয়েছে চকলেট, কফি, জ্যাম, প্রসাধনী এবং পোশাক। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের প্রতি প্রকাশ্য সমর্থন জানানোর পর এই উত্তেজনা তীব্র হয়েছে।

ভারতে ১৩ মিলিয়ন ছোট মুদি দোকানে পণ্য সরবরাহ করে অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রোডাক্টস ডিস্ট্রিবিউটর ফেডারেশন (এআইসিপিডিএফ)। সোমবার তারা ঘোষণা করেছে যে তারা তুর্কি উৎপত্তির সকল পণ্যের উপর ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য সম্পূর্ণ বয়কট’ শুরু করছে। এই বয়কট চকলেট, ওয়েফার, জ্যাম, বিস্কুট এবং ত্বকের যত্নের পণ্যগুলোর উপর প্রভাব ফেলবে।

ভারতের শীর্ষস্থানীয় ফ্যাশন ওয়েবসাইটগুলো, যেমন ওয়ালমার্ট-সমর্থিত ফ্লিপকার্ট এবং ধনকুবের মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্সের মালিকানাধীন সাইটগুলো, তুর্কি পোশাক ব্র্যান্ডগুলোর তালিকা সরিয়ে ফেলেছে। ফ্লিপকার্টের ফ্যাশন ওয়েবসাইট মিনত্রা তুর্কি ব্র্যান্ড ট্রেন্ডিওল, এলসি ওয়াইকিকি এবং মাভি-এর তালিকা সরিয়ে ফেলেছে।

একটি সূত্র জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত ‘জাতীয় স্বার্থে’ নেওয়া হয়েছে। রিলায়েন্সের ফ্যাশন ওয়েবসাইট এজিও-তেও ট্রেন্ডিওল, কোটন এবং এলসি ওয়াইকিকির মতো ব্র্যান্ডগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে বা সেগুলোর অনেক পণ্য ‘স্টক নেই’ হিসেবে দেখানো হচ্ছে। এই পদক্ষেপের পেছনে ‘জাতীয় অনুভূতি’ কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

তুরস্কের সঙ্গে ভারতের বার্ষিক বাণিজ্যিক লেনদেন প্রায় ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার হলেও, পণ্যের এই বয়কট জনমনে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গত বছরে ভারত তুরস্ক থেকে প্রায় ৮১ মিলিয়ন ডলারের পোশাক আমদানি করেছে।

হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুকভিন্দর সিং সুখু ইতোমধ্যে তুরস্ক থেকে আপেল আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞার দাবি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, তুরস্ক থেকে প্রতি বছর প্রায় ৬০ মিলিয়ন ডলারের আপেল আমদানি করে ভারত।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্লিপকার্ট সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে, তারা তুরস্কের জন্য ফ্লাইট, হোটেল এবং হলিডে প্যাকেজ বুকিং স্থগিত রেখেছে। ‘জাতীয় স্বার্থ ও সার্বভৌমত্বের প্রতি সংহতির’ অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এদিকে, তুরস্কভিত্তিক বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং ফার্ম চেলেবি-এর নিরাপত্তা অনুমোদন বাতিল করেছে ভারত সরকার এবং অনেকে তুরস্ক ভ্রমণ বাতিল করছেন। এয়ার ইন্ডিয়া তুর্কি এয়ারলাইন্সের সঙ্গে ইন্ডিগোর অংশীদারিত্ব বন্ধ করতে লবিং চালাচ্ছে বলেও জানা গেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

পাকিস্তানকে সমর্থন করায় মুসলিম দেশের পণ্য বয়কট ভারতের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ০৫:২৬:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

কাশ্মীর হামলা ইস্যুতে শুরু হওয়া যুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষ নেওয়ায় তুরস্কের বিভিন্ন পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে ভারতীয়রা। দেশটিতে মুদি দোকান থেকে শুরু করে বড় অনলাইন ফ্যাশন প্ল্যাটফর্মে তুর্কি পণ্য বয়কট কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

সোমবার (১৯ মে) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্কের সঙ্গে কূটনৈতিক উত্তেজনার জেরে ভারতের ছোট মুদি দোকান থেকে শুরু করে বড় অনলাইন ফ্যাশন খুচরা বিক্রেতারা তুর্কি পণ্য বয়কট করছে। এই বয়কটের তালিকায় রয়েছে চকলেট, কফি, জ্যাম, প্রসাধনী এবং পোশাক। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের প্রতি প্রকাশ্য সমর্থন জানানোর পর এই উত্তেজনা তীব্র হয়েছে।

ভারতে ১৩ মিলিয়ন ছোট মুদি দোকানে পণ্য সরবরাহ করে অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রোডাক্টস ডিস্ট্রিবিউটর ফেডারেশন (এআইসিপিডিএফ)। সোমবার তারা ঘোষণা করেছে যে তারা তুর্কি উৎপত্তির সকল পণ্যের উপর ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য সম্পূর্ণ বয়কট’ শুরু করছে। এই বয়কট চকলেট, ওয়েফার, জ্যাম, বিস্কুট এবং ত্বকের যত্নের পণ্যগুলোর উপর প্রভাব ফেলবে।

ভারতের শীর্ষস্থানীয় ফ্যাশন ওয়েবসাইটগুলো, যেমন ওয়ালমার্ট-সমর্থিত ফ্লিপকার্ট এবং ধনকুবের মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্সের মালিকানাধীন সাইটগুলো, তুর্কি পোশাক ব্র্যান্ডগুলোর তালিকা সরিয়ে ফেলেছে। ফ্লিপকার্টের ফ্যাশন ওয়েবসাইট মিনত্রা তুর্কি ব্র্যান্ড ট্রেন্ডিওল, এলসি ওয়াইকিকি এবং মাভি-এর তালিকা সরিয়ে ফেলেছে।

একটি সূত্র জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত ‘জাতীয় স্বার্থে’ নেওয়া হয়েছে। রিলায়েন্সের ফ্যাশন ওয়েবসাইট এজিও-তেও ট্রেন্ডিওল, কোটন এবং এলসি ওয়াইকিকির মতো ব্র্যান্ডগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে বা সেগুলোর অনেক পণ্য ‘স্টক নেই’ হিসেবে দেখানো হচ্ছে। এই পদক্ষেপের পেছনে ‘জাতীয় অনুভূতি’ কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

তুরস্কের সঙ্গে ভারতের বার্ষিক বাণিজ্যিক লেনদেন প্রায় ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার হলেও, পণ্যের এই বয়কট জনমনে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গত বছরে ভারত তুরস্ক থেকে প্রায় ৮১ মিলিয়ন ডলারের পোশাক আমদানি করেছে।

হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুকভিন্দর সিং সুখু ইতোমধ্যে তুরস্ক থেকে আপেল আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞার দাবি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, তুরস্ক থেকে প্রতি বছর প্রায় ৬০ মিলিয়ন ডলারের আপেল আমদানি করে ভারত।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্লিপকার্ট সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে, তারা তুরস্কের জন্য ফ্লাইট, হোটেল এবং হলিডে প্যাকেজ বুকিং স্থগিত রেখেছে। ‘জাতীয় স্বার্থ ও সার্বভৌমত্বের প্রতি সংহতির’ অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এদিকে, তুরস্কভিত্তিক বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং ফার্ম চেলেবি-এর নিরাপত্তা অনুমোদন বাতিল করেছে ভারত সরকার এবং অনেকে তুরস্ক ভ্রমণ বাতিল করছেন। এয়ার ইন্ডিয়া তুর্কি এয়ারলাইন্সের সঙ্গে ইন্ডিগোর অংশীদারিত্ব বন্ধ করতে লবিং চালাচ্ছে বলেও জানা গেছে।